জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
গ্রাহকের আস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার ৫টি দুর্বল ব্যাংককে ভল্ট থেকে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি কোটি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরদিন আজ মঙ্গলবার আরও দুই ব্যাংক পেয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
গভর্নর প্রাথমিকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ৭০ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র জানিয়েছে, মূলত আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাপক অনিয়মের কারণে তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা বেসরকারি খাতের ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি, ইউনিয়ন ব্যাংকে তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বন্ড ফুরিয়ে যাওয়ায় সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বেসরকারি ব্যাংগুলোকে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ আগস্ট গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে আর সহায়তা দেওয়া হবে না। ব্যাংকের জন্য টাকা ছাপিয়ে কোনো সমাধানের পথে যাওয়া যাবে না।
এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘তারল্য সংকটে থাকা ‘দুর্বল’ ব্যাংককে সচল রাখতে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ বিবেচনায় নিয়ে গ্যারান্টির মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে নগদ টাকার ঋণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।’
সেই পদ্ধতিতে দুর্বল ব্যাংকগুলো প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে। কিন্তু তাতে সংকট দূর না হওয়ায় আবারও তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সূত্র জানায়, সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা নিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক (এফএসআইবিএল)। ন্যাশনাল ব্যাংক নিয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার সহায়তা। অন্যান্য ৫ তিনটি ব্যাংক নিয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত মঙ্গলবার সকালে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংকগুলো কত টাকা জোগান পেলে সংকট থেকে বের হতে পারবে, সেই তথ্য নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। পরে প্রতিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডিদের সঙ্গে পৃথকভাবে সভা করেছেন গভর্নর। তখন কোন ব্যাংককে কি পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন গভর্নর। সব মিলিয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকার চাহিদা দিয়েছে দুর্বল ব্যাংকগুলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা দেবে। আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিল এবং বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ এবং কোনো দাতা সংস্থা ঋণ ছাড়ের শর্তের জন্য টাকা ছাপিয়ে সহায়তার বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তা নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রাহকে আস্থা ফেরাতে তারল্য সহায়তা ফের চালু করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের পর থেকে ব্যাংকগুলো এস আলম গ্রুপের এলসি খুলতে রাজি হচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে রমজানের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিশ্চিত করতে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ভোজ্যতেল, চিনি ও আটা-ময়দার কোম্পানিগুলোর এলসি খুলতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যেসব ব্যাংক অর্থ সংকটের কারণে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তাদের সহায়তার জন্য খুব শিগগিরই আপনারা নতুন উদ্যোগ দেখতে পাবেন।’
আলোচিত ৫টি ব্যাংকসহ অন্তত ১২টি ব্যাংক আওয়ামী আমলের বিভিন্ন ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে চরম তারল্য সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে আটটি ব্যাংকের মালিকানা ছিল বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। এত অনিয়ম সত্ত্বেও শেখ হাসিনার আমলের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। এমতাবস্থায়, তারল্য সংকট আরও গভীর রূপ নেয়, কিন্তু এসব ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকার পরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক বিধিমালা ভঙ্গ করে সহায়তার অনুমোদন দেওয়া হয়।
গ্রাহকের আস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার ৫টি দুর্বল ব্যাংককে ভল্ট থেকে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি কোটি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরদিন আজ মঙ্গলবার আরও দুই ব্যাংক পেয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
গভর্নর প্রাথমিকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ৭০ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র জানিয়েছে, মূলত আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাপক অনিয়মের কারণে তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা বেসরকারি খাতের ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি, ইউনিয়ন ব্যাংকে তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বন্ড ফুরিয়ে যাওয়ায় সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বেসরকারি ব্যাংগুলোকে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ আগস্ট গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে আর সহায়তা দেওয়া হবে না। ব্যাংকের জন্য টাকা ছাপিয়ে কোনো সমাধানের পথে যাওয়া যাবে না।
এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘তারল্য সংকটে থাকা ‘দুর্বল’ ব্যাংককে সচল রাখতে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ বিবেচনায় নিয়ে গ্যারান্টির মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে নগদ টাকার ঋণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।’
সেই পদ্ধতিতে দুর্বল ব্যাংকগুলো প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে। কিন্তু তাতে সংকট দূর না হওয়ায় আবারও তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সূত্র জানায়, সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা নিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক (এফএসআইবিএল)। ন্যাশনাল ব্যাংক নিয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার সহায়তা। অন্যান্য ৫ তিনটি ব্যাংক নিয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত মঙ্গলবার সকালে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংকগুলো কত টাকা জোগান পেলে সংকট থেকে বের হতে পারবে, সেই তথ্য নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। পরে প্রতিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডিদের সঙ্গে পৃথকভাবে সভা করেছেন গভর্নর। তখন কোন ব্যাংককে কি পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন গভর্নর। সব মিলিয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকার চাহিদা দিয়েছে দুর্বল ব্যাংকগুলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা দেবে। আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিল এবং বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ এবং কোনো দাতা সংস্থা ঋণ ছাড়ের শর্তের জন্য টাকা ছাপিয়ে সহায়তার বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তা নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রাহকে আস্থা ফেরাতে তারল্য সহায়তা ফের চালু করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের পর থেকে ব্যাংকগুলো এস আলম গ্রুপের এলসি খুলতে রাজি হচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে রমজানের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিশ্চিত করতে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ভোজ্যতেল, চিনি ও আটা-ময়দার কোম্পানিগুলোর এলসি খুলতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যেসব ব্যাংক অর্থ সংকটের কারণে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তাদের সহায়তার জন্য খুব শিগগিরই আপনারা নতুন উদ্যোগ দেখতে পাবেন।’
আলোচিত ৫টি ব্যাংকসহ অন্তত ১২টি ব্যাংক আওয়ামী আমলের বিভিন্ন ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে চরম তারল্য সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে আটটি ব্যাংকের মালিকানা ছিল বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। এত অনিয়ম সত্ত্বেও শেখ হাসিনার আমলের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। এমতাবস্থায়, তারল্য সংকট আরও গভীর রূপ নেয়, কিন্তু এসব ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকার পরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক বিধিমালা ভঙ্গ করে সহায়তার অনুমোদন দেওয়া হয়।
দেশের সোনার বাজারে চলমান অস্থিরতার মধ্যে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে দুই দফায় কমানো হয়েছে সোনার দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৬ টাকা।
১৬ ঘণ্টা আগেএবার জিএম পদে নিয়োগের জন্য ২৫৮ জনের সাক্ষাৎকার আগামীকাল বুধবার শেষ হবে। পদোন্নতি পেয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের জিএম হিসেবে পদায়নের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
১৭ ঘণ্টা আগেবিদেশি কোম্পানির লভ্যাংশ বিদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে কর্মশালা করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা)। আজ মঙ্গলবার ‘বিদেশি কোম্পানির লভ্যাংশ বিদেশে প্রত্যাবাসন, শেয়ার হস্তান্তর ও বিক্রয়লব্ধ মূল্য প্রত্যাবাসন, ব্যবসা গোটানোর ক্ষেত্রে অবশিষ্ট অর্থ প্রত্যাবাসন এবং সিআইবি তথ্য সংশোধন’ শীর্ষক এই কর্
১৮ ঘণ্টা আগে