সম্পাদকীয়
দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে যে আন্দোলন চলছিল, তা শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে একটি পরিণতি পেল। ছাত্রদের দেওয়া এক দফা দাবি বাস্তবায়িত হলো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে সরে গেছে। সেনাপ্রধান ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেছেন, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। জানিয়েছেন, জাতীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হচ্ছে।
গতকাল কারফিউর সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনে হয়েছিল, কারফিউর মধ্যে কেউ সমাবেশ করবে না। কিন্তু বেলা ১টার দিকে ঢাকার সমস্ত চিত্র পাল্টে যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল
আসতে শুরু করে ঢাকার উদ্দেশে। ঢাকার মানুষ বেরিয়ে আসে রাস্তায়। যে রকম মানুষের ঢল নেমেছিল রাজপথে, তা বহুদিন বাংলাদেশ দেখেনি। এ রকম একটি গণজাগরণ দেখার সুযোগ হলো ঢাকাবাসীর।
আওয়ামী লীগ সরকার গত যে দুটি নির্বাচন করেছিল, তা মানসম্মত ছিল না। বিরোধী রাজনৈতিক দলের জন্য রাজনীতির মাঠ কঠিন করে রেখেছিল তারা। তবে বিরোধী দলও একসময় জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করে রাজনীতির মাঠকে বিভ্রান্ত করে রেখেছিল।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন। কোনো ধরনের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ছাত্র-জনতাকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে, জনগণ যদি তাদের সহযোগিতা করেন—এ কথাও বলেছেন সেনাপ্রধান। তিনি কিছুটা সময় চেয়েছেন। সব হত্যার বিচার হবে বলে জনগণকে আশ্বাস দিয়েছেন।
আমরা না চাইলেও আমাদের জাতির জীবনে বারে বারে এ রকম দুঃসময় আসে। এরশাদবিরোধী আন্দোলন, মাগুরা নির্বাচনের পর খালেদা জিয়াকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা এবং এবার শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনাগুলোয় জনতার ঢল নেমেছিল। কেন বার বার জনগণকে রাস্তায় নেমে আসতে হচ্ছে, সে কথাও তো ভাবতে হবে। গণতন্ত্র অরক্ষিত হলেই সাধারণ জনগণ রাজপথে নেমে আসে। আমাদের নির্বাচিত বা অনির্বাচিত সরকারগুলো বেশির ভাগ সময়ই গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখে না। বার বার সেই অভিজ্ঞতা হয় আমাদের। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই দিকটির দিকে নিশ্চয়ই নজর দেবে।
আমরা আশা করছি, জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সমুন্নত রাখা, ঘুষ-দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা, ব্যাংক সেক্টরের অরাজকতা দূর করা, সিন্ডিকেট ব্যবসা উচ্ছেদ করা, ঋণখেলাপিদের শায়েস্তা করা, প্রশ্নপত্র ফাঁসবিষয়ক দুর্নীতিসহ আরও যেসব অব্যবস্থা আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে আছে, সেগুলো দূর করার ব্যাপারে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদক্ষেপ নেবে।
এই এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, ইন্টারনেট না থাকায় অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ডলারের দাম আবার বেড়েছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ থমকে দাঁড়িয়েছে। এই ক্ষতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সেনাপ্রধান সবাইকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি তাঁর ওপর আস্থা রাখতে বলেছেন।
দেশের মানুষ গরিববান্ধব একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়। তাদের এই আশা পূরণ হোক।
দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে যে আন্দোলন চলছিল, তা শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে একটি পরিণতি পেল। ছাত্রদের দেওয়া এক দফা দাবি বাস্তবায়িত হলো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে সরে গেছে। সেনাপ্রধান ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেছেন, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। জানিয়েছেন, জাতীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হচ্ছে।
গতকাল কারফিউর সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনে হয়েছিল, কারফিউর মধ্যে কেউ সমাবেশ করবে না। কিন্তু বেলা ১টার দিকে ঢাকার সমস্ত চিত্র পাল্টে যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল
আসতে শুরু করে ঢাকার উদ্দেশে। ঢাকার মানুষ বেরিয়ে আসে রাস্তায়। যে রকম মানুষের ঢল নেমেছিল রাজপথে, তা বহুদিন বাংলাদেশ দেখেনি। এ রকম একটি গণজাগরণ দেখার সুযোগ হলো ঢাকাবাসীর।
আওয়ামী লীগ সরকার গত যে দুটি নির্বাচন করেছিল, তা মানসম্মত ছিল না। বিরোধী রাজনৈতিক দলের জন্য রাজনীতির মাঠ কঠিন করে রেখেছিল তারা। তবে বিরোধী দলও একসময় জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করে রাজনীতির মাঠকে বিভ্রান্ত করে রেখেছিল।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন। কোনো ধরনের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছেন ছাত্র-জনতাকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে, জনগণ যদি তাদের সহযোগিতা করেন—এ কথাও বলেছেন সেনাপ্রধান। তিনি কিছুটা সময় চেয়েছেন। সব হত্যার বিচার হবে বলে জনগণকে আশ্বাস দিয়েছেন।
আমরা না চাইলেও আমাদের জাতির জীবনে বারে বারে এ রকম দুঃসময় আসে। এরশাদবিরোধী আন্দোলন, মাগুরা নির্বাচনের পর খালেদা জিয়াকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা এবং এবার শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনাগুলোয় জনতার ঢল নেমেছিল। কেন বার বার জনগণকে রাস্তায় নেমে আসতে হচ্ছে, সে কথাও তো ভাবতে হবে। গণতন্ত্র অরক্ষিত হলেই সাধারণ জনগণ রাজপথে নেমে আসে। আমাদের নির্বাচিত বা অনির্বাচিত সরকারগুলো বেশির ভাগ সময়ই গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখে না। বার বার সেই অভিজ্ঞতা হয় আমাদের। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই দিকটির দিকে নিশ্চয়ই নজর দেবে।
আমরা আশা করছি, জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সমুন্নত রাখা, ঘুষ-দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা, ব্যাংক সেক্টরের অরাজকতা দূর করা, সিন্ডিকেট ব্যবসা উচ্ছেদ করা, ঋণখেলাপিদের শায়েস্তা করা, প্রশ্নপত্র ফাঁসবিষয়ক দুর্নীতিসহ আরও যেসব অব্যবস্থা আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে আছে, সেগুলো দূর করার ব্যাপারে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদক্ষেপ নেবে।
এই এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, ইন্টারনেট না থাকায় অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ডলারের দাম আবার বেড়েছে, রেমিট্যান্স প্রবাহ থমকে দাঁড়িয়েছে। এই ক্ষতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সেনাপ্রধান সবাইকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি তাঁর ওপর আস্থা রাখতে বলেছেন।
দেশের মানুষ গরিববান্ধব একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়। তাদের এই আশা পূরণ হোক।
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
৭ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
৭ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
৭ ঘণ্টা আগে