নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর আদেশকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, এক পক্ষের বক্তব্য না শুনেই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এক পক্ষের বক্তব্য না শুনেই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি যথাক্রমে বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ। আদেশে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে হবে। বিচারপতিদের এই আদেশ রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করা।’
রিজভী আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের বিচারপতিদ্বয় তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরাতে বিটিআরসিকে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা শেখ হাসিনার মনের ইচ্ছা ও তাকে খুশি করার জন্যই দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির কাছে এই রিটটি অন্য আদালতে বদলির জন্য আবেদন করা হলেও তা গ্রাহ্য না করে এ ধরনের আদেশ ন্যায়বিচারকে সম্পূর্ণভাবে পদদলিত করার শামিল। একপ্রকার তড়িঘড়ি করেই তাঁরা এই রায়টি দিয়েছেন; তাতে বোঝা যায় তাঁরা কারও খায়েশ মেটানোর জন্য এটা করেছেন।’
দেশে আইনের শাসন নেই—উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘যে দেশে ফ্যাসিবাদ সর্বত্র পরিব্যাপ্ত, সেসব দেশ ছাড়া আদালতের এহেন বিবেকহীন পক্ষপাতমূলক রায় প্রদান নজিরবিহীন। আমরা উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের মুখ থেকে শুনতে পেয়েছি—তাঁরা না কি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। আজ সকালে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতির আদেশেও সেটি নগ্নভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁদের চেতনা আর শেখ হাসিনার চেতনার কোনো পার্থক্য নেই। আদালতের বিচারপতিদের চেতনা আর আওয়ামী চেতনা আজ একাকার।’
শেখ হাসিনার কাছে তারেক রহমান এখন একটি আতঙ্কের নাম জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘কারণ, তিনি (শেখ হাসিনা) হচ্ছে গণতন্ত্র হত্যাকারী আর তারেক রহমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দিন-রাত লড়াই করছেন। তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি কোনো সংবাদমাধ্যম প্রচার করছে না। কিন্তু প্রযুক্তির কারণে তাঁর সমস্ত বক্তব্য মানুষ শুনতে পায়। তাঁর বক্তব্য শুনে গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে বলেই শেখ হাসিনার এত আতঙ্ক।’
সরকার বিরোধী দলের কণ্ঠস্বর চেপে রাখতে চায় জানিয়ে রিজভী বলেন, তারা আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের রাজনীতিকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। কিন্তু এটি যে ব্যর্থ চাওয়া, তা জনগণ প্রতি ক্ষণে প্রমাণ করছে। আদালত এখন আওয়ামী দুর্বৃত্তদের শেষ আশ্রয় স্থলে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর আদেশকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, এক পক্ষের বক্তব্য না শুনেই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এক পক্ষের বক্তব্য না শুনেই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি যথাক্রমে বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ। আদেশে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে হবে। বিচারপতিদের এই আদেশ রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করা।’
রিজভী আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের বিচারপতিদ্বয় তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরাতে বিটিআরসিকে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা শেখ হাসিনার মনের ইচ্ছা ও তাকে খুশি করার জন্যই দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির কাছে এই রিটটি অন্য আদালতে বদলির জন্য আবেদন করা হলেও তা গ্রাহ্য না করে এ ধরনের আদেশ ন্যায়বিচারকে সম্পূর্ণভাবে পদদলিত করার শামিল। একপ্রকার তড়িঘড়ি করেই তাঁরা এই রায়টি দিয়েছেন; তাতে বোঝা যায় তাঁরা কারও খায়েশ মেটানোর জন্য এটা করেছেন।’
দেশে আইনের শাসন নেই—উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘যে দেশে ফ্যাসিবাদ সর্বত্র পরিব্যাপ্ত, সেসব দেশ ছাড়া আদালতের এহেন বিবেকহীন পক্ষপাতমূলক রায় প্রদান নজিরবিহীন। আমরা উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের মুখ থেকে শুনতে পেয়েছি—তাঁরা না কি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। আজ সকালে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতির আদেশেও সেটি নগ্নভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁদের চেতনা আর শেখ হাসিনার চেতনার কোনো পার্থক্য নেই। আদালতের বিচারপতিদের চেতনা আর আওয়ামী চেতনা আজ একাকার।’
শেখ হাসিনার কাছে তারেক রহমান এখন একটি আতঙ্কের নাম জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘কারণ, তিনি (শেখ হাসিনা) হচ্ছে গণতন্ত্র হত্যাকারী আর তারেক রহমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দিন-রাত লড়াই করছেন। তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি কোনো সংবাদমাধ্যম প্রচার করছে না। কিন্তু প্রযুক্তির কারণে তাঁর সমস্ত বক্তব্য মানুষ শুনতে পায়। তাঁর বক্তব্য শুনে গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে বলেই শেখ হাসিনার এত আতঙ্ক।’
সরকার বিরোধী দলের কণ্ঠস্বর চেপে রাখতে চায় জানিয়ে রিজভী বলেন, তারা আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের রাজনীতিকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। কিন্তু এটি যে ব্যর্থ চাওয়া, তা জনগণ প্রতি ক্ষণে প্রমাণ করছে। আদালত এখন আওয়ামী দুর্বৃত্তদের শেষ আশ্রয় স্থলে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৩ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৯ ঘণ্টা আগে