রাজীব কুমার সাহা
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে একটি বহুল আলোচিত শব্দ হলো ‘গ্রাফিতি’। কমবেশি আমরা সবাই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে, বাইরের যেকোনো ধরনের আঁকাআঁকিকেই কি আমরা গ্রাফিতি বলব? বা যেকোনো রকমের দেয়াললিখনকেই কি আমরা গ্রাফিতি বলব? যদি না বলি, তাহলে জানতে হবে সাধারণ আঁকাআঁকির সঙ্গে গ্রাফিতির পার্থক্য কোথায় বা ঠিক কী কী মানদণ্ডের ওপর নির্ভর করে আমরা একটি চিত্র অঙ্কনকে গ্রাফিতি বলব। আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে গ্রাফিতি কীভাবে প্রবেশ করল? তবে চলুন আজ জানব গ্রাফিতি শব্দের আদ্যোপান্ত।
গ্রাফিতি শব্দটি ইতালিয়ান ‘গ্রাফিতো’ শব্দ থেকে জাত। এর অর্থ হলো ‘খচিত’। শব্দের অর্থগত দিক থেকে বিশেষণ মনে হলেও বাংলা অর্থ বিবেচনায় এটি বিশেষ্য পদ। সাধারণভাবে গ্রাফিতি হলো দেয়াল বা রাস্তায় আঁকা কোনো চিত্র বা লেখা, যা আপাতভাবে সাধারণ কোনো কিছুকে নির্দেশ করলেও এর পেছনের বোধটি অত্যন্ত গভীর। গ্রাফিতি শব্দটির মাধ্যমে চিত্র অঙ্কন, শিলালিপি বা এ ধরনের কোনো শিল্পকে বোঝালেও গ্রাফিতি মূলত প্রতিবাদের একধরনের ভাষা। গ্রাফিতির মাধ্যমে রাজনৈতিক স্লোগান, সমকালীন কোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়া বা সময়ের জনপ্রিয় কোনো উদ্ধৃতি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবাদীরূপে গ্রাফিতির উত্থান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে শুরু হলেও প্রাগৈতিহাসিক সময়েও এর প্রয়োগ মেলে। তবে গ্রাফিতির বিষয়ে একটি ধারণা পরিষ্কার হওয়া সমীচীন। সেটি হলো, কোনো পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমে দেয়ালের শোভাবর্ধনের জন্য যে চিত্র অঙ্কন করা হয়, সেগুলো কোনোভাবেই গ্রাফিতির আওতায় পড়ে না।
এবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করা যাক গ্রাফিতি অঙ্কনের শুরুর গল্পের দিকে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, গ্রাফিতির সঙ্গে যে নামটি জড়িয়ে আছে, সেটি হলো জেমস জে কিলরয়। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শিপইয়ার্ডের পরিদর্শক। জাহাজ নির্মাণের পর তা পরিদর্শন শেষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতেন কিলরয়।
তাঁর অনুমোদনের ভিত্তিতে জাহাজের নির্মাণশ্রমিকেরা মজুরি পেতেন। কিলরয় প্রতিটি জাহাজ পরিদর্শন শেষে চক দিয়ে একটি দাগ কেটে দিতেন। কিন্তু নির্মাণশ্রমিকেরা বাড়তি মজুরির আশায় কিলরয়ের দেওয়া দাগগুলো মুছে দিতেন। এ নিয়ে কিলরয়ের সঙ্গে শ্রমিকদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে কিলরয় ঠিক করলেন তিনি চকের বদলে রং ব্যবহার করবেন এবং যা সহজে তুলে ফেলা সম্ভব নয়। তারপর থেকে কিলরয় প্রতিবার জাহাজ পর্যবেক্ষণ শেষে জাহাজের গায়ে লিখে দিতে শুরু করলেন ‘কিলরয় ওয়াজ হিয়ার’, যার মানে ‘কিলরয় এখানেই ছিলেন’।
ঠিক এখান থেকেই নতুন বিপত্তির শুরু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জরুরি অবস্থায় যখন জাহাজ জার্মানিতে পাঠানো হয়, তখন কিলরয়ের সেই চিহ্নসহই অনেক জাহাজ বন্দরে পৌঁছে যায়। এ ধরনের চিহ্ন দেখে জার্মান প্রেসিডেন্ট ভাবেন, এটি নিশ্চয়ই আমেরিকানদের কোনো গোপন কোড। আর এই সুযোগ স্থানীয় শিল্পীরা কাজে লাগিয়ে জার্মানির অলিগলির দেয়ালে অদ্ভুত সব গ্রাফিতির জন্ম দেন, যা রীতিমতো চারদিকে আতঙ্ক তৈরি করে। এভাবেই একটি সাধারণ পরিদর্শন চিহ্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন পরিবেশে একটি প্রতিবাদী ভাষার জন্ম দেয়।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া থেকে আধুনিক গ্রাফিতির প্রচলন। ডেরিল ম্যাকরে বা কর্নব্রেডকে বলা হয়ে থাকে আধুনিক গ্রাফিতির জনক। তাঁর হাত ধরেই সত্তরের দশকে নিউইয়র্কের ট্রেন, বাস, বাড়ির দেয়াল প্রভৃতি স্থানে ব্যাপকভাবে গ্রাফিতি ছড়িয়ে পড়ে। গোপনে করা এসব দেয়াললিখন কেবল লেখাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রতিবাদী নানা শৈল্পিক চিত্র। এর ফলে পরবর্তী দশকগুলোতে গ্রাফিতি একটি বৈশ্বিক শিল্প হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবীর বড় শহরগুলোর প্রতিবাদের এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী ভাষা হয়ে ওঠে গ্রাফিতি। কে বা কারা গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে, তাদের আসল পরিচয় কেউ জানতে পারত না, তবে কখনো কখনো এসব গ্রাফিতিতে ব্যবহার করা হতো ছদ্মনাম।
এবার আসা যাক আমাদের দেশে গ্রাফিতির প্রচলন প্রসঙ্গে। শুরুতে বিশেষ বিশেষ স্থানে খুবই স্বল্প পরিসরে গ্রাফিতির ব্যবহার থাকলেও ঢাকার বিভিন্ন দেয়ালে ২০১৭ সালের পর থেকে গ্রাফিতি একটু বেশিই দৃশ্যমান হতে শুরু করে। ‘সুবোধ’ নামে যেসব দেয়ালচিত্র আমরা দেখতে পাই, সেগুলো যে প্রকৃতপক্ষে গ্রাফিতি, তা বুঝতে আমাদের অনেকেরই বেশ ধকল গিয়েছে।
‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, এখন সময় পক্ষে না’; ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, মানুষ ভালোবাসতে ভুলে গেছে’; ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, তোর ভাগ্যে কিছু নেই’ কিংবা ‘সুবোধ এখন জেলে, পাপবোধ নিশ্চিন্তে বাস করছে মানুষের মনে’—সবই একেকটি গ্রাফিতি। আর এই প্রতিটি দেয়ালচিত্রের সঙ্গে লোগো আকারে ব্যবহার করা হয়েছে একটি শব্দ: ‘হবেকি’। যেটি স্পষ্টতই ছদ্মনাম।
এই চিত্রগুলো কখনোই দেয়ালের শোভাবর্ধনের জন্য আঁকা হয়নি, এমনকি জানা যায়নি কোনো শিল্পী এবং পৃষ্ঠপোষকের নাম। কিন্তু এর ভাবনাগুলো গভীর এবং প্রতিনিয়ত মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনায় আমরা রাজপথ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ক্যাম্পাস, অলিগলিতে প্রচুর গ্রাফিতির ব্যবহার পেয়েছি। ঘটনা পরিক্রমায় গ্রাফিতিই এখন হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক প্রতিবাদের এক অনন্যসাধারণ ভাষা।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে একটি বহুল আলোচিত শব্দ হলো ‘গ্রাফিতি’। কমবেশি আমরা সবাই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে, বাইরের যেকোনো ধরনের আঁকাআঁকিকেই কি আমরা গ্রাফিতি বলব? বা যেকোনো রকমের দেয়াললিখনকেই কি আমরা গ্রাফিতি বলব? যদি না বলি, তাহলে জানতে হবে সাধারণ আঁকাআঁকির সঙ্গে গ্রাফিতির পার্থক্য কোথায় বা ঠিক কী কী মানদণ্ডের ওপর নির্ভর করে আমরা একটি চিত্র অঙ্কনকে গ্রাফিতি বলব। আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে গ্রাফিতি কীভাবে প্রবেশ করল? তবে চলুন আজ জানব গ্রাফিতি শব্দের আদ্যোপান্ত।
