নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির কর্মসূচির দিনে আবারও কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার দেশের সব মহানগরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির দিনে রাজধানীতে শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সূত্র বলেছে, বিএনপিকে রাজপথে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তাই শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে সক্রিয় থাকবেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার দলীয় এক কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যত আন্দোলন করুন, আমাদের শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।’
আজ বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এই সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।
৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় ও টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি হবে আওয়ামী লীগের প্রথম শান্তি সমাবেশ। তাই সমাবেশ সফল করতে একাধিক প্রস্তুতিসভা করেছে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, প্রস্তুতিসভায় নেতাদের বড় জমায়েত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, বিএনপি কর্মসূচির নামে সহিংসতা করে। ঢাকায় দলটি যাতে কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য তাঁরা সব সময় সতর্ক ও সজাগ থাকবেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ২০২২ সালের শুরু থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। তবে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের দিনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছিল আওয়ামী লীগ। শান্তি সমাবেশ অব্যাহত ছিল গত বছরের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
সহিংসতা কঠোর হাতে দমন
এদিকে বিএনপি আন্দোলন কর্মসূচিতে সহিংসতা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি এই শীতবস্ত্র বিতরণ করে। বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন চালান। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন, মানুষের রুটি-রোজগারে বাধা দেবেন, হরতাল-অবরোধের নামে অগ্নি-সন্ত্রাস করবেন, এটা কঠোর হাতে দমন করা হবে। এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। ওরা ডামি হয়ে গেছে। শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতা-কর্মীদের ঘুম নেই। বিএনপির এ মুহূর্তে কোনো আশা নেই। নিষেধাজ্ঞা নেই, ভিসা নীতি নেই। ভিসা নিষেধাজ্ঞার আশায় আশায় দিন চলে যায়, রাত পোহায়—এই হলো বিএনপি। তিনি বলেন, নির্বাচন না করে বিএনপি যে ভুল করেছে, অচিরেই তা টের পাবে। তাদের এখন কালো পতাকা মিছিল, এটা হচ্ছে শোক পালনের কর্মসূচি।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এখন তারা আইনগতভাবে মোকাবিলা করুক। অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত নয়, আইনি-প্রক্রিয়ায় বের হয়ে যাবে। কোন দেশে অপরাধ করলে শাস্তি হবে না? আমেরিকার কথায় আমরা ছেড়ে দেব? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, বিএনপির ১১ থেকে ১২ হাজার অভিযুক্ত নেতা-কর্মী জেলে আছে।’ তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘকে দিয়েও তারা বলাচ্ছে ২৫ হাজার জেলে আছে। লবিংয়ে ওস্তাদ এই দল।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও উপকমিটির সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।
বিএনপির কর্মসূচির দিনে আবারও কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার দেশের সব মহানগরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির দিনে রাজধানীতে শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সূত্র বলেছে, বিএনপিকে রাজপথে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তাই শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে সক্রিয় থাকবেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার দলীয় এক কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যত আন্দোলন করুন, আমাদের শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।’
আজ বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এই সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।
৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় ও টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি হবে আওয়ামী লীগের প্রথম শান্তি সমাবেশ। তাই সমাবেশ সফল করতে একাধিক প্রস্তুতিসভা করেছে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, প্রস্তুতিসভায় নেতাদের বড় জমায়েত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, বিএনপি কর্মসূচির নামে সহিংসতা করে। ঢাকায় দলটি যাতে কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য তাঁরা সব সময় সতর্ক ও সজাগ থাকবেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ২০২২ সালের শুরু থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। তবে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের দিনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছিল আওয়ামী লীগ। শান্তি সমাবেশ অব্যাহত ছিল গত বছরের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
সহিংসতা কঠোর হাতে দমন
এদিকে বিএনপি আন্দোলন কর্মসূচিতে সহিংসতা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি এই শীতবস্ত্র বিতরণ করে। বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন চালান। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন, মানুষের রুটি-রোজগারে বাধা দেবেন, হরতাল-অবরোধের নামে অগ্নি-সন্ত্রাস করবেন, এটা কঠোর হাতে দমন করা হবে। এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। ওরা ডামি হয়ে গেছে। শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতা-কর্মীদের ঘুম নেই। বিএনপির এ মুহূর্তে কোনো আশা নেই। নিষেধাজ্ঞা নেই, ভিসা নীতি নেই। ভিসা নিষেধাজ্ঞার আশায় আশায় দিন চলে যায়, রাত পোহায়—এই হলো বিএনপি। তিনি বলেন, নির্বাচন না করে বিএনপি যে ভুল করেছে, অচিরেই তা টের পাবে। তাদের এখন কালো পতাকা মিছিল, এটা হচ্ছে শোক পালনের কর্মসূচি।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এখন তারা আইনগতভাবে মোকাবিলা করুক। অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত নয়, আইনি-প্রক্রিয়ায় বের হয়ে যাবে। কোন দেশে অপরাধ করলে শাস্তি হবে না? আমেরিকার কথায় আমরা ছেড়ে দেব? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, বিএনপির ১১ থেকে ১২ হাজার অভিযুক্ত নেতা-কর্মী জেলে আছে।’ তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘকে দিয়েও তারা বলাচ্ছে ২৫ হাজার জেলে আছে। লবিংয়ে ওস্তাদ এই দল।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও উপকমিটির সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।
দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৩২ মিনিট আগেচায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের বাসভবনে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পেছনে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ (বিআইএসআর) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম। তিনি ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও নীতিমালা প্রস্তুতকারী ছিলেন
১৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাস ‘মবের মুল্লুক’ মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা চেষ্টা করছেন সংস্কার করার। তাঁদের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে