নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নিশি রাতের সংসদের মেয়াদ আছে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই সংসদ ভেঙে না দিয়েই শেখ হাসিনার নির্দেশে অবৈধভাবে শপথ নিয়েছে আরেকটা সংসদ! এখন দুই সেট অবৈধ এমপি আছে দেশে। কেউ ডবল, কেউ বাতিল।’
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর অপরিসীম ক্ষমতায় আইনকানুন, নিয়মনীতি, সংবিধান, শৃঙ্খলা সবকিছু পদতলে পিষ্ট করে দেশে জংলি শাসন কায়েম করেছেন। তাঁর বক্তব্য ভ্রান্ত ও মিথ্যা তথ্যের সমষ্টি ছাড়া কিছুই নয়। তাঁদের উদ্ভট কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, পেছন থেকে কেউ ধাওয়া করছে, আর তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াচ্ছেন ঊর্ধ্বশ্বাসে। তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতা নবায়ন করার শপথ নিতে গিয়ে তাঁরা আইন ও সংবিধানের কবর রচনা করেছে। এ মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।’
রিজভী বলেন, ‘২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে। এটি একটি চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন। সংবিধান অনুসারে এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। এ জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতিও এ দায় থেকে মুক্ত নন। ফলে অবৈধ মন্ত্রিপরিষদের কোনো অন্যায্য আদেশ-নির্দেশ দেশের জনগণ মানতে বাধ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের ভোট রঙ্গ ও ভোট গণনা শেষ না হতেই ডামি এমপিদের নামে গেজেট করা, শপথ গ্রহণ, মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা, মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের মতো প্রক্রিয়া অভাবনীয় দ্রুততায় মাত্র চার দিনেই সম্পন্ন করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি আগে সংসদ ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। সংবিধানের এই বিধানমতে, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৯ জানুয়ারি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, সে কারণে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যাঁরা সংসদ সদস্য ছিলেন, তাঁরা সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল আছেন।’
এ সময় সরকার পতনের আন্দোলনকে জোরদার করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দেশবাসীকে আহ্বান জানান রিজভী।
জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কর্মসূচি
১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় রাজধানীতে রমনায় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরের চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ জিয়ার কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার ও পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া দলের অঙ্গ, সহযোগী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নিশি রাতের সংসদের মেয়াদ আছে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই সংসদ ভেঙে না দিয়েই শেখ হাসিনার নির্দেশে অবৈধভাবে শপথ নিয়েছে আরেকটা সংসদ! এখন দুই সেট অবৈধ এমপি আছে দেশে। কেউ ডবল, কেউ বাতিল।’
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর অপরিসীম ক্ষমতায় আইনকানুন, নিয়মনীতি, সংবিধান, শৃঙ্খলা সবকিছু পদতলে পিষ্ট করে দেশে জংলি শাসন কায়েম করেছেন। তাঁর বক্তব্য ভ্রান্ত ও মিথ্যা তথ্যের সমষ্টি ছাড়া কিছুই নয়। তাঁদের উদ্ভট কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, পেছন থেকে কেউ ধাওয়া করছে, আর তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াচ্ছেন ঊর্ধ্বশ্বাসে। তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতা নবায়ন করার শপথ নিতে গিয়ে তাঁরা আইন ও সংবিধানের কবর রচনা করেছে। এ মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।’
রিজভী বলেন, ‘২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে। এটি একটি চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন। সংবিধান অনুসারে এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। এ জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতিও এ দায় থেকে মুক্ত নন। ফলে অবৈধ মন্ত্রিপরিষদের কোনো অন্যায্য আদেশ-নির্দেশ দেশের জনগণ মানতে বাধ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের ভোট রঙ্গ ও ভোট গণনা শেষ না হতেই ডামি এমপিদের নামে গেজেট করা, শপথ গ্রহণ, মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা, মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের মতো প্রক্রিয়া অভাবনীয় দ্রুততায় মাত্র চার দিনেই সম্পন্ন করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি আগে সংসদ ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। সংবিধানের এই বিধানমতে, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৯ জানুয়ারি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, সে কারণে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যাঁরা সংসদ সদস্য ছিলেন, তাঁরা সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল আছেন।’
এ সময় সরকার পতনের আন্দোলনকে জোরদার করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দেশবাসীকে আহ্বান জানান রিজভী।
জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কর্মসূচি
১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় রাজধানীতে রমনায় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরের চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ জিয়ার কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার ও পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া দলের অঙ্গ, সহযোগী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৫ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২০ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
২১ ঘণ্টা আগে