নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও যেনতেন নির্বাচনের আয়োজন করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সংকটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি এলডিপি থেকে পদত্যাগ করা দুই শতাধিক নেতাকর্মীও এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা কর্নেল অলির সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এটা ঠিক। তবে যেনতেন নির্বাচনও হতে দেবে না। এ সময় আগামী নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনা একমাত্র বাধা বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
ক্ষমতসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনাদের ভয় কী? গণতন্ত্র ফেরত দেন। শ্রীলঙ্কার মতন বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের মারধর করবে না। বাড়িতে আগুন দেবে না। শতভাগ গ্যারান্টি দিলাম।’
আন্দোলন চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের শেষ পর্যায়ের ডাক তারেক রহমান দেবেন। সে জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জহির উদ্দিন স্বপন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তাও শ্রীলঙ্কার কলম্বোর মতো হবে। সেই কলম্বোর রাজপথের মতো ঢাকার রাজপথে সেই ফয়সালা হবে।’ শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না বলে যোগ করেন তিনি।
এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী বলেন, ‘কর্নেল অলির কাছ থেকে পদত্যাগ করে যাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই। ঢাকার রাস্তা রক্তে রঞ্জিত করতে হবে। এর মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করাতে হবে।’
৮৫ বছরের এই বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এই লাঠি হাতে নিয়ে বলছি, হাসিনাকে উৎখাত করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’ আমি এই দেশকে একটা সুন্দর দেশ হিসেবে দেখতে চাই বলে যোগ করেন তিনি।
অলি আহমদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার গড়া এলডিপি থেকে সরে দুই শতাধিক নেতাকর্মী আব্দুল করিম আব্বাসীর নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগদান করেন। বিএনপি সরকারের শেষ বছরে ২০০৬ সালে এলডিপি নামে দল গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটে যোগ দেন। তবে জরুরি অবস্থা জারির পর ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়, তাতে আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি এলডিপির।
ওই নির্বাচনে অলি নিজেদের প্রতীক ছাতা নিয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে নির্বাচিত হন নিজের শক্তিতে। তবে পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেন। পাশাপাশি জামায়াতের পক্ষেও কথা বলতে থাকেন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন এলডিপি থেকে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরমের তিন সদস্য পদত্যাগ করেন। পদত্যাগকৃত সদস্যদের সবাই একাধিকবার বিএনপি থেকে মনোনীত হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে সে বছরেরই ১৮ নভেম্বর আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে এলডিপির আরেকটি কমিটি করা হয়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একমাত্র বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও যেনতেন নির্বাচনের আয়োজন করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সংকটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি এলডিপি থেকে পদত্যাগ করা দুই শতাধিক নেতাকর্মীও এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা কর্নেল অলির সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এটা ঠিক। তবে যেনতেন নির্বাচনও হতে দেবে না। এ সময় আগামী নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনা একমাত্র বাধা বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
ক্ষমতসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনাদের ভয় কী? গণতন্ত্র ফেরত দেন। শ্রীলঙ্কার মতন বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের মারধর করবে না। বাড়িতে আগুন দেবে না। শতভাগ গ্যারান্টি দিলাম।’
আন্দোলন চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের শেষ পর্যায়ের ডাক তারেক রহমান দেবেন। সে জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জহির উদ্দিন স্বপন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তাও শ্রীলঙ্কার কলম্বোর মতো হবে। সেই কলম্বোর রাজপথের মতো ঢাকার রাজপথে সেই ফয়সালা হবে।’ শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না বলে যোগ করেন তিনি।
এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী বলেন, ‘কর্নেল অলির কাছ থেকে পদত্যাগ করে যাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই। ঢাকার রাস্তা রক্তে রঞ্জিত করতে হবে। এর মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করাতে হবে।’
৮৫ বছরের এই বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এই লাঠি হাতে নিয়ে বলছি, হাসিনাকে উৎখাত করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’ আমি এই দেশকে একটা সুন্দর দেশ হিসেবে দেখতে চাই বলে যোগ করেন তিনি।
অলি আহমদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার গড়া এলডিপি থেকে সরে দুই শতাধিক নেতাকর্মী আব্দুল করিম আব্বাসীর নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগদান করেন। বিএনপি সরকারের শেষ বছরে ২০০৬ সালে এলডিপি নামে দল গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটে যোগ দেন। তবে জরুরি অবস্থা জারির পর ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়, তাতে আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি এলডিপির।
ওই নির্বাচনে অলি নিজেদের প্রতীক ছাতা নিয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে নির্বাচিত হন নিজের শক্তিতে। তবে পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেন। পাশাপাশি জামায়াতের পক্ষেও কথা বলতে থাকেন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন এলডিপি থেকে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরমের তিন সদস্য পদত্যাগ করেন। পদত্যাগকৃত সদস্যদের সবাই একাধিকবার বিএনপি থেকে মনোনীত হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে সে বছরেরই ১৮ নভেম্বর আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে এলডিপির আরেকটি কমিটি করা হয়।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
২ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৬ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২১ ঘণ্টা আগে