গ্রাফিতি শব্দটি ইতালিয়ান ‘গ্রাফিতো’ শব্দ থেকে জাত। এর অর্থ হলো ‘খচিত’। শব্দের অর্থগত দিক থেকে বিশেষণ মনে হলেও বাংলা অর্থ বিবেচনায় এটি বিশেষ্য পদ। সাধারণভাবে গ্রাফিতি হলো দেয়াল বা রাস্তায় আঁকা কোনো চিত্র বা লেখা, যা আপাতভাবে সাধারণ কোনো কিছুকে নির্দেশ করলেও এর পেছনের বোধটি অত্যন্ত গভীর। গ্রাফিতি শব্দটির মাধ্যমে চিত্র অঙ্কন, শিলালিপি বা এ ধরনের কোনো শিল্পকে বোঝালেও গ্রাফিতি মূলত প্রতিবাদের একধরনের ভাষা। গ্রাফিতির মাধ্যমে রাজনৈতিক স্লোগান, সমকালীন কোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়া বা সময়ের জনপ্রিয় কোনো উদ্ধৃতি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবাদীরূপে গ্রাফিতির উত্থান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে শুরু হলেও প্রাগৈতিহাসিক সময়েও এর প্রয়োগ মেলে। তবে গ্রাফিতির বিষয়ে একটি ধারণা পরিষ্কার হওয়া সমীচীন। সেটি হলো, কোনো পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমে দেয়ালের শোভাবর্ধনের জন্য যে চিত্র অঙ্কন করা হয়, সেগুলো কোনোভাবেই গ্রাফিতির আওতায় পড়ে না।
এবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করা যাক গ্রাফিতি অঙ্কনের শুরুর গল্পের দিকে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, গ্রাফিতির সঙ্গে যে নামটি জড়িয়ে আছে, সেটি হলো জেমস জে কিলরয়। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শিপইয়ার্ডের পরিদর্শক। জাহাজ নির্মাণের পর তা পরিদর্শন শেষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতেন কিলরয়।
তাঁর অনুমোদনের ভিত্তিতে জাহাজের নির্মাণশ্রমিকেরা মজুরি পেতেন। কিলরয় প্রতিটি জাহাজ পরিদর্শন শেষে চক দিয়ে একটি দাগ কেটে দিতেন। কিন্তু নির্মাণশ্রমিকেরা বাড়তি মজুরির আশায় কিলরয়ের দেওয়া দাগগুলো মুছে দিতেন। এ নিয়ে কিলরয়ের সঙ্গে শ্রমিকদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে কিলরয় ঠিক করলেন তিনি চকের বদলে রং ব্যবহার করবেন এবং যা সহজে তুলে ফেলা সম্ভব নয়। তারপর থেকে কিলরয় প্রতিবার জাহাজ পর্যবেক্ষণ শেষে জাহাজের গায়ে লিখে দিতে শুরু করলেন ‘কিলরয় ওয়াজ হিয়ার’, যার মানে ‘কিলরয় এখানেই ছিলেন’।
ঠিক এখান থেকেই নতুন বিপত্তির শুরু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জরুরি অবস্থায় যখন জাহাজ জার্মানিতে পাঠানো হয়, তখন কিলরয়ের সেই চিহ্নসহই অনেক জাহাজ বন্দরে পৌঁছে যায়। এ ধরনের চিহ্ন দেখে জার্মান প্রেসিডেন্ট ভাবেন, এটি নিশ্চয়ই আমেরিকানদের কোনো গোপন কোড। আর এই সুযোগ স্থানীয় শিল্পীরা কাজে লাগিয়ে জার্মানির অলিগলির দেয়ালে অদ