নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরকে ‘সরকারের ধারাবাহিক গোলামি চুক্তির সর্বশেষ সংস্করণ’ মনে করছে বিএনপি। সফরে সম্পাদিত চুক্তি-সমঝোতার সমালোচনা করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই চুক্তি দেশ তথা দেশের মানুষের কল্যাণে নয়, কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধির নজরানা মাত্র। সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিরোধী এসব চুক্তি জনগণ কখনো মেনে নেবে না।’
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে এ বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এবারের সফরে সম্পাদিত চুক্তি-সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করে ভারতের সঙ্গে ইতিপূর্বে স্বাক্ষরিত সব চুক্তি অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফর প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ সরকার অনেক আগেই স্বাধীনভাবে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কার্যত অক্ষম হয়ে পড়েছে। তাঁরা রাষ্ট্রের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কেবলমাত্র ক্ষমতার দখলদারি অব্যাহত রাখতে দেশি-বিদেশি সহযোগী গোষ্ঠী কিংবা প্রভুদের নিরন্তর আস্থা অর্জনে সচেষ্ট। শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছেন, তা গোলামির নবতর সংস্করণ মাত্র।’
ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনার সর্বশেষ দিল্লি সফরটি কার্যতই এক পাক্ষিক। এ সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা কিংবা চুক্তি বাংলাদেশের ন্যূনতম স্বার্থ সুনিশ্চিত করে না। তা ছাড়া আলোচনায় এমন কিছু বিষয় এসেছে যাতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রেন চলাচল প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কানেকটিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের নামে করিডর প্রদানের মাধ্যমে যা করা হয়েছে, তাতে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করা হলো তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য ভারতের গোলামে পরিণত করবে। এসব সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নিরাপত্তা কৌশলগত ‘বাফার স্টেট’ হিসেবে ভারতকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে চায়। এর ফলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জটিলতার মধ্যে পড়বে।’
এবারের সফরে ‘তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি’র প্রসঙ্গ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখলেও তা অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তিকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছেন। তিস্তা চুক্তি তাদের এজেন্ডাতেই স্থান পায়নি। এই অনির্বাচিত সরকার তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারত ও চীনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল। ডামি নির্বাচনে সমর্থন আদায়ের দুরভিসন্ধি থেকে সরকার তিস্তা প্রকল্পকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করেছে। এ প্রকল্পে চীনের আগ্রহের কথা আমরা জানি। অপরদিকে ভারত নির্বাচনের পরপরই তার পররাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়ে জানিয়ে দেয় ভারত তিস্তা প্রকল্পে অংশ গ্রহণ করতে চায়। প্রায় দেড় দশক ধরে নানা অহেতুক অজুহাতে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে না। অপরদিকে উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার উপক্রম। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর গত ১৪ বছরে তিস্তা শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হলেও এই সংকটের সমাধান হয়নি। আশ্চর্যের বিষয় এখনো এটি রয়ে গেছে রুদ্ধকক্ষের দ্বিপক্ষীয় একান্ত আলোচনার স্তরে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির এই যুগে সব বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অংশীদারত্ব বাড়াতে নানাভাবে ‘কানেকটিভিটি’ তৈরি করার পক্ষেই বিএনপির অবস্থান। কিন্তু সড়কপথ, নৌপথ বা রেলপথে যেভাবেই কানেকটিভিটি বাড়ানো হোক না কেন, তাতে জাতীয় স্বার্থকে বিবেচনা করতে হবে সর্বাগ্রে। কোনোভাবেই সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। কিন্তু বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার অবৈধ ক্ষমতা অটুট রাখার হীন স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরকে ‘সরকারের ধারাবাহিক গোলামি চুক্তির সর্বশেষ সংস্করণ’ মনে করছে বিএনপি। সফরে সম্পাদিত চুক্তি-সমঝোতার সমালোচনা করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই চুক্তি দেশ তথা দেশের মানুষের কল্যাণে নয়, কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধির নজরানা মাত্র। সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিরোধী এসব চুক্তি জনগণ কখনো মেনে নেবে না।’
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে এ বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এবারের সফরে সম্পাদিত চুক্তি-সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করে ভারতের সঙ্গে ইতিপূর্বে স্বাক্ষরিত সব চুক্তি অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফর প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ সরকার অনেক আগেই স্বাধীনভাবে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কার্যত অক্ষম হয়ে পড়েছে। তাঁরা রাষ্ট্রের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কেবলমাত্র ক্ষমতার দখলদারি অব্যাহত রাখতে দেশি-বিদেশি সহযোগী গোষ্ঠী কিংবা প্রভুদের নিরন্তর আস্থা অর্জনে সচেষ্ট। শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছেন, তা গোলামির নবতর সংস্করণ মাত্র।’
ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনার সর্বশেষ দিল্লি সফরটি কার্যতই এক পাক্ষিক। এ সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা কিংবা চুক্তি বাংলাদেশের ন্যূনতম স্বার্থ সুনিশ্চিত করে না। তা ছাড়া আলোচনায় এমন কিছু বিষয় এসেছে যাতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রেন চলাচল প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কানেকটিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের নামে করিডর প্রদানের মাধ্যমে যা করা হয়েছে, তাতে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করা হলো তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য ভারতের গোলামে পরিণত করবে। এসব সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নিরাপত্তা কৌশলগত ‘বাফার স্টেট’ হিসেবে ভারতকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে চায়। এর ফলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জটিলতার মধ্যে পড়বে।’
এবারের সফরে ‘তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি’র প্রসঙ্গ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখলেও তা অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তিকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছেন। তিস্তা চুক্তি তাদের এজেন্ডাতেই স্থান পায়নি। এই অনির্বাচিত সরকার তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারত ও চীনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল। ডামি নির্বাচনে সমর্থন আদায়ের দুরভিসন্ধি থেকে সরকার তিস্তা প্রকল্পকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করেছে। এ প্রকল্পে চীনের আগ্রহের কথা আমরা জানি। অপরদিকে ভারত নির্বাচনের পরপরই তার পররাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়ে জানিয়ে দেয় ভারত তিস্তা প্রকল্পে অংশ গ্রহণ করতে চায়। প্রায় দেড় দশক ধরে নানা অহেতুক অজুহাতে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে না। অপরদিকে উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার উপক্রম। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর গত ১৪ বছরে তিস্তা শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হলেও এই সংকটের সমাধান হয়নি। আশ্চর্যের বিষয় এখনো এটি রয়ে গেছে রুদ্ধকক্ষের দ্বিপক্ষীয় একান্ত আলোচনার স্তরে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির এই যুগে সব বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অংশীদারত্ব বাড়াতে নানাভাবে ‘কানেকটিভিটি’ তৈরি করার পক্ষেই বিএনপির অবস্থান। কিন্তু সড়কপথ, নৌপথ বা রেলপথে যেভাবেই কানেকটিভিটি বাড়ানো হোক না কেন, তাতে জাতীয় স্বার্থকে বিবেচনা করতে হবে সর্বাগ্রে। কোনোভাবেই সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। কিন্তু বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার অবৈধ ক্ষমতা অটুট রাখার হীন স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।’
চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৫ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এক ধরনের বাক্স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এ জন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চাই।’
১৬ ঘণ্টা আগে