নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারের ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর সরকারবিরোধী দলগুলো পরিপক্ব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং এখন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘৭ জানুয়ারি পরিস্থিতিকে মৌলিকভাবে একটুও পাল্টে দেয়নি। বস্তুগতভাবে আগের মতোই আছে অথবা তার চাইতে পরিপক্ব হয়েছে। আন্দোলনকারী দল ও শক্তিসমূহ এটা মনে করছেন যে তারা হারেনি এবং ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভবিষ্যৎ আন্দোলনের প্রশ্নে কর্মসূচি দিতে শুরু করেছে। আন্দোলন শেষ হয়নি। বরঞ্চ নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।’
মান্না আরও বলেন, এখন বিরোধী দল রাস্তায় নামছে, তাদের মধ্যে ঐক্য অটুট আছে এবং শত-সহস্র অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও সরকার মূল বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে কোনো ফাটল তৈরি করতে পারেনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমাদের ভোট বর্জনের আহ্বানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু আমরা আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে পারিনি। ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময়ের সে ছাত্র ও সুশীল সমাজ আর নেই। আজকে ছাত্রসমাজে দেখা যাচ্ছে হেলমেট বাহিনী, দুর্নীতি এবং নানা রকম কর্ম পরিধি। আজকে সুশীল সমাজ দ্বিধাবিভক্ত। সত্যিকার যে মধ্যবিত্ত সুশীল সমাজ ছিল, বাংলাদেশে যে একটা মূল্যবোধ ছিল, সেই মূল্যবোধ ও সমাজব্যবস্থা আমরা হারিয়ে ফেলেছি।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে মানুষ নির্বাচন হিসেবে দেখে না। আওয়ামী লীগ চাপ দেওয়ায় ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভোটার উপস্থিত ছিল। অধিকাংশ মানুষ ভোট প্রত্যাখ্যান করে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের মৃত্যু ঘটেছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল তাদের অনাস্থা জানিয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সরকারের অধীনে আছি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যত স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সরকার রয়েছে; তাদের কাছ থেকে যেখানে যা প্রয়োজন সেই উপাদান নিয়ে শাসন করছে। এদের এক কথায় ভূষিত করা দুষ্কর। এই ফ্যাসিস্ট রেজিম টিকিয়ে রাখতে শেখ হাসিনা সবকিছু করতে পারে।’
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারসহ নেতৃবৃন্দ।
সরকারের ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর সরকারবিরোধী দলগুলো পরিপক্ব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং এখন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘৭ জানুয়ারি পরিস্থিতিকে মৌলিকভাবে একটুও পাল্টে দেয়নি। বস্তুগতভাবে আগের মতোই আছে অথবা তার চাইতে পরিপক্ব হয়েছে। আন্দোলনকারী দল ও শক্তিসমূহ এটা মনে করছেন যে তারা হারেনি এবং ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভবিষ্যৎ আন্দোলনের প্রশ্নে কর্মসূচি দিতে শুরু করেছে। আন্দোলন শেষ হয়নি। বরঞ্চ নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।’
মান্না আরও বলেন, এখন বিরোধী দল রাস্তায় নামছে, তাদের মধ্যে ঐক্য অটুট আছে এবং শত-সহস্র অত্যাচার-নির্যাতনের পরেও সরকার মূল বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে কোনো ফাটল তৈরি করতে পারেনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমাদের ভোট বর্জনের আহ্বানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু আমরা আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে পারিনি। ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময়ের সে ছাত্র ও সুশীল সমাজ আর নেই। আজকে ছাত্রসমাজে দেখা যাচ্ছে হেলমেট বাহিনী, দুর্নীতি এবং নানা রকম কর্ম পরিধি। আজকে সুশীল সমাজ দ্বিধাবিভক্ত। সত্যিকার যে মধ্যবিত্ত সুশীল সমাজ ছিল, বাংলাদেশে যে একটা মূল্যবোধ ছিল, সেই মূল্যবোধ ও সমাজব্যবস্থা আমরা হারিয়ে ফেলেছি।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে মানুষ নির্বাচন হিসেবে দেখে না। আওয়ামী লীগ চাপ দেওয়ায় ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভোটার উপস্থিত ছিল। অধিকাংশ মানুষ ভোট প্রত্যাখ্যান করে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের মৃত্যু ঘটেছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল তাদের অনাস্থা জানিয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সরকারের অধীনে আছি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যত স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সরকার রয়েছে; তাদের কাছ থেকে যেখানে যা প্রয়োজন সেই উপাদান নিয়ে শাসন করছে। এদের এক কথায় ভূষিত করা দুষ্কর। এই ফ্যাসিস্ট রেজিম টিকিয়ে রাখতে শেখ হাসিনা সবকিছু করতে পারে।’
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারসহ নেতৃবৃন্দ।
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৪ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৯ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
২০ ঘণ্টা আগে