নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আপনাদের কাজ আপনারা করেন। আমাদেরকে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পালন করতে দেন। আমাদের তো প্রতিবাদের অধিকার আছে। আপনি শোনেন না শোনেন সেটি আপনার বিষয়। এ দেশের মানুষ ভালোর ভালো, খারাপের খারাপ। তাই মানুষকে খারাপ করার চেষ্টা করবেন না। আমরা শান্তিপ্রিয়, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী পেশাজীবী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ডামি সংসদ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার ভারত, চীন ও রাশিয়ার সরকার। চীন, রাশিয়ায় তো গণতন্ত্রের বালাই নেই। আর ভারতে এখন যা চলছে, সেই আগের রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য নেই।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, এই সরকার আর প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা একটি সম্মিলিত সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ১৮ কোটি মানুষের অধিকার হরণে এবং তাঁদের নাগরিক অধিকার বলতে যা আছে, সব অধিকার খর্ব করে একটি কর্তৃত্ববাদ চায়। এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের চরিত্র কখনো গণমুখী হয় না। কর্তৃত্ববাদীরা কখনো মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝতে রাজি না। কারণ কর্তৃত্ববাদীরা কখনোই জনগণ কর্তৃক সমর্থিত হয় না। সে কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোনো মায়া, মমতা অথবা সাংবিধানিক দায়িত্ববোধ কখনো জন্মায় না। এদের কর্তৃত্ববাদ মানেই হলো দেশের অর্থসম্পদ লুটপাট করা।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে সরকার এমনভাবে সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে যে এখন তারা দুর্নীতি না করলে চাকরি যায় অথবা দুর্নীতিতে সহায়তা না করলে চাকরি যায়। যখন সংসদ সদস্য আর দুর্নীতিবাজরা একাকার হয়ে যায়, তখন বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান চিত্র এটা হওয়া স্বাভাবিক।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাবে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা রেকর্ড করতে পারিনি, এক সরকারের মেয়াদে ১৭৩ দিন হরতাল দেওয়ার। আমরা রেকর্ড করতে পারিনি, গান পাউডার দিয়ে শেরাটনের সামনে বাসে মানুষ মারার। আমরা এখনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারিনি চলমান পথিককে বিবস্ত্র করার। আমরা এখনো পারিনি লগি-বইঠা দিয়ে মানুষ মেরে তার ওপর নাচ-গান করার। এসবের সংস্কৃতি কাদের মনে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, যারা জোর করে ক্ষমতায় থাকে।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর আসনে দুটি না তিনটি কেন্দ্রে ১০০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন—তার মানে কি টুঙ্গিপাড়ায় মানুষ মরে না, অথবা গত পাঁচ বছরে কেউ মারা যায়নি, বিদেশে যায়নি, অসুস্থ হয়নি।
বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল কুদ্দুস, এ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাড. আবেদ রেজা, কৃষিবিদ শফিকুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মাহতাব, ন্যাবের সভাপতি বেগম জাহানারা সিদ্দিকী, ড্যাবের সাবেক মহাসচিব ডা. ওবায়দুল কবির খান, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম প্রমুখ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আপনাদের কাজ আপনারা করেন। আমাদেরকে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পালন করতে দেন। আমাদের তো প্রতিবাদের অধিকার আছে। আপনি শোনেন না শোনেন সেটি আপনার বিষয়। এ দেশের মানুষ ভালোর ভালো, খারাপের খারাপ। তাই মানুষকে খারাপ করার চেষ্টা করবেন না। আমরা শান্তিপ্রিয়, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী পেশাজীবী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ডামি সংসদ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার ভারত, চীন ও রাশিয়ার সরকার। চীন, রাশিয়ায় তো গণতন্ত্রের বালাই নেই। আর ভারতে এখন যা চলছে, সেই আগের রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য নেই।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, এই সরকার আর প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা একটি সম্মিলিত সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ১৮ কোটি মানুষের অধিকার হরণে এবং তাঁদের নাগরিক অধিকার বলতে যা আছে, সব অধিকার খর্ব করে একটি কর্তৃত্ববাদ চায়। এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের চরিত্র কখনো গণমুখী হয় না। কর্তৃত্ববাদীরা কখনো মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝতে রাজি না। কারণ কর্তৃত্ববাদীরা কখনোই জনগণ কর্তৃক সমর্থিত হয় না। সে কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোনো মায়া, মমতা অথবা সাংবিধানিক দায়িত্ববোধ কখনো জন্মায় না। এদের কর্তৃত্ববাদ মানেই হলো দেশের অর্থসম্পদ লুটপাট করা।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে সরকার এমনভাবে সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে যে এখন তারা দুর্নীতি না করলে চাকরি যায় অথবা দুর্নীতিতে সহায়তা না করলে চাকরি যায়। যখন সংসদ সদস্য আর দুর্নীতিবাজরা একাকার হয়ে যায়, তখন বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান চিত্র এটা হওয়া স্বাভাবিক।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাবে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা রেকর্ড করতে পারিনি, এক সরকারের মেয়াদে ১৭৩ দিন হরতাল দেওয়ার। আমরা রেকর্ড করতে পারিনি, গান পাউডার দিয়ে শেরাটনের সামনে বাসে মানুষ মারার। আমরা এখনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারিনি চলমান পথিককে বিবস্ত্র করার। আমরা এখনো পারিনি লগি-বইঠা দিয়ে মানুষ মেরে তার ওপর নাচ-গান করার। এসবের সংস্কৃতি কাদের মনে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, যারা জোর করে ক্ষমতায় থাকে।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর আসনে দুটি না তিনটি কেন্দ্রে ১০০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন—তার মানে কি টুঙ্গিপাড়ায় মানুষ মরে না, অথবা গত পাঁচ বছরে কেউ মারা যায়নি, বিদেশে যায়নি, অসুস্থ হয়নি।
বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল কুদ্দুস, এ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাড. আবেদ রেজা, কৃষিবিদ শফিকুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মাহতাব, ন্যাবের সভাপতি বেগম জাহানারা সিদ্দিকী, ড্যাবের সাবেক মহাসচিব ডা. ওবায়দুল কবির খান, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম প্রমুখ।
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
১ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৬ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে