অনলাইন ডেস্ক
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার যে সময়সীমা উল্লেখ করেছেন, তাতে তিনি খুশি। যদিও এই সময় তাঁর প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, দেশে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এর আগে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ নিতে অস্বীকৃতি জানান সেনাপ্রধান। ফলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান।
গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আমি খুশি যে আমাদের প্রত্যাশিত একটি সময়সীমা এখন আছে আমাদের সামনে। তবে আমরা এই নাটক আগেও দেখেছি, যেখানে একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তারপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।’
এ সময় জয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক আগে পাকিস্তানের জান্তা সরকারের কর্মকাণ্ডের উদাহরণ দেন। পাশাপাশি নিকট অতীতে, ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে এই অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় ছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সে সময় সেনাবাহিনী শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণ করে। সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন, তিনি সপ্তাহে এক দিন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কারণ, সেনাবাহিনী স্থিতিশীলতার পক্ষে।
যাহোক, গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং অপর প্রধান দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে। কিন্তু শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে, গঠিত ছয়টি সংস্কার প্যানেলের সুপারিশ পাওয়ার পর সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করা হলে এবং ভোটার তালিকা তৈরি হওয়ার পরপরই ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’ তবে বিএনপি বলেছে, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন চায়।
বর্তমানে ওয়াশিংটনে বসবাসকারী সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তিনি বা অন্তর্বর্তী সরকার কেউই ১৭ কোটি মানুষের দেশে ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন পর্যন্ত পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার ও নির্বাচন করা অসম্ভব।’
গত আগস্ট মাসে দেশ ছাড়ার পর থেকেই শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের আরও অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হয় হাজারের বেশি লোক মারা যাওয়া সহিংসতায় ভূমিকা রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নয়তো তাঁরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। জয় বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
জয়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা সাড়া দেয়নি।
এদিকে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, পর্যালোচনা করে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ হবে কি না, নাকি দলটি ছাড়াই তারা নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করবে, সেটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’
এর আগে, গত আগস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা দেশে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এবং আওয়ামী লীগ নির্বাচনে লড়াই করতে চায়।
গতকাল রয়টার্স জয়ের কাছে জানতে চায়, শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরতে পারেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি তাঁর (হাসিনা) ওপর নির্ভর করবে। এ মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকদের নিরাপদ রাখতে চাই, তাই আমি এই ইউনূস সরকার তাদের ওপর যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়াতে চাই।’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার যে সময়সীমা উল্লেখ করেছেন, তাতে তিনি খুশি। যদিও এই সময় তাঁর প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, দেশে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এর আগে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ নিতে অস্বীকৃতি জানান সেনাপ্রধান। ফলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান।
গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আমি খুশি যে আমাদের প্রত্যাশিত একটি সময়সীমা এখন আছে আমাদের সামনে। তবে আমরা এই নাটক আগেও দেখেছি, যেখানে একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তারপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।’
এ সময় জয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক আগে পাকিস্তানের জান্তা সরকারের কর্মকাণ্ডের উদাহরণ দেন। পাশাপাশি নিকট অতীতে, ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে এই অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় ছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সে সময় সেনাবাহিনী শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণ করে। সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন, তিনি সপ্তাহে এক দিন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কারণ, সেনাবাহিনী স্থিতিশীলতার পক্ষে।
যাহোক, গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং অপর প্রধান দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে। কিন্তু শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে, গঠিত ছয়টি সংস্কার প্যানেলের সুপারিশ পাওয়ার পর সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করা হলে এবং ভোটার তালিকা তৈরি হওয়ার পরপরই ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’ তবে বিএনপি বলেছে, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন চায়।
বর্তমানে ওয়াশিংটনে বসবাসকারী সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তিনি বা অন্তর্বর্তী সরকার কেউই ১৭ কোটি মানুষের দেশে ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন পর্যন্ত পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার ও নির্বাচন করা অসম্ভব।’
গত আগস্ট মাসে দেশ ছাড়ার পর থেকেই শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের আরও অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হয় হাজারের বেশি লোক মারা যাওয়া সহিংসতায় ভূমিকা রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নয়তো তাঁরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। জয় বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
জয়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা সাড়া দেয়নি।
এদিকে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, পর্যালোচনা করে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ হবে কি না, নাকি দলটি ছাড়াই তারা নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করবে, সেটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’
এর আগে, গত আগস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা দেশে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এবং আওয়ামী লীগ নির্বাচনে লড়াই করতে চায়।
গতকাল রয়টার্স জয়ের কাছে জানতে চায়, শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরতে পারেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি তাঁর (হাসিনা) ওপর নির্ভর করবে। এ মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকদের নিরাপদ রাখতে চাই, তাই আমি এই ইউনূস সরকার তাদের ওপর যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়াতে চাই।’
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
৪ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
৫ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
৬ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
১০ ঘণ্টা আগে