নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হলো তার বিস্তারিত হিসাব জনগণ জানতে চায় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ থেকে খাদ্যশস্য কেনার জন্য ব্যয় করা হয়, ঋণ পরিশোধ করি। কিন্তু উনি (প্রধানমন্ত্রী) জোর দিয়ে বলেছেন এটা পায়রা বন্দরে খরচ হয়েছে। আমরা জানতে চাই কীভাবে খরচ হলো? কারা করল? কাদের দিয়ে করালেন? রিজার্ভের টাকা কীভাবে ব্যয় হলো? কোথায় কার কাছে হিসাব দিলেন?’
আজ শুক্রবার বিকেলে সেগুণ বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগে জানতাম বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা অন্যান্য ব্যাংক, মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদেরই আড়াই হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। শেয়ার বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে মানুষকে নিঃস্ব করে ফেলেছে। তদন্তের পর অর্থমন্ত্রী বললেন শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারিতে যারা যুক্ত তাদের হাত অনেক লম্বা। এই হচ্ছে অর্থনীতির অবস্থা।
এই সরকার সম্পূর্ণভাবে গণবিরোধী এবং অবৈধ সরকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগকে বর্গিদের দল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, এরা সম্পূর্ণভাবে গণবিরোধী অবৈধ সরকার। এরা বর্গিদের দল। আগে বর্গিদের ভয় দেখিয়ে মায়েরা বাচ্চাদের ঘুম পাড়াতো। বর্গিরা এসে লুট করত। ফসল লুট করে চলে যেতো। ফসলের টাকা নিয়ে চলে যেতো। এরা যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের জনগণের ওপর বর্গির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশের মানুষের পকেট কাটে, লুট করে।
মুক্তিযুদ্ধ শুধুমাত্র একটা ভূখণ্ডের জন্য লড়াই ছিল না জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার লড়াই ছিল। সেই লড়াই ছিল আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটা নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করে দেওয়ার জন্য। কী দুর্ভাগ্য আমাদের! স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমরা দেখছি, যা ছিলাম তার চেয়ে আরও খারাপ অবস্থায় আছি।
এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা কি? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি একদলীয় শাসনও ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা? বাকশাল তৈরি করেছিল ১৯৭৫ সালে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিল। সমস্ত পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। নিজের মত প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। করতে গেলে একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে আমাদের নির্যাতন করে, মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মানুষের দাবি নিয়ে আন্দোলনে তারা গুলি করে হত্যা করছে, পঙ্গু করছে।
দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, আমাদের কোনো বিকল্প নাই। জাতীয় নির্বাচন তো পরে, তার আগে এদের বিদায় করতে হবে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এখন তরুণদের দায়িত্ব হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দেশকে আবারও মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন।
আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই গণতন্ত্র আজ আবার বিলীন হয়ে গেছে। তবে আগামী বছর ভোটে বিএনপি আবার জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বলছে, ডিসেম্বরে বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। বিজয়ের মাসে দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামা যাবে না? যেভাবে সভা-সমাবেশে বাঁধা দিচ্ছে তাতে সহজেই অনুমান করা যায় আগামী বছর দেশে একটা গৃহযুদ্ধ হবে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রমুখ।
রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হলো তার বিস্তারিত হিসাব জনগণ জানতে চায় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ থেকে খাদ্যশস্য কেনার জন্য ব্যয় করা হয়, ঋণ পরিশোধ করি। কিন্তু উনি (প্রধানমন্ত্রী) জোর দিয়ে বলেছেন এটা পায়রা বন্দরে খরচ হয়েছে। আমরা জানতে চাই কীভাবে খরচ হলো? কারা করল? কাদের দিয়ে করালেন? রিজার্ভের টাকা কীভাবে ব্যয় হলো? কোথায় কার কাছে হিসাব দিলেন?’
আজ শুক্রবার বিকেলে সেগুণ বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগে জানতাম বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা অন্যান্য ব্যাংক, মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদেরই আড়াই হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। শেয়ার বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে মানুষকে নিঃস্ব করে ফেলেছে। তদন্তের পর অর্থমন্ত্রী বললেন শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারিতে যারা যুক্ত তাদের হাত অনেক লম্বা। এই হচ্ছে অর্থনীতির অবস্থা।
এই সরকার সম্পূর্ণভাবে গণবিরোধী এবং অবৈধ সরকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগকে বর্গিদের দল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, এরা সম্পূর্ণভাবে গণবিরোধী অবৈধ সরকার। এরা বর্গিদের দল। আগে বর্গিদের ভয় দেখিয়ে মায়েরা বাচ্চাদের ঘুম পাড়াতো। বর্গিরা এসে লুট করত। ফসল লুট করে চলে যেতো। ফসলের টাকা নিয়ে চলে যেতো। এরা যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের জনগণের ওপর বর্গির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশের মানুষের পকেট কাটে, লুট করে।
মুক্তিযুদ্ধ শুধুমাত্র একটা ভূখণ্ডের জন্য লড়াই ছিল না জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার লড়াই ছিল। সেই লড়াই ছিল আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটা নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করে দেওয়ার জন্য। কী দুর্ভাগ্য আমাদের! স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমরা দেখছি, যা ছিলাম তার চেয়ে আরও খারাপ অবস্থায় আছি।
এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা কি? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি একদলীয় শাসনও ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা? বাকশাল তৈরি করেছিল ১৯৭৫ সালে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিল। সমস্ত পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। নিজের মত প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। করতে গেলে একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে আমাদের নির্যাতন করে, মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মানুষের দাবি নিয়ে আন্দোলনে তারা গুলি করে হত্যা করছে, পঙ্গু করছে।
দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, আমাদের কোনো বিকল্প নাই। জাতীয় নির্বাচন তো পরে, তার আগে এদের বিদায় করতে হবে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এখন তরুণদের দায়িত্ব হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দেশকে আবারও মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন।
আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই গণতন্ত্র আজ আবার বিলীন হয়ে গেছে। তবে আগামী বছর ভোটে বিএনপি আবার জনগণের ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বলছে, ডিসেম্বরে বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। বিজয়ের মাসে দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামা যাবে না? যেভাবে সভা-সমাবেশে বাঁধা দিচ্ছে তাতে সহজেই অনুমান করা যায় আগামী বছর দেশে একটা গৃহযুদ্ধ হবে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রমুখ।
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
১০ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
১১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১২ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
১৬ ঘণ্টা আগে