নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলমান উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড। তার পরও প্রার্থী হয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরে ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমার সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না...স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা দেখবেন।’
আজ শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, উপজেলা নির্বাচনে অনেকেই দলের নির্দেশ মানেননি। তাঁদের বিষয়ে দল কী ব্যবস্থা নেবে?
জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেকেই এর মধ্যে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। আমাদের কয়েকজন তো আগেই প্রত্যাহার করেছেন। আমাদের গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন। আমার মনে হয়, সামনে আরও সময় আছে।’
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিজের ছোট ভাইয়ের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার একজন স্বজনও উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না। আমি তাঁর পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছি কি না, সেটাই দেখার বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্টির কারও এর সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারও এর সঙ্গে কোনো সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই ওঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না, সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন, সেটা আমি মুখে বলব একটা আর কাজে করব আরেকটা, এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা বাস্তবে দেখবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, ভাই হোক আর স্বজন হোক, আমি তাঁকে দাঁড় করিয়েছি কি না, আমি তাঁর পক্ষে সমর্থন দিচ্ছি কি না, আমার দল সমর্থন দিচ্ছে কি না সেটি বড় বিষয়। আমি বা আমার দল যদি পক্ষে না থাকে, তাহলে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সঙ্গে জড়িত নেই।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘পরিবারের মধ্যে যেন সবকিছু কেন্দ্রীভূত না হয়’—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বজনদের সবকিছু দেওয়ার জন্য যদি সবকিছু কেন্দ্রীভূত করা হয়, তাহলে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা যাবে কোথায়? এ কথা আমাদের সভাপতি বলেছেন। আমাদের সবার বক্তব্যও সেটাই।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে—বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তাঁর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক, আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, বেগম জিয়ার আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি—এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজপথেও তাঁরা (বিএনপি) মুক্তির দাবিতে দেখানোর মতো বিক্ষোভ-মিছিল করতে ব্যর্থ হয়েছে, বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছে।’
দেশি-বিদেশি চাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চাপ কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা আমরা দেশ চালাচ্ছি, আমরা উপলব্ধি করি। কীভাবে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনুভব করি।’
নির্বাচনকেন্দ্রিক চাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রকাশ্য হুমকি-ধমকি ছিল, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিল। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেওয়া হয়েছিল। এখানে কোনো গোপনীয়তার বিষয় ছিল বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনো সিক্রেট বিষয় ছিল না। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ আরও অনেকে।
চলমান উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড। তার পরও প্রার্থী হয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরে ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমার সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না...স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা দেখবেন।’
আজ শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, উপজেলা নির্বাচনে অনেকেই দলের নির্দেশ মানেননি। তাঁদের বিষয়ে দল কী ব্যবস্থা নেবে?
জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেকেই এর মধ্যে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। আমাদের কয়েকজন তো আগেই প্রত্যাহার করেছেন। আমাদের গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন। আমার মনে হয়, সামনে আরও সময় আছে।’
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিজের ছোট ভাইয়ের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার একজন স্বজনও উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না। আমি তাঁর পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছি কি না, সেটাই দেখার বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্টির কারও এর সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারও এর সঙ্গে কোনো সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই ওঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না, সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন, সেটা আমি মুখে বলব একটা আর কাজে করব আরেকটা, এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা বাস্তবে দেখবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, ভাই হোক আর স্বজন হোক, আমি তাঁকে দাঁড় করিয়েছি কি না, আমি তাঁর পক্ষে সমর্থন দিচ্ছি কি না, আমার দল সমর্থন দিচ্ছে কি না সেটি বড় বিষয়। আমি বা আমার দল যদি পক্ষে না থাকে, তাহলে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সঙ্গে জড়িত নেই।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘পরিবারের মধ্যে যেন সবকিছু কেন্দ্রীভূত না হয়’—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বজনদের সবকিছু দেওয়ার জন্য যদি সবকিছু কেন্দ্রীভূত করা হয়, তাহলে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা যাবে কোথায়? এ কথা আমাদের সভাপতি বলেছেন। আমাদের সবার বক্তব্যও সেটাই।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে—বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তাঁর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক, আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, বেগম জিয়ার আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি—এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজপথেও তাঁরা (বিএনপি) মুক্তির দাবিতে দেখানোর মতো বিক্ষোভ-মিছিল করতে ব্যর্থ হয়েছে, বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছে।’
দেশি-বিদেশি চাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চাপ কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা আমরা দেশ চালাচ্ছি, আমরা উপলব্ধি করি। কীভাবে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনুভব করি।’
নির্বাচনকেন্দ্রিক চাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রকাশ্য হুমকি-ধমকি ছিল, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিল। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেওয়া হয়েছিল। এখানে কোনো গোপনীয়তার বিষয় ছিল বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনো সিক্রেট বিষয় ছিল না। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ আরও অনেকে।
অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগোতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন সংকটের মীমাংসা খুঁজতে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত...
২ ঘণ্টা আগেসুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি ভালো হয়ে যেতে চান, তাহলে সকল সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের
৫ ঘণ্টা আগেদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন
৯ ঘণ্টা আগে