নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘লজ্জা-শরম থাকলে সরকারের পদত্যাগ, নয়তো মন্ত্রীদের আত্মহত্যা করা উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বসে যদি ওনাকে বলা হয়, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, আমরা মানবাধিকার চাই, আইনের শাসন চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। আমি তো মনে করি, লজ্জা-শরম থাকলে সুইসাইড করার কথা। সত্যিকার অর্থে বলছি, সুইসাইড করার কথা। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বসে যদি কেউ, বিদেশের মন্ত্রী এসব কথা বলে, মন্ত্রীদের অফিসে-অফিসে গিয়ে যদি এই সমস্ত কথা বলে, লজ্জা-শরম থাকলে হয় পদত্যাগ করা উচিত, না হলে সুইসাইড করা উচিত।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু এসব কথা বলেন।
এর আগে তাঁর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে এনডিএমের নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলার চিত্র তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে বিএনপির দুজন মারা গেছেন। এর আগে আরও ১৭ জন মারা গেছেন। শত শত নেতা-কর্মী আহত হচ্ছে, মিথ্যা মামলা হচ্ছে, গ্রেপ্তার হচ্ছে। পুলিশ পোস্টিং হচ্ছে, ডিসি পোস্টিং হচ্ছে, টিএনও পোস্টিং হচ্ছে। ভোট চুরির প্রকল্পের সব রকম কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সমস্ত বিশ্ববিবেক, গণতন্ত্রকামী দেশ সবাই আজকে বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কাজ করছে। আজকে যদি বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন থাকত, তাহলে এতগুলো দেশের প্রতিনিধ দল এখানে আসার কথা না।’
এক দফা ঘোষণার পর বিএনপি সারা দেশে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে—এটা একটি সুশৃঙ্খল, অহিংস আন্দোলন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আর যাদের কোনো জনসমর্থন নেই, যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তারাই তো সহিংসতার দিকে যাবে। বিএনপি এবং যারা এই আন্দোলনে আছে, তাদের তো সহিংসতার দিকে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। জনসমর্থন নিয়ে যারা মাঠে থাকে, জনগণ যাদের সঙ্গে থাকে, তারা সহিংসতা করে না। সহিংসতা করে তারাই, যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, জনসমর্থন হারিয়ে জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
আগামীকাল শনিবার ঢাকায় হতে যাওয়া বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির এখন প্রস্তুতি লাগে না। বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে, সেটা মহাসমাবেশ হয়। বিএনপির এখন সমাবেশ হয় না। বিএনপির প্রত্যেকটা কর্মসূচিই মহাসমাবেশ হয়। এর পেছনে কারণ—একদিকে জনগণের সমর্থন, অন্যদিকে সুশৃঙ্খল এবং অহিংস আন্দোলন। আগামী দিনে আন্দোলন আরও গতি পাবে, জনগণের অধিক সমর্থন নিয়ে আন্দোলন সফলতার দিকে যাবে। সুশৃঙ্খল ও অহিংস আন্দোলন চলছে। এ জন্য এই আন্দোলনে জনগণ সমর্থন দিচ্ছে, সম্পৃক্ত হচ্ছে। এ জন্যই আন্দোলন গতি পাচ্ছে এবং যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, জনগণের সমর্থন নিয়েই তো আমরা এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। লক্ষ লক্ষ মানুষ যে রাস্তায় নামছে, জনগণের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব না।’
‘লজ্জা-শরম থাকলে সরকারের পদত্যাগ, নয়তো মন্ত্রীদের আত্মহত্যা করা উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বসে যদি ওনাকে বলা হয়, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, আমরা মানবাধিকার চাই, আইনের শাসন চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। আমি তো মনে করি, লজ্জা-শরম থাকলে সুইসাইড করার কথা। সত্যিকার অর্থে বলছি, সুইসাইড করার কথা। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বসে যদি কেউ, বিদেশের মন্ত্রী এসব কথা বলে, মন্ত্রীদের অফিসে-অফিসে গিয়ে যদি এই সমস্ত কথা বলে, লজ্জা-শরম থাকলে হয় পদত্যাগ করা উচিত, না হলে সুইসাইড করা উচিত।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু এসব কথা বলেন।
এর আগে তাঁর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে এনডিএমের নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলার চিত্র তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে বিএনপির দুজন মারা গেছেন। এর আগে আরও ১৭ জন মারা গেছেন। শত শত নেতা-কর্মী আহত হচ্ছে, মিথ্যা মামলা হচ্ছে, গ্রেপ্তার হচ্ছে। পুলিশ পোস্টিং হচ্ছে, ডিসি পোস্টিং হচ্ছে, টিএনও পোস্টিং হচ্ছে। ভোট চুরির প্রকল্পের সব রকম কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সমস্ত বিশ্ববিবেক, গণতন্ত্রকামী দেশ সবাই আজকে বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কাজ করছে। আজকে যদি বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন থাকত, তাহলে এতগুলো দেশের প্রতিনিধ দল এখানে আসার কথা না।’
এক দফা ঘোষণার পর বিএনপি সারা দেশে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে—এটা একটি সুশৃঙ্খল, অহিংস আন্দোলন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আর যাদের কোনো জনসমর্থন নেই, যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তারাই তো সহিংসতার দিকে যাবে। বিএনপি এবং যারা এই আন্দোলনে আছে, তাদের তো সহিংসতার দিকে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। জনসমর্থন নিয়ে যারা মাঠে থাকে, জনগণ যাদের সঙ্গে থাকে, তারা সহিংসতা করে না। সহিংসতা করে তারাই, যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, জনসমর্থন হারিয়ে জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
আগামীকাল শনিবার ঢাকায় হতে যাওয়া বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির এখন প্রস্তুতি লাগে না। বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে, সেটা মহাসমাবেশ হয়। বিএনপির এখন সমাবেশ হয় না। বিএনপির প্রত্যেকটা কর্মসূচিই মহাসমাবেশ হয়। এর পেছনে কারণ—একদিকে জনগণের সমর্থন, অন্যদিকে সুশৃঙ্খল এবং অহিংস আন্দোলন। আগামী দিনে আন্দোলন আরও গতি পাবে, জনগণের অধিক সমর্থন নিয়ে আন্দোলন সফলতার দিকে যাবে। সুশৃঙ্খল ও অহিংস আন্দোলন চলছে। এ জন্য এই আন্দোলনে জনগণ সমর্থন দিচ্ছে, সম্পৃক্ত হচ্ছে। এ জন্যই আন্দোলন গতি পাচ্ছে এবং যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, জনগণের সমর্থন নিয়েই তো আমরা এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। লক্ষ লক্ষ মানুষ যে রাস্তায় নামছে, জনগণের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব না।’
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৩ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৯ ঘণ্টা আগে