সম্পাদকীয়
একসময় বিলাসিতার ব্যাপার হলেও এখন বোতলজাত পানি অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। মূলত ঘরের বাইরে কোথাও পানি খেতে গেলে সেই পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ থাকার কারণে মানুষ বোতলজাত পানি কিনতে আগ্রহী হওয়া শুরু করে। এখানে স্বাস্থ্য সচেতনার ব্যাপারটিও অস্বীকার করার সুযোগ নেই। দিন দিন বোতলজাত পানির চাহিদা বাড়ার কারণে দেশের কয়েকটি কোম্পানি এই সুযোগে তাদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। ভোক্তাদের পকেট থেকে বেশি টাকা নেওয়া হলেও প্রকৃত লাভবান হচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। রোববার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রধান সংবাদটি তা নিয়েই।
শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আধা লিটার পানির বোতলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু একটি আধা লিটার পানির বোতলের উৎপাদন খরচ হয় মাত্র ৬-৭ টাকা। বাকি ১৩-১৪ টাকা চলে যায় কোম্পানি, ডিস্ট্রিবিউটর, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার পকেটে। দেশে সবকিছুতেই যেন সিন্ডিকেটের প্রভাব রয়েছে। বোতলজাত পানির ব্যবসায়ও সিন্ডিকেটের বিষয়টি নজর এড়ায় না।
শুধু রাজধানী ঢাকাতেই বোতলজাত পানির ব্যবসা রমরমা না, দেশের অধিকাংশ শহর এলাকায় এই পানির চাহিদা বাড়ছে। ঢাকার পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ওয়াসা ছাড়াও দেশের কিছু পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পানি সরবরাহ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান যদি পরিষ্কার পানি সরবরাহ করত, তাহলে জনগণকে বাড়তি টাকা দিয়ে অন্তত কোনো অনুষ্ঠান বা রেস্তোরাঁয় বসে বোতলের পানি কিনে খেতে হতো না। একদিকে প্রতি মাসে পানির জন্য বিল দিতে হয়, অন্যদিকে শুধু বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়। এ ধরনের অরাজকতা ও অনিয়ম তদারক করার দায়িত্ব যাদের, তাদের অবহেলার কারণে জনগণের পকেট কাটা যাচ্ছে।
ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের দায়িত্বে ওয়াসা। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, তারা নিজেরাই বোতলজাত পানির ব্যবসা করছে! তাদের ব্র্যান্ডের নাম ‘শান্তি’। এভাবে তাদের ব্যবসা করাটা অন্যায় নয় কি?
বিএসটিআই-এর এক সূত্রমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসাবে দেশে বোতলের পানি উৎপাদন ও বাজারজাতকারী নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩২টি। এগুলোর মধ্যে শীর্ষ ৭ কোম্পানির দখলেই বাজারের ৯৭ শতাংশ। ওয়াসার ‘শান্তি’সহ আরও ৭টি কোম্পানি—কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজ লিমিটেড (কিনলে), ট্রান্সকম বেভারেজেস (অ্যাকুয়াফিনা), মেঘনা বেভারেজ (সুপার ফ্রেশ), পারটেক্স বেভারেজ (মাম), সিটি গ্রুপ (জীবন), আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (স্পা) এবং প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড (প্রাণ)-এর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা কমিশন কয়েক বছর আগে অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর জন্য মামলা করেছিল। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের লোকবলের অভাবে সেই মামলার কার্যক্রম আর এগোয়নি। কারণ বিচারকাজে তিনজনের কোরাম পূরণ করতে হয়। সেখানে বর্তমানে লোক আছে মাত্র দুজন। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান শুধু লোকবলের অভাবে কাজ করতে পারছে না।
লোকবল নিয়োগ দিয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অযৌক্তিক পানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোকে শাস্তি দেওয়া এখন অত্যাবশ্যক।
একসময় বিলাসিতার ব্যাপার হলেও এখন বোতলজাত পানি অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। মূলত ঘরের বাইরে কোথাও পানি খেতে গেলে সেই পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ থাকার কারণে মানুষ বোতলজাত পানি কিনতে আগ্রহী হওয়া শুরু করে। এখানে স্বাস্থ্য সচেতনার ব্যাপারটিও অস্বীকার করার সুযোগ নেই। দিন দিন বোতলজাত পানির চাহিদা বাড়ার কারণে দেশের কয়েকটি কোম্পানি এই সুযোগে তাদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। ভোক্তাদের পকেট থেকে বেশি টাকা নেওয়া হলেও প্রকৃত লাভবান হচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। রোববার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রধান সংবাদটি তা নিয়েই।
শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আধা লিটার পানির বোতলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু একটি আধা লিটার পানির বোতলের উৎপাদন খরচ হয় মাত্র ৬-৭ টাকা। বাকি ১৩-১৪ টাকা চলে যায় কোম্পানি, ডিস্ট্রিবিউটর, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার পকেটে। দেশে সবকিছুতেই যেন সিন্ডিকেটের প্রভাব রয়েছে। বোতলজাত পানির ব্যবসায়ও সিন্ডিকেটের বিষয়টি নজর এড়ায় না।
শুধু রাজধানী ঢাকাতেই বোতলজাত পানির ব্যবসা রমরমা না, দেশের অধিকাংশ শহর এলাকায় এই পানির চাহিদা বাড়ছে। ঢাকার পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ওয়াসা ছাড়াও দেশের কিছু পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পানি সরবরাহ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান যদি পরিষ্কার পানি সরবরাহ করত, তাহলে জনগণকে বাড়তি টাকা দিয়ে অন্তত কোনো অনুষ্ঠান বা রেস্তোরাঁয় বসে বোতলের পানি কিনে খেতে হতো না। একদিকে প্রতি মাসে পানির জন্য বিল দিতে হয়, অন্যদিকে শুধু বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়। এ ধরনের অরাজকতা ও অনিয়ম তদারক করার দায়িত্ব যাদের, তাদের অবহেলার কারণে জনগণের পকেট কাটা যাচ্ছে।
ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের দায়িত্বে ওয়াসা। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, তারা নিজেরাই বোতলজাত পানির ব্যবসা করছে! তাদের ব্র্যান্ডের নাম ‘শান্তি’। এভাবে তাদের ব্যবসা করাটা অন্যায় নয় কি?
বিএসটিআই-এর এক সূত্রমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসাবে দেশে বোতলের পানি উৎপাদন ও বাজারজাতকারী নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩২টি। এগুলোর মধ্যে শীর্ষ ৭ কোম্পানির দখলেই বাজারের ৯৭ শতাংশ। ওয়াসার ‘শান্তি’সহ আরও ৭টি কোম্পানি—কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজ লিমিটেড (কিনলে), ট্রান্সকম বেভারেজেস (অ্যাকুয়াফিনা), মেঘনা বেভারেজ (সুপার ফ্রেশ), পারটেক্স বেভারেজ (মাম), সিটি গ্রুপ (জীবন), আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (স্পা) এবং প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড (প্রাণ)-এর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা কমিশন কয়েক বছর আগে অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর জন্য মামলা করেছিল। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের লোকবলের অভাবে সেই মামলার কার্যক্রম আর এগোয়নি। কারণ বিচারকাজে তিনজনের কোরাম পূরণ করতে হয়। সেখানে বর্তমানে লোক আছে মাত্র দুজন। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান শুধু লোকবলের অভাবে কাজ করতে পারছে না।
লোকবল নিয়োগ দিয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অযৌক্তিক পানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোকে শাস্তি দেওয়া এখন অত্যাবশ্যক।
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
২ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
২ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
২ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
২ ঘণ্টা আগে