নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সদ্য শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজয়ের পর তাঁকে নিয়ে এমন ভাবনা চলছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
যদিও আজমত উল্লা খান আজকের পত্রিকা’কে জানিয়েছেন, তিনি উপনির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী না। তবে দল যদি তাঁকে কোনো জায়গায় মনোনয়ন দেয় তখন অবশ্যই নির্বাচন করবেন।
ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও গাজীপুরের সন্তান আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মারা যান। ওই দিন থেকে আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই হিসাবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এ আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জোর আলোচনায় আজমত উল্লা খান।
২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু তিনি বিএনপির সমর্থিত এম এ মান্নানের কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র হন জাহাঙ্গীর আলম। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনের কাছে হারেন আজমত উল্লা। পরাজয়ের পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতাকে দায়ী করে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে গাদ্দারি করেছে।’
এদিকে নির্বাচনের দুই দিন পরে গতকাল রোববার গণভবনে আজমত উল্লা খানকে ডেকে পাঠান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি আজমত উল্লাকে সান্ত্বনা দেন। সেখানে নেতা-কর্মীদের অনৈক্যের কারণের নৌকার যে ভরাডুবি হয়েছে তার বিষয়েও আজমত উল্লাকে বলেন শেখ হাসিনা। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, দলের মধ্যে ঐক্য ছিল না। মনেপ্রাণে সবাই কাজ করে নাই। শেখ হাসিনা আজমত উল্লাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দেন বলেও জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, গাসিকে নৌকার পরাজয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি মনে করছেন দলীয় কোন্দল এবং নির্দিষ্ট একটি পক্ষের বিরোধিতার কারণেই ভরাডুবি হয়েছে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ হিসেবে খ্যাত গাজীপুরে। একই সঙ্গে তিনি পরাজয়ের কারণ বের করতে একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আজমত উল্লা আওয়ামী লীগ সভাপতির ‘গুডবুকে’ আছেন বলে সূত্রটি দাবি করেছে।
জানতে চাইলে আজমত উল্লা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ব্যাপারে (উপনির্বাচন) নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। এমনকি গাজীপুরের সংসদীয় আসনের প্রার্থী নিয়েও কোনো কথা হয়নি। উনি আমাকে সংগঠনকে শক্তিশালী এবং গোছানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল কাদের খান ও ওয়াকিল উদ্দিন এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। গত নির্বাচনে নায়ক ফারুকের পাশাপাশি আবদুল কাদের খানকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের সময় ফারুক টিকে যাওয়ায় বাদ পড়েন কাদের খান। এদিকে ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। নায়ক ফেরদৌসের নামও শোনা যাচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:
সদ্য শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজয়ের পর তাঁকে নিয়ে এমন ভাবনা চলছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
যদিও আজমত উল্লা খান আজকের পত্রিকা’কে জানিয়েছেন, তিনি উপনির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী না। তবে দল যদি তাঁকে কোনো জায়গায় মনোনয়ন দেয় তখন অবশ্যই নির্বাচন করবেন।
ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও গাজীপুরের সন্তান আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মারা যান। ওই দিন থেকে আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই হিসাবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এ আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জোর আলোচনায় আজমত উল্লা খান।
২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু তিনি বিএনপির সমর্থিত এম এ মান্নানের কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র হন জাহাঙ্গীর আলম। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনের কাছে হারেন আজমত উল্লা। পরাজয়ের পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতাকে দায়ী করে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে গাদ্দারি করেছে।’
এদিকে নির্বাচনের দুই দিন পরে গতকাল রোববার গণভবনে আজমত উল্লা খানকে ডেকে পাঠান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি আজমত উল্লাকে সান্ত্বনা দেন। সেখানে নেতা-কর্মীদের অনৈক্যের কারণের নৌকার যে ভরাডুবি হয়েছে তার বিষয়েও আজমত উল্লাকে বলেন শেখ হাসিনা। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, দলের মধ্যে ঐক্য ছিল না। মনেপ্রাণে সবাই কাজ করে নাই। শেখ হাসিনা আজমত উল্লাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দেন বলেও জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, গাসিকে নৌকার পরাজয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি মনে করছেন দলীয় কোন্দল এবং নির্দিষ্ট একটি পক্ষের বিরোধিতার কারণেই ভরাডুবি হয়েছে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ হিসেবে খ্যাত গাজীপুরে। একই সঙ্গে তিনি পরাজয়ের কারণ বের করতে একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আজমত উল্লা আওয়ামী লীগ সভাপতির ‘গুডবুকে’ আছেন বলে সূত্রটি দাবি করেছে।
জানতে চাইলে আজমত উল্লা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ব্যাপারে (উপনির্বাচন) নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। এমনকি গাজীপুরের সংসদীয় আসনের প্রার্থী নিয়েও কোনো কথা হয়নি। উনি আমাকে সংগঠনকে শক্তিশালী এবং গোছানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল কাদের খান ও ওয়াকিল উদ্দিন এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। গত নির্বাচনে নায়ক ফারুকের পাশাপাশি আবদুল কাদের খানকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের সময় ফারুক টিকে যাওয়ায় বাদ পড়েন কাদের খান। এদিকে ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। নায়ক ফেরদৌসের নামও শোনা যাচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৩ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৯ ঘণ্টা আগে