নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তারা এ থেকে মুক্তি চায়। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ একটিই-এ সরকারকে বিদায় দিতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর শাহজাহানপুরে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আজকে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নাই, যার দাম আকাশচুম্বী নয়। মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। আজকে রমজানে মানুষ সারা দিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় গিয়ে সামান্য ইফতার করবে, তার কোনো উপায় নেই। যারা বিদেশে লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে, তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ক’জন সেই অবস্থায় আছে।’
‘আজকে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে!’ এমন বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার ভাবছে তারা খুব লাভবান হয়েছে। সরকার ক্ষমতায় আছে, এটা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। গায়ের জোরে ক্ষমতায় তো থাকাই যায়! গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা যাবে না কেন? হাতে যদি বন্দুক থাকে, টিয়ার গ্যাস থাকে, হ্যান্ড গ্রেনেড থাকে, জল কামান থাকে তো ক্ষমতায় কেন থাকবে না!’
মঈন খান আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তো লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না, বিএনপিও লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না। কাজেই সরকার তাদের বুলেটের জোরে, বন্দুকের জোরে যা খুশি করছে। আমরা নীরব প্রতিবাদ করছি। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র যদি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া হয়, সেটি অর্জন করার বা পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়াও হতে হবে শান্তিপূর্ণ। গায়ের জোরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি না।’
তিনি বলেন, ’আমরা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিবর্তন চাই। যে পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকার ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরে যাবে। এ দেশে একটি সাজানো, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি সরকারের পরিবর্তে এ দেশে জনগণের সরকার আবার প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে, মানুষ তাদের ন্যূনতম অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে। মানবাধিকার ফিরে পাবে। এ দেশে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্ন মতের কারণে যেন কোনো মানুষকে খুন করা না হয়, গুম করা না হয়।’
বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটি
এদিকে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটি’ গঠন করেছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কমিটি ঘোষণা করেন। ১৬ সদস্যের এই কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন রিজভী। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবের রহমান শামীম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাক আহমেদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, সাখাওয়াত হাসান জীবন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তারা এ থেকে মুক্তি চায়। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ একটিই-এ সরকারকে বিদায় দিতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর শাহজাহানপুরে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আজকে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নাই, যার দাম আকাশচুম্বী নয়। মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। আজকে রমজানে মানুষ সারা দিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় গিয়ে সামান্য ইফতার করবে, তার কোনো উপায় নেই। যারা বিদেশে লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে, তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ক’জন সেই অবস্থায় আছে।’
‘আজকে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে!’ এমন বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার ভাবছে তারা খুব লাভবান হয়েছে। সরকার ক্ষমতায় আছে, এটা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। গায়ের জোরে ক্ষমতায় তো থাকাই যায়! গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা যাবে না কেন? হাতে যদি বন্দুক থাকে, টিয়ার গ্যাস থাকে, হ্যান্ড গ্রেনেড থাকে, জল কামান থাকে তো ক্ষমতায় কেন থাকবে না!’
মঈন খান আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তো লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না, বিএনপিও লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না। কাজেই সরকার তাদের বুলেটের জোরে, বন্দুকের জোরে যা খুশি করছে। আমরা নীরব প্রতিবাদ করছি। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র যদি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া হয়, সেটি অর্জন করার বা পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়াও হতে হবে শান্তিপূর্ণ। গায়ের জোরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি না।’
তিনি বলেন, ’আমরা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিবর্তন চাই। যে পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকার ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরে যাবে। এ দেশে একটি সাজানো, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি সরকারের পরিবর্তে এ দেশে জনগণের সরকার আবার প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে, মানুষ তাদের ন্যূনতম অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে। মানবাধিকার ফিরে পাবে। এ দেশে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্ন মতের কারণে যেন কোনো মানুষকে খুন করা না হয়, গুম করা না হয়।’
বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটি
এদিকে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটি’ গঠন করেছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কমিটি ঘোষণা করেন। ১৬ সদস্যের এই কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন রিজভী। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবের রহমান শামীম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাক আহমেদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, সাখাওয়াত হাসান জীবন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
১ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৫ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২০ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
২১ ঘণ্টা আগে