নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চার অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।
আজ মঙ্গলবার সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠনতন্ত্রের ১১ (খ) ধারা মোতাবেক শাখা সংগঠন সমূহের সভাপতি দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে তিনি কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ঊর্ধ্বতন সব স্তরে জবাবদিহি করবেন এবং গঠনতন্ত্রের ১২ (খ) ধারা 'সভাপতির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতা বা দায়িত্ব' মোতাবেক আপনার সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা বা কারণ দর্শাতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবিনা আক্তার তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। এখনো হাতে পায়নি। আর ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি এই চিঠিতে শুধুমাত্র সভাপতির স্বাক্ষর আছে। তাই এই নোটিশের জবাব দেব কি দেব না তা নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
নোটিশে বলা হয়, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলী ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গঠনতন্ত্রের সিরিয়াল অনুসারে সহযোগী সংগঠনগুলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে। কিন্তু আপনি কখনই কোন সাংগঠনিক নিয়মকানুন মেনে চলেন না।
সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহীর সদস্যগণ উপস্থিতি থাকার পর ও প্রত্যেক জাতীয় কর্মসূচিতে মহানগর উত্তর এর নামে আগে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং দীর্ঘক্ষণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনের বেদি দখল করে দাঁড়িয়ে থাকেন ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যার কারণে প্রায়শই সংগঠনকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন সমূহের মধ্যে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
তুহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বলা হয়, গত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের পূর্বে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের জাতিরজনক শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাজমা আক্তারসহ অনেককে অপমান, নাজেহাল এমনকি শারীরিকভাবে আহত ও লাঞ্ছিত করেছেন। জাতির পিতার রক্তের স্মৃতি বিজড়িত ওই ৩২ নম্বর বাড়ি আমাদের পবিত্র স্থান, আমাদের আবেগ, অনুভূতির জায়গা। সুবর্ণজয়ন্তীর একটি ঐতিহাসিক দিনে আপনার ও আপনার কর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির অনেককে চোখের জল নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো! এর প্রকৃত এবং গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা প্রদান করুন।
আরও বলা হয়, গত ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ২৪ তারিখে দায়িত্ব নেবার প্রায় সাড়ে চার বছরেও কোন থানা, ওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করেন নাই। এর ফলে দলীয় কর্মীরা পদ এবং অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। সাংগঠনিক নিয়ম মেনে আপনার দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত না করার ফলে দল সুসংগঠিত হয়নি অথচ পদ আকড়ে আছেন। এর সুনির্দিষ্ট এবং যথাযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করুন।
আরও বলা হয়, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া আপনার দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু। তাঁর অপকর্মের জন্য শেখ হাসিনার হাতে গড়া সংগঠন যুব মহিলা লীগ দেশে বিদেশে অনেক সমালোচনার মুখে পরে। আপনার বিরুদ্ধে পাপিয়াকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে। এর প্রকৃত যোগ করুন।
অভিযোগ আরও বলা হয়, আপনি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এর স্ট্যাটাসে গত ১৭ ডিসেম্বর লিখেছেন, নাজমা আক্তার ১ / ১১ এর সময় আপনাকে কোর্ট ও সাবজেলে যেতে নিষেধ করেছিল। তিনি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে অংশ না নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছিলেন। আপনার উপরিউক্ত বক্তব্যের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আপনাকে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
তাই সংগঠনের শৃঙ্খলা ও স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা কেন হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ আপনার লিখিত জবাব ২২ ডিসেম্বর থেকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে যুব মহিলা লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ ব্যতীত আপনাকে যুব মহিলা লীগের সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
চার অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।
আজ মঙ্গলবার সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠনতন্ত্রের ১১ (খ) ধারা মোতাবেক শাখা সংগঠন সমূহের সভাপতি দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে তিনি কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ঊর্ধ্বতন সব স্তরে জবাবদিহি করবেন এবং গঠনতন্ত্রের ১২ (খ) ধারা 'সভাপতির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতা বা দায়িত্ব' মোতাবেক আপনার সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা বা কারণ দর্শাতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবিনা আক্তার তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। এখনো হাতে পায়নি। আর ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি এই চিঠিতে শুধুমাত্র সভাপতির স্বাক্ষর আছে। তাই এই নোটিশের জবাব দেব কি দেব না তা নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
নোটিশে বলা হয়, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলী ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গঠনতন্ত্রের সিরিয়াল অনুসারে সহযোগী সংগঠনগুলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে। কিন্তু আপনি কখনই কোন সাংগঠনিক নিয়মকানুন মেনে চলেন না।
সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহীর সদস্যগণ উপস্থিতি থাকার পর ও প্রত্যেক জাতীয় কর্মসূচিতে মহানগর উত্তর এর নামে আগে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং দীর্ঘক্ষণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনের বেদি দখল করে দাঁড়িয়ে থাকেন ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যার কারণে প্রায়শই সংগঠনকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন সমূহের মধ্যে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
তুহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বলা হয়, গত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের পূর্বে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের জাতিরজনক শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড করেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাজমা আক্তারসহ অনেককে অপমান, নাজেহাল এমনকি শারীরিকভাবে আহত ও লাঞ্ছিত করেছেন। জাতির পিতার রক্তের স্মৃতি বিজড়িত ওই ৩২ নম্বর বাড়ি আমাদের পবিত্র স্থান, আমাদের আবেগ, অনুভূতির জায়গা। সুবর্ণজয়ন্তীর একটি ঐতিহাসিক দিনে আপনার ও আপনার কর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির অনেককে চোখের জল নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো! এর প্রকৃত এবং গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা প্রদান করুন।
আরও বলা হয়, গত ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ২৪ তারিখে দায়িত্ব নেবার প্রায় সাড়ে চার বছরেও কোন থানা, ওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করেন নাই। এর ফলে দলীয় কর্মীরা পদ এবং অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। সাংগঠনিক নিয়ম মেনে আপনার দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত না করার ফলে দল সুসংগঠিত হয়নি অথচ পদ আকড়ে আছেন। এর সুনির্দিষ্ট এবং যথাযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করুন।
আরও বলা হয়, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া আপনার দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু। তাঁর অপকর্মের জন্য শেখ হাসিনার হাতে গড়া সংগঠন যুব মহিলা লীগ দেশে বিদেশে অনেক সমালোচনার মুখে পরে। আপনার বিরুদ্ধে পাপিয়াকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে। এর প্রকৃত যোগ করুন।
অভিযোগ আরও বলা হয়, আপনি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এর স্ট্যাটাসে গত ১৭ ডিসেম্বর লিখেছেন, নাজমা আক্তার ১ / ১১ এর সময় আপনাকে কোর্ট ও সাবজেলে যেতে নিষেধ করেছিল। তিনি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে অংশ না নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছিলেন। আপনার উপরিউক্ত বক্তব্যের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আপনাকে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
তাই সংগঠনের শৃঙ্খলা ও স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা কেন হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ আপনার লিখিত জবাব ২২ ডিসেম্বর থেকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে যুব মহিলা লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ ব্যতীত আপনাকে যুব মহিলা লীগের সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৩ ঘণ্টা আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৯ ঘণ্টা আগে