সম্পাদকীয়
জীবনের জন্য প্রবাদেই তো বলা হয়, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’। দুধের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু দুধের ব্যবহার শুধু তো তাতেই সীমাবদ্ধ নয়, তার যে আরও কত রকমের ব্যবহার আছে, সেটা জানা যায় পত্রিকা পড়লে। কতভাবেই না দুধ ব্যবহৃত হচ্ছে মানুষের নানা খায়েশ মেটানোর জন্য।
আমরা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, সেটি আজকের পত্রিকার সারা দেশ পাতায় ছাপা হয়েছে সিঙ্গেল কলামে। ঘটনাটাকে এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না এই কারণে যে, এর সঙ্গে সু-মানসিকতার কোনো সম্পর্ক নেই; বরং একধরনের আক্রোশ আর বিকৃত আনন্দের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি একটি ইউনিয়ন। সেই ইউনিয়নে যিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি তাঁর কার্যালয়ে প্রবেশের আগে কার্যালয়টি দুধ দিয়ে ধুয়ে ‘শুদ্ধ’ করে নিয়েছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক কার্যালয়ের ভেতরে বালতিতে পানি ও দুধ মিশিয়ে মেঝে আর আসবাব ধুচ্ছেন। কার নির্দেশে করছেন—প্রশ্নটি ঊহ্য থাকুক। কেন তাঁরা এ কর্মটি করছেন, সেটাই জানা যাক। পরিষদকে নাকি দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য এটা করা হয়েছে।
কথা হলো এখানেই। এ রকম একটি কাজ যে সদ্য এই কার্যালয় থেকে বিদায় নেওয়া সাবেক চেয়ারম্যানকে সরাসরি অপমান করা, সে কথা কি কার্যালয়কে দুগ্ধস্নান করানো মানুষেরা জানে না? জানে, সেটা বলাই বাহুল্য। এই অপমান ইচ্ছাকৃত। তাঁরা ভাবতেও চাননি, নতুন এই চেয়ারম্যানের যখন বিদায়ের পালা আসবে, তখনো যদি একই রকম ব্যবহার তিনি পান, তাহলে তাঁর কেমন লাগবে?
বিষয়টি ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব নয়, বিষয়টি সরাসরি অভব্যতা। রাজনীতির মাঠটি এ রকম অভব্য হয়ে উঠল কেন? কেন মানুষ একে অন্যকে ন্যূনতম শ্রদ্ধা করবে না? রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে যদি সহনশীলতা থাকত, থাকত পারস্পরিক শ্রদ্ধার মিশেল, তাহলে এ ধরনের খবর পড়তে হতো না আমাদের। দুগ্ধস্নানের পর কার্যালয়টি দালাল আর দুর্নীতিমুক্ত হয়ে যাবে—এর গ্যারান্টি কী?
আমরা প্রাণদায়ী খাবার হিসেবে দুধের উল্লেখ করেছি শুরুতেই। সেই দুধের বিচিত্র যে ব্যবহার দেখা গেল, তা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়; বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কেউ কষ্টে আছে কি না, চেয়ারম্যানের নজর দেওয়া উচিত ছিল সেদিকে। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের যে শিশুরা দুধের পুষ্টি থেকে বঞ্চিত, তাদের কাছে দুধ পৌঁছে দিলে নতুন চেয়ারম্যান একটি দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন বলে আমরা মনে করতে পারতাম। চেয়ারম্যানের কাজই তো হলো এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো। সেটা না করে কার্যালয়কে দুধ খাওয়ানোর কোনো মানে হয়? আশা করি নতুন এই চেয়ারম্যানের মনে শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তিনি কার্যালয়কে ‘শুদ্ধ’ করার জন্য এ রকম অনর্থ আর ঘটাবেন না; বরং এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্টের সাথি হবেন।
জীবনের জন্য প্রবাদেই তো বলা হয়, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’। দুধের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু দুধের ব্যবহার শুধু তো তাতেই সীমাবদ্ধ নয়, তার যে আরও কত রকমের ব্যবহার আছে, সেটা জানা যায় পত্রিকা পড়লে। কতভাবেই না দুধ ব্যবহৃত হচ্ছে মানুষের নানা খায়েশ মেটানোর জন্য।
আমরা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, সেটি আজকের পত্রিকার সারা দেশ পাতায় ছাপা হয়েছে সিঙ্গেল কলামে। ঘটনাটাকে এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না এই কারণে যে, এর সঙ্গে সু-মানসিকতার কোনো সম্পর্ক নেই; বরং একধরনের আক্রোশ আর বিকৃত আনন্দের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি একটি ইউনিয়ন। সেই ইউনিয়নে যিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি তাঁর কার্যালয়ে প্রবেশের আগে কার্যালয়টি দুধ দিয়ে ধুয়ে ‘শুদ্ধ’ করে নিয়েছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক কার্যালয়ের ভেতরে বালতিতে পানি ও দুধ মিশিয়ে মেঝে আর আসবাব ধুচ্ছেন। কার নির্দেশে করছেন—প্রশ্নটি ঊহ্য থাকুক। কেন তাঁরা এ কর্মটি করছেন, সেটাই জানা যাক। পরিষদকে নাকি দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য এটা করা হয়েছে।
কথা হলো এখানেই। এ রকম একটি কাজ যে সদ্য এই কার্যালয় থেকে বিদায় নেওয়া সাবেক চেয়ারম্যানকে সরাসরি অপমান করা, সে কথা কি কার্যালয়কে দুগ্ধস্নান করানো মানুষেরা জানে না? জানে, সেটা বলাই বাহুল্য। এই অপমান ইচ্ছাকৃত। তাঁরা ভাবতেও চাননি, নতুন এই চেয়ারম্যানের যখন বিদায়ের পালা আসবে, তখনো যদি একই রকম ব্যবহার তিনি পান, তাহলে তাঁর কেমন লাগবে?
বিষয়টি ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব নয়, বিষয়টি সরাসরি অভব্যতা। রাজনীতির মাঠটি এ রকম অভব্য হয়ে উঠল কেন? কেন মানুষ একে অন্যকে ন্যূনতম শ্রদ্ধা করবে না? রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে যদি সহনশীলতা থাকত, থাকত পারস্পরিক শ্রদ্ধার মিশেল, তাহলে এ ধরনের খবর পড়তে হতো না আমাদের। দুগ্ধস্নানের পর কার্যালয়টি দালাল আর দুর্নীতিমুক্ত হয়ে যাবে—এর গ্যারান্টি কী?
আমরা প্রাণদায়ী খাবার হিসেবে দুধের উল্লেখ করেছি শুরুতেই। সেই দুধের বিচিত্র যে ব্যবহার দেখা গেল, তা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়; বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কেউ কষ্টে আছে কি না, চেয়ারম্যানের নজর দেওয়া উচিত ছিল সেদিকে। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের যে শিশুরা দুধের পুষ্টি থেকে বঞ্চিত, তাদের কাছে দুধ পৌঁছে দিলে নতুন চেয়ারম্যান একটি দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন বলে আমরা মনে করতে পারতাম। চেয়ারম্যানের কাজই তো হলো এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো। সেটা না করে কার্যালয়কে দুধ খাওয়ানোর কোনো মানে হয়? আশা করি নতুন এই চেয়ারম্যানের মনে শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তিনি কার্যালয়কে ‘শুদ্ধ’ করার জন্য এ রকম অনর্থ আর ঘটাবেন না; বরং এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্টের সাথি হবেন।
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
৭ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
৭ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
৮ ঘণ্টা আগে