নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী দিনের আন্দোলনের করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। আজ রোববার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংলাপের প্রথম দিনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটি।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অংশ নেন। অন্যদিকে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে দলটির ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উভয় পক্ষের নেতারা। এ সময় আগামী দিনের আন্দোলনে বড় চমক আসছে বলেও জানান তারা।
দ্বিতীয় দফা সংলাপের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির বিষয়ে প্রথম দফায় আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছিলাম। এখন কোন ইস্যুতে আমরা আন্দোলনটা করব, সেই বিষয়ে একমত হওয়ার জন্য সব দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি।
প্রথম দফায় জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিল বিএনপি। দ্বিতীয় দফায় এই দলগুলোর বাইরে অন্য দলের সঙ্গেও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দলের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ আছে।’
বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দফার বৈঠক শুরু করেছি। আলোচনা শেষে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষে আমরা যে কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন শুরু করব, সেগুলোর বিষয়ে একমত হয়েছি। নির্বচনকালীন সরকার, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার মুক্তি, মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।
এ সময় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জানান, বৈঠকে অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হওয়া ধর্মীয় অঙ্গনের আলেম-ওলামাদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। একটি কথা বারবার এসেছে, সবাই জানতে চেয়েছেন যুগপৎ আন্দোলন কবে হবে। সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। এখনই দিন-তারিখ বলা না গেলেও সামনে একটা চমক আসছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রাম, সেটি আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। আমরা সবাই মিলে এই যুদ্ধে লড়ব এবং জয়ী হব। এখানে জয় ব্যতীত কোনো বিকল্প নাই। কল্যাণ পার্টি যুগপৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। ঘোষণা আসলেই প্রখর রাজপথে আমাদের পাবেন।’
গত ২৪ মে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম সংলাপ শুরু করে বিএনপি। প্রথম দফার ওই সংলাপে ২২টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল জেএসডি, গণফোরামের একাংশ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ইসলামী ঐক্যজোট, কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), লেবার পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ জাতীয় দল, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সাম্যবাদী দল, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি একাংশ (এনডিপি), ইসলামিক পার্টি, পিপলস লীগ, ন্যাপ-ভাসানী ও বাংলাদেশ ন্যাপ (একাংশ)।
আগামী দিনের আন্দোলনের করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। আজ রোববার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংলাপের প্রথম দিনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটি।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অংশ নেন। অন্যদিকে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে দলটির ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উভয় পক্ষের নেতারা। এ সময় আগামী দিনের আন্দোলনে বড় চমক আসছে বলেও জানান তারা।
দ্বিতীয় দফা সংলাপের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির বিষয়ে প্রথম দফায় আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছিলাম। এখন কোন ইস্যুতে আমরা আন্দোলনটা করব, সেই বিষয়ে একমত হওয়ার জন্য সব দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি।
প্রথম দফায় জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিল বিএনপি। দ্বিতীয় দফায় এই দলগুলোর বাইরে অন্য দলের সঙ্গেও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দলের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ আছে।’
বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দফার বৈঠক শুরু করেছি। আলোচনা শেষে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষে আমরা যে কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন শুরু করব, সেগুলোর বিষয়ে একমত হয়েছি। নির্বচনকালীন সরকার, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার মুক্তি, মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।
এ সময় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জানান, বৈঠকে অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হওয়া ধর্মীয় অঙ্গনের আলেম-ওলামাদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। একটি কথা বারবার এসেছে, সবাই জানতে চেয়েছেন যুগপৎ আন্দোলন কবে হবে। সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। এখনই দিন-তারিখ বলা না গেলেও সামনে একটা চমক আসছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রাম, সেটি আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। আমরা সবাই মিলে এই যুদ্ধে লড়ব এবং জয়ী হব। এখানে জয় ব্যতীত কোনো বিকল্প নাই। কল্যাণ পার্টি যুগপৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। ঘোষণা আসলেই প্রখর রাজপথে আমাদের পাবেন।’
গত ২৪ মে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম সংলাপ শুরু করে বিএনপি। প্রথম দফার ওই সংলাপে ২২টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল জেএসডি, গণফোরামের একাংশ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ইসলামী ঐক্যজোট, কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), লেবার পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ জাতীয় দল, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সাম্যবাদী দল, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি একাংশ (এনডিপি), ইসলামিক পার্টি, পিপলস লীগ, ন্যাপ-ভাসানী ও বাংলাদেশ ন্যাপ (একাংশ)।
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
১ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৬ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৮ ঘণ্টা আগে