নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে অন্যথায় গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত গণসমাবেশে তাঁরা এ হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকারকে সময় দিচ্ছি, আপনারা মনস্থির করেন কীভাবে পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিরোধী দলগুলো মহাসমাবেশ করবে। এই সমাবেশের আগেই মনস্থির করেন কীভাবে পদত্যাগ এবং অন্তর্বত্নীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করবেন।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘২০১৪ সালের মতো একতরফা নির্বাচন করতে চাইলে জনতা প্রস্তুত নিচ্ছে ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মতো গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আপনাদের বিদায় করবে।’
দেশের মানুষ আর ভয় পায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণ আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে। এতে গুন্ডা আর পুলিশ বাহিনী নামিয়ে দিলে জনগণ গামছা বেঁধে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের পাখা গজাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধীদের রাস্তা দখল করতে দেবে না। আমরা এখানে রাস্তা দখল করেছি। বিজয়নগরে অন্যান্যরা সমাবেশ করছে, নয়াপল্টনে বিএনপির লাখো মানুষ। আর উনি বলছেন, রাস্তা দখল করতে দেবে না।’
এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তলে তলে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, ভারতের সঙ্গে কথা হয়েছে কিন্তু কিচ্ছু নাই, সব খালি। এরা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সারা দেশ, বিশ্ব আমাদের পক্ষে। আমরা জানি, আমরা জিতব।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে বিরোধীদের ওপর এর চেয়ে বড় আক্রমণ হবে। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উনি স্বীকার করে নিয়েছেন শাপলা চত্বরে সরকার মানুষ খুন করেছে।’
মানুষ পালটা ধাওয়া দেওয়া শুরু করেছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা বলছে, আগামী তিন মাস দেশকে পাহারা দিয়ে রাখতে হবে। লুটের টাকা রক্ষা করতে তারা পাহারা বসাতে চায়। আরেকটা হচ্ছে, ক্ষমতায় থাকা মানে বেহেশতে থাকা তাই আজকে বেহেশত থেকে বের হয়ে যেতে হয় কিনা সে জন্য পাহারা। কোনো পাহারা দিয়ে এই সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, ‘এই দেশে আর রাতে বাক্স ভরাটের ভোট হবে না। দেশে কতজন জনগণের ভোটে নির্বাচিত? এরা আরেকবার ক্ষমতায় এলে মানুষকে কি পরিমাণ অত্যাচার, নির্যাতন করবে তার সীমা নাই।’
সরকারবিরোধী দলগুলোকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকার বলে আন্দোলন হয় না। আপনারা কেমন আন্দোলন চান? লগি-বইঠার মারামারি চান? আমরা সহিংসতা চাই না।’
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে অন্যথায় গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত গণসমাবেশে তাঁরা এ হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকারকে সময় দিচ্ছি, আপনারা মনস্থির করেন কীভাবে পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিরোধী দলগুলো মহাসমাবেশ করবে। এই সমাবেশের আগেই মনস্থির করেন কীভাবে পদত্যাগ এবং অন্তর্বত্নীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করবেন।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘২০১৪ সালের মতো একতরফা নির্বাচন করতে চাইলে জনতা প্রস্তুত নিচ্ছে ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মতো গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আপনাদের বিদায় করবে।’
দেশের মানুষ আর ভয় পায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণ আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে। এতে গুন্ডা আর পুলিশ বাহিনী নামিয়ে দিলে জনগণ গামছা বেঁধে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামাবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের পাখা গজাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধীদের রাস্তা দখল করতে দেবে না। আমরা এখানে রাস্তা দখল করেছি। বিজয়নগরে অন্যান্যরা সমাবেশ করছে, নয়াপল্টনে বিএনপির লাখো মানুষ। আর উনি বলছেন, রাস্তা দখল করতে দেবে না।’
এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তলে তলে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, ভারতের সঙ্গে কথা হয়েছে কিন্তু কিচ্ছু নাই, সব খালি। এরা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সারা দেশ, বিশ্ব আমাদের পক্ষে। আমরা জানি, আমরা জিতব।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে বিরোধীদের ওপর এর চেয়ে বড় আক্রমণ হবে। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উনি স্বীকার করে নিয়েছেন শাপলা চত্বরে সরকার মানুষ খুন করেছে।’
মানুষ পালটা ধাওয়া দেওয়া শুরু করেছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা বলছে, আগামী তিন মাস দেশকে পাহারা দিয়ে রাখতে হবে। লুটের টাকা রক্ষা করতে তারা পাহারা বসাতে চায়। আরেকটা হচ্ছে, ক্ষমতায় থাকা মানে বেহেশতে থাকা তাই আজকে বেহেশত থেকে বের হয়ে যেতে হয় কিনা সে জন্য পাহারা। কোনো পাহারা দিয়ে এই সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, ‘এই দেশে আর রাতে বাক্স ভরাটের ভোট হবে না। দেশে কতজন জনগণের ভোটে নির্বাচিত? এরা আরেকবার ক্ষমতায় এলে মানুষকে কি পরিমাণ অত্যাচার, নির্যাতন করবে তার সীমা নাই।’
সরকারবিরোধী দলগুলোকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকার বলে আন্দোলন হয় না। আপনারা কেমন আন্দোলন চান? লগি-বইঠার মারামারি চান? আমরা সহিংসতা চাই না।’
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
৮ মিনিট আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
৩ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৭ ঘণ্টা আগে