৯১ সাল থেকে দেশে আবারও বৈষম্য শুরু হয়েছে: জি এম কাদের 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২২, ২১: ১৩

জাতীয় পার্টি ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ১৯৯১ সাল থেকে দেশে আবারও বৈষম্য শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে কিন্তু যে মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়েছিল তা আজও মেলেনি দাবি করে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ বৈষম্য, বঞ্চনা থেকে মুক্তি চেয়েছিল কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার হাত থেকে মানুষ মুক্তি পায়নি। ৯১ সালের পর থেকে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সরকারি দলের মানুষ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।’ 

স্বাধীনতার পূর্বে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের দেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত আর এখন সরকারি দলের নেতারা দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিভিন্ন দেশে পাচার করছে দাবি করে জি এম কাদের বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হলে সরকারি চাকরি মেলে না। সরকারি দলের জার্সি না পরলে ব্যবসা করা কঠিন। নানাভাবে দুর্নীতি, বঞ্চনা, শোষণ-নিপীড়নে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের মানুষেরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। ফুটপাতের দোকানি থেকে বড় ব্যবসায়ী কেউই ক্ষমতাসীনদের চাঁদা না দিয়ে কিছু করতে পারছে না।’ 

স্বাধীনতার স্বপ্ন ও উদ্দেশ্য ছিল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৯৯১ সালের পর থেকে যে দুটি দল ক্ষমতায় ছিল তারা সংবিধান কাট-ছাঁট করে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। একনায়কতন্ত্র স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী। বর্তমানে দেশে এক ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা।’ 

সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে এমন বাস্তবতায় গণতন্ত্রের চর্চা সম্ভব নয় জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘৯১ এর পর থেকেই সরকার দলের প্রধানেরাই নির্বাহী বিভাগের প্রধান হচ্ছেন। সংবিধানের কিছু বিধানের কারণে নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহির স্থল আইনসভাও তাঁর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। বিচার বিভাগ প্রায় সবটাই রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের প্রধানের নিয়ন্ত্রণের আওতাভুক্ত। এক কথায় রাষ্ট্রের ক্ষমতার সকল স্তম্ভসমূহ যারা পরস্পরের ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করার কথা সেগুলি একক ব্যক্তি বা নির্বাহী প্রধানের নিয়ন্ত্রণে।’ 

জাতীয় পার্টি স্বাধীনতার মূল চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ দিতেই রাজনীতি করছে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা উদ্যাপন করছি কিন্তু দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে না। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু মুক্তি পাইনি। দেশের মানুষ বৈষম্য থেকে মুক্তি চেয়েছিল, এখনো তাই চায়।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

দ্রুত বেতন-ভাতা পাবে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ, সুযোগ পেতে পারে ইলন মাস্কের স্টারলিংক

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

মালামালের সঙ্গে শিশুকেও তুলে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত