নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার গণমাধ্যমসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর অংশ হিসেবে মসজিদকেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে মসজিদে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিছুদিন আগে দেখেছিলাম, এখন আছে কিনা জানি না—খুতবা যে হবে, সেটাও তারা নির্ধারণ করে দেয়। এর চেয়ে খারাপ কথা আর কী হতে পারে। সেই কাজগুলো করতে তারা দ্বিধাবোধ করে না। কিছুদিন আগে দেখেছিলাম যে, মসজিদে মসজিদে পুলিশ সব দাঁড়িয়ে থাকে, এখনো থাকে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘শুধু ইসলাম ধর্ম প্রচারের কারণে আমাদের বহু আলেম-ওলামা আজকে কারাগারে। এখানে বিশিষ্ট আলেম, সর্বজনশ্রদ্ধেয় মানুষদের কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের আলেমদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা দেয়নি, মামলা প্রত্যাহার করেনি। উপরন্তু আলেম-ওলামাদের কী করে নাজেহাল করা যায়, মিথ্যা মামলা দেওয়া যায় মিথ্যা নাটক সাজিয়ে, সেই কাজগুলো তারা করেছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এরা (সরকার) সবার ওপর অত্যাচার করছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার করছে, তাদের উপাসনালয়গুলো ভেঙে দেয়, দুর্গাপূজার মণ্ডপ ভেঙে দেয়, তাদের সম্পত্তি দখল করে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্ষমতাবলে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগে সংবাদপত্র বিভিন্ন দপ্তরে যে চুরি হচ্ছে, সেগুলো তুলে ধরত। এখন তারা সেগুলোও লিখতে পারবে না। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রতিটি থানায় বিএনপির নেতা ও অর্থ জোগানদাতাদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছে। বিরোধী দল যাতে কোনো কাজ করতে না পারে, সে জন্য এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের ওপর দমনপীড়ন করা হবে।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কর্মী সোনিয়া আক্তারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিবাদী একজন নারীকে রাত দুইটার সময় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই যে একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে, যা দেশের মানুষ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে।
প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দখলে চলে গেছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ হামলা করেছে। এর আগে ছাত্রদল শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। সেখানেও তাদের অন্যায় ও মর্মান্তিকভাবে বেধড়ক পিটিয়েছে।
দেশে বিদ্যুৎ নেই, এটাই এই সরকারের আসল চেহারা মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুতের কথা বলে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তৈরির নামে অর্থ চুরি ও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে যে পরিমাণ টাকা তারা (সরকার) লুট করেছে, তা দিয়ে এক বছরের বাজেট হয়ে যেত।
সরকার পতনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সামনে পথ একটাই। সেই পথ হচ্ছে আমরা এই সরকারকে সরিয়ে দেব। সরকার প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে চায়। নির্বাচন করতে চায়। কোন নির্বাচন করবেন? আপনারা কি সেই ২০১৪ আর ২০১৮-এর নির্বাচন করবেন? নির্বাচন এখানে কখনোই হবে না-যতক্ষণ না এখানে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে। স্পষ্ট করে বলেছি-আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি, তাদের এককাতারে আনার চেষ্টা করছি যে, সবার আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
সরকার গণমাধ্যমসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর অংশ হিসেবে মসজিদকেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে মসজিদে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিছুদিন আগে দেখেছিলাম, এখন আছে কিনা জানি না—খুতবা যে হবে, সেটাও তারা নির্ধারণ করে দেয়। এর চেয়ে খারাপ কথা আর কী হতে পারে। সেই কাজগুলো করতে তারা দ্বিধাবোধ করে না। কিছুদিন আগে দেখেছিলাম যে, মসজিদে মসজিদে পুলিশ সব দাঁড়িয়ে থাকে, এখনো থাকে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘শুধু ইসলাম ধর্ম প্রচারের কারণে আমাদের বহু আলেম-ওলামা আজকে কারাগারে। এখানে বিশিষ্ট আলেম, সর্বজনশ্রদ্ধেয় মানুষদের কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের আলেমদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা দেয়নি, মামলা প্রত্যাহার করেনি। উপরন্তু আলেম-ওলামাদের কী করে নাজেহাল করা যায়, মিথ্যা মামলা দেওয়া যায় মিথ্যা নাটক সাজিয়ে, সেই কাজগুলো তারা করেছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এরা (সরকার) সবার ওপর অত্যাচার করছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার করছে, তাদের উপাসনালয়গুলো ভেঙে দেয়, দুর্গাপূজার মণ্ডপ ভেঙে দেয়, তাদের সম্পত্তি দখল করে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্ষমতাবলে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগে সংবাদপত্র বিভিন্ন দপ্তরে যে চুরি হচ্ছে, সেগুলো তুলে ধরত। এখন তারা সেগুলোও লিখতে পারবে না। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রতিটি থানায় বিএনপির নেতা ও অর্থ জোগানদাতাদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছে। বিরোধী দল যাতে কোনো কাজ করতে না পারে, সে জন্য এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের ওপর দমনপীড়ন করা হবে।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কর্মী সোনিয়া আক্তারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিবাদী একজন নারীকে রাত দুইটার সময় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই যে একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে, যা দেশের মানুষ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে।
প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দখলে চলে গেছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ হামলা করেছে। এর আগে ছাত্রদল শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। সেখানেও তাদের অন্যায় ও মর্মান্তিকভাবে বেধড়ক পিটিয়েছে।
দেশে বিদ্যুৎ নেই, এটাই এই সরকারের আসল চেহারা মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুতের কথা বলে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তৈরির নামে অর্থ চুরি ও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে যে পরিমাণ টাকা তারা (সরকার) লুট করেছে, তা দিয়ে এক বছরের বাজেট হয়ে যেত।
সরকার পতনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সামনে পথ একটাই। সেই পথ হচ্ছে আমরা এই সরকারকে সরিয়ে দেব। সরকার প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে চায়। নির্বাচন করতে চায়। কোন নির্বাচন করবেন? আপনারা কি সেই ২০১৪ আর ২০১৮-এর নির্বাচন করবেন? নির্বাচন এখানে কখনোই হবে না-যতক্ষণ না এখানে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে। স্পষ্ট করে বলেছি-আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি, তাদের এককাতারে আনার চেষ্টা করছি যে, সবার আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
১ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
৪ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৮ ঘণ্টা আগে