নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাঁদের গুম করে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ঘটনাকে ‘আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে সরকারকে এই কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দকে গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তিন-চার কিংবা পাঁচ দিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে— যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের নাগরিকদের গুম করার ভয়াবহ সংস্কৃতি চালু রেখে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। সরকারকে এ ধরনের লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ইতিহাসে হতাহতের যে বর্বরোচিত নজির স্থাপন করেছে তা দেশ-বিদেশের সব স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে। অবৈধ সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহারসহ সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দমন করতে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন যে পরিমাণে নিরীহ ছাত্র-জনতাকে গুলি চালিয়ে পাখির মতো হত্যা করা হয়েছে, গণহত্যা চালানো হয়েছে—তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়। কতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে জনগণ তাঁর সঠিক পরিসংখ্যান জানতে চায়। এ ছাড়া জনগণের টাকায় কেনা কী পরিমাণ গোলাবারুদ, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে তার হিসাবও জনগণ জানতে চায়। রাষ্ট্রের টাকায় কেনা হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করে নেবে।’
বিবৃতিতে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্মমভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তাই এই অবৈধ সরকারকে বলব, অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।’
বিবৃতিতে এই সরকারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের দুর্বার সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাঁদের গুম করে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ঘটনাকে ‘আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে সরকারকে এই কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দকে গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তিন-চার কিংবা পাঁচ দিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে— যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের নাগরিকদের গুম করার ভয়াবহ সংস্কৃতি চালু রেখে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। সরকারকে এ ধরনের লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ইতিহাসে হতাহতের যে বর্বরোচিত নজির স্থাপন করেছে তা দেশ-বিদেশের সব স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে। অবৈধ সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহারসহ সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দমন করতে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন যে পরিমাণে নিরীহ ছাত্র-জনতাকে গুলি চালিয়ে পাখির মতো হত্যা করা হয়েছে, গণহত্যা চালানো হয়েছে—তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়। কতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে জনগণ তাঁর সঠিক পরিসংখ্যান জানতে চায়। এ ছাড়া জনগণের টাকায় কেনা কী পরিমাণ গোলাবারুদ, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে তার হিসাবও জনগণ জানতে চায়। রাষ্ট্রের টাকায় কেনা হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করে নেবে।’
বিবৃতিতে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্মমভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তাই এই অবৈধ সরকারকে বলব, অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।’
বিবৃতিতে এই সরকারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের দুর্বার সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৩ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৯ ঘণ্টা আগে