মইনুল হাসান
দেশে দেশে প্রগতিশীল তরুণ প্রজন্ম জলবায়ু বিপর্যয় থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছে, চাঁদে-মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি নিয়ে গবেষণা করছে, বহু আলোকবর্ষ দূরের কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তুলে নিখুঁত নির্ভুল হিসাব করে তার দূরত্ব, আকার, আয়তন, ভর বলে দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিচ্ছে। ঠিক তখনই আমাদের তরুণ প্রজন্মের একটি বিশাল অংশ ধর্ম রক্ষার নামে ঘৃণার চর্চা করছে, ক্রোধে উন্মত্ত হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উৎকর্ষতার এমন সময়ে দেশে দেশে আলোকিত তরুণেরা যখন জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে নতুন যুগের সূচনা করছে, অসাম্প্রদায়িক মতাদর্শে মেধা-মননে নিজেদের শাণিত করছে, তখন অনেকেই আমরা ধর্মের নাম করে অধর্মের উগ্র চর্চা করছি। প্রতিক্রিয়াশীলতা আমাদের অস্থি-মজ্জায় সিন্দাবাদের ভূতের মতো জাঁকিয়ে বসেছে।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সহিংসতার খবর এখন নিত্যদিনের। সর্বশেষ প্রকাশিত ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ জুন। তিন সন্তানের জনক স্বপন কুমার বিশ্বাস, একজন প্রবীণ শিক্ষক, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। নিজের ক্ষুদ্র জীবনের ২৭টি বছর উৎসর্গ করেছেন শিক্ষার আলো ছড়াতে। শিক্ষকতা জীবনের প্রায় শেষ সময়ে এসে তাঁর কপালে জুটেছে জুতার মালা! একদল মারমুখী জনতার সামনে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে তাঁকে জুতার মালা পরিয়ে দিচ্ছে তাঁরই ছাত্র। ভীতসন্ত্রস্ত, অপমানে অসহায় একজন শিক্ষক উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছেন।
এর আগে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে কারাগারেও যেতে হয়। ক্লাসে ধর্ম আর বিজ্ঞানের পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সেটা গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তির কথাও ভুলে যেতে পারি না। তাঁকেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। কারাগারে নেওয়া হয়।
আমাদের মনে আছে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে কোরআন অবমাননার কথিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের রামুতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি হয় এবং পরে তা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে। টানা কয়েক দিন চলা সহিংসতায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ২২টি বৌদ্ধ মন্দির ও আশ্রম এবং দুটি হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ চালানো হয়। বৌদ্ধদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী একটি পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা। তারা ১৫টি মন্দির ও শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেশের সংখ্যালঘুরা সম্প্রদায় নিগ্রহ, লাঞ্ছনা ও বৈষম্যের শিকার। তবে কোরআন অবমাননার মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে হত্যা করা হয় আবু ইউনুস মো. শহীদুন্নবী জুয়েলকে। কেবল হত্যা করেও ক্রোধ মেটেনি, গলায় দড়ি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে তাঁর শত ছিন্ন অসাড় দেহ পেট্রল ঢেলে উত্তপ্ত আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। জুয়েলের পুরো শরীর জ্বলে অঙ্গার না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষুব্ধ জনতা। আর সেই বীভৎস অগ্নি-উৎসবের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শত শত মানুষ (?)। ‘শহীদুন্নবী’ মানে নবীর জন্য শহীদ। অথচ দুই শিশু সন্তানের পিতা এই নিরীহ এবং ধর্মপ্রাণ মানুষটিকে নির্মম পৈশাচিকতায় খুন করা হলো ‘ইসলামবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে।
‘ধর্ম অবমাননা’ কিসে হয়? ধর্ম নিশ্চয়ই মিথ্যা বলতে বলে না, ঘুষ, দুর্নীতি, ঘৃণা, হিংসা, ক্রোধ, খুন করতে বলে না। ওজনে কম করতে, খাদ্যে বিষ মেশাতে, কাউকে ঠকাতে উৎসাহ দেয় না। পরিবেশ বিষিয়ে তুলতেও নির্দেশ দেয় না। ধর্মে সীমা লঙ্ঘন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা স্পষ্ট করে নিষেধ করা হয়েছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে অতীতে বহু জনগোষ্ঠী ধ্বংস হয়ে গেছে।
ভয় দেখিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করা যায়, কিন্তু আনুগত্য, বশ্যতা আদায় করা যায় না। ভয় দেখিয়ে প্রতিপক্ষ বা দুর্বলকে কোণঠাসা করা যায়, স্বার্থ হাসিল করা যায়। সৎ হওয়া যায় না, নিজেকে বিবেকবান দাবি করা যায় না। ভয় দেখিয়ে জয় করা যায় না। জয় করতে চাইলে ভালোবাসতে হয়। যুক্তিকে যুক্তি দিয়ে খণ্ডাতে হয়, অস্ত্র দিয়ে নয়। অস্ত্র দিয়ে হয় পাশবিকতা। পাশবিকতা ধর্মকে কলুষিত করে, ধর্মের অবমাননা করা হয়।
একজন শিক্ষককে নয়, জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মহান জাতিকে। যে জাতির আছে অনেক বেশি গৌরবময় ইতিহাস, উজ্জ্বল ঐতিহ্য। আছে সমৃদ্ধ কৃষ্টি, সংস্কৃতি। অহংকার করার মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আজ একটি সংঘবদ্ধ অশুভ শক্তি জাতির সব অর্জনকে ধর্মের নাম ধূলিসাৎ করে দিতে চাইছে। ফিরিয়ে আনতে চাইছে মধ্যযুগের বিভীষিকাময় অন্ধকার।
আজ যখন ফুলের জায়গাটি জুতা দখল করে নিয়েছে, তখন বুঝতে হবে সমগ্র জাতি সম্মিলিত আত্মহত্যার পথে অগ্রসর হচ্ছে। এটি দেশের জন্য অশনিসংকেত। আর তাই দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন দেশ থেকে বিদায় নেবে মনুষ্যত্ব ধর্ম। দেশটি হবে একটি মনুষ্যত্ব ধর্মহীন ধার্মিকের দেশ।
মইনুল হাসান: ফ্রান্সপ্রবাসী লেখক
দেশে দেশে প্রগতিশীল তরুণ প্রজন্ম জলবায়ু বিপর্যয় থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছে, চাঁদে-মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি নিয়ে গবেষণা করছে, বহু আলোকবর্ষ দূরের কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তুলে নিখুঁত নির্ভুল হিসাব করে তার দূরত্ব, আকার, আয়তন, ভর বলে দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিচ্ছে। ঠিক তখনই আমাদের তরুণ প্রজন্মের একটি বিশাল অংশ ধর্ম রক্ষার নামে ঘৃণার চর্চা করছে, ক্রোধে উন্মত্ত হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উৎকর্ষতার এমন সময়ে দেশে দেশে আলোকিত তরুণেরা যখন জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে নতুন যুগের সূচনা করছে, অসাম্প্রদায়িক মতাদর্শে মেধা-মননে নিজেদের শাণিত করছে, তখন অনেকেই আমরা ধর্মের নাম করে অধর্মের উগ্র চর্চা করছি। প্রতিক্রিয়াশীলতা আমাদের অস্থি-মজ্জায় সিন্দাবাদের ভূতের মতো জাঁকিয়ে বসেছে।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সহিংসতার খবর এখন নিত্যদিনের। সর্বশেষ প্রকাশিত ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ জুন। তিন সন্তানের জনক স্বপন কুমার বিশ্বাস, একজন প্রবীণ শিক্ষক, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। নিজের ক্ষুদ্র জীবনের ২৭টি বছর উৎসর্গ করেছেন শিক্ষার আলো ছড়াতে। শিক্ষকতা জীবনের প্রায় শেষ সময়ে এসে তাঁর কপালে জুটেছে জুতার মালা! একদল মারমুখী জনতার সামনে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে তাঁকে জুতার মালা পরিয়ে দিচ্ছে তাঁরই ছাত্র। ভীতসন্ত্রস্ত, অপমানে অসহায় একজন শিক্ষক উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছেন।
এর আগে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে কারাগারেও যেতে হয়। ক্লাসে ধর্ম আর বিজ্ঞানের পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সেটা গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তির কথাও ভুলে যেতে পারি না। তাঁকেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। কারাগারে নেওয়া হয়।
আমাদের মনে আছে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে কোরআন অবমাননার কথিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের রামুতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি হয় এবং পরে তা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে। টানা কয়েক দিন চলা সহিংসতায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ২২টি বৌদ্ধ মন্দির ও আশ্রম এবং দুটি হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ চালানো হয়। বৌদ্ধদের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী একটি পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা। তারা ১৫টি মন্দির ও শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেশের সংখ্যালঘুরা সম্প্রদায় নিগ্রহ, লাঞ্ছনা ও বৈষম্যের শিকার। তবে কোরআন অবমাননার মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে হত্যা করা হয় আবু ইউনুস মো. শহীদুন্নবী জুয়েলকে। কেবল হত্যা করেও ক্রোধ মেটেনি, গলায় দড়ি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে তাঁর শত ছিন্ন অসাড় দেহ পেট্রল ঢেলে উত্তপ্ত আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। জুয়েলের পুরো শরীর জ্বলে অঙ্গার না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষুব্ধ জনতা। আর সেই বীভৎস অগ্নি-উৎসবের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শত শত মানুষ (?)। ‘শহীদুন্নবী’ মানে নবীর জন্য শহীদ। অথচ দুই শিশু সন্তানের পিতা এই নিরীহ এবং ধর্মপ্রাণ মানুষটিকে নির্মম পৈশাচিকতায় খুন করা হলো ‘ইসলামবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে।
‘ধর্ম অবমাননা’ কিসে হয়? ধর্ম নিশ্চয়ই মিথ্যা বলতে বলে না, ঘুষ, দুর্নীতি, ঘৃণা, হিংসা, ক্রোধ, খুন করতে বলে না। ওজনে কম করতে, খাদ্যে বিষ মেশাতে, কাউকে ঠকাতে উৎসাহ দেয় না। পরিবেশ বিষিয়ে তুলতেও নির্দেশ দেয় না। ধর্মে সীমা লঙ্ঘন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা স্পষ্ট করে নিষেধ করা হয়েছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে অতীতে বহু জনগোষ্ঠী ধ্বংস হয়ে গেছে।
ভয় দেখিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করা যায়, কিন্তু আনুগত্য, বশ্যতা আদায় করা যায় না। ভয় দেখিয়ে প্রতিপক্ষ বা দুর্বলকে কোণঠাসা করা যায়, স্বার্থ হাসিল করা যায়। সৎ হওয়া যায় না, নিজেকে বিবেকবান দাবি করা যায় না। ভয় দেখিয়ে জয় করা যায় না। জয় করতে চাইলে ভালোবাসতে হয়। যুক্তিকে যুক্তি দিয়ে খণ্ডাতে হয়, অস্ত্র দিয়ে নয়। অস্ত্র দিয়ে হয় পাশবিকতা। পাশবিকতা ধর্মকে কলুষিত করে, ধর্মের অবমাননা করা হয়।
একজন শিক্ষককে নয়, জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মহান জাতিকে। যে জাতির আছে অনেক বেশি গৌরবময় ইতিহাস, উজ্জ্বল ঐতিহ্য। আছে সমৃদ্ধ কৃষ্টি, সংস্কৃতি। অহংকার করার মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আজ একটি সংঘবদ্ধ অশুভ শক্তি জাতির সব অর্জনকে ধর্মের নাম ধূলিসাৎ করে দিতে চাইছে। ফিরিয়ে আনতে চাইছে মধ্যযুগের বিভীষিকাময় অন্ধকার।
আজ যখন ফুলের জায়গাটি জুতা দখল করে নিয়েছে, তখন বুঝতে হবে সমগ্র জাতি সম্মিলিত আত্মহত্যার পথে অগ্রসর হচ্ছে। এটি দেশের জন্য অশনিসংকেত। আর তাই দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন দেশ থেকে বিদায় নেবে মনুষ্যত্ব ধর্ম। দেশটি হবে একটি মনুষ্যত্ব ধর্মহীন ধার্মিকের দেশ।
মইনুল হাসান: ফ্রান্সপ্রবাসী লেখক
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
১২ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
১২ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
১২ ঘণ্টা আগে