‘ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগের নেতারা যে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে তা বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন সরকারের আমলে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আরও একটি ঘৃণ্য বহিঃপ্রকাশ। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এ ধরনের হামলায় আবারও প্রমাণিত হলো-গণতন্ত্রকে বিলীন করে আইনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা সমগ্র দেশে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে বেপরোয়া, বেসামাল ও হিংস্র হয়ে উঠেছে।’ 

সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এখন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। সরকার নিজেদের ব্যর্থ চেহারা ঢাকতেই পবিত্র রমজান মাসেও বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর সহিংস হামলা অব্যাহত রেখেছে। অগণতান্ত্রিক পন্থায় দেশ শাসনের কারণেই দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। যার ফলশ্রুতিতে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা এখন চরম হুমকির মুখে। 

• বিএনপির ইফতারে আওয়ামী লীগের হামলার অভিযোগ

মির্জা ফখরুল বলেন, সিয়াম সাধনার মাসে ইফতার মাহফিলের মতো স্পর্শকাতর অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় এটি স্পষ্ট যে, স্বাধীন রাষ্ট্রটি এখন সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের হামলা ও নেতা–কর্মীদের আহত করা সেটিরই নিকৃষ্ট উদাহরণ। 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, পুলিশের চোখের সামনে প্রতিনিয়ত সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের নারকীয় তাণ্ডব চললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব থাকার কারণেই সন্ত্রাসীরা অতি উৎসাহে বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের ওপর হামলা ও নৃশংসতা চালাতে সাহস পাচ্ছে। দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর ক্রমাগত জুলুম নির্যাতন ও গুম, খুন, অপহরণের যে হিড়িক চলছে তাতে দেশের মানুষ এখন সর্বদা আতঙ্কগ্রস্ত। এই ধরনের সহিংস জুলুম ও রক্তপাতের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই। 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়ে আহত নেতা কর্মীদের সুস্থতা কামনা করেন মির্জা ফখরুল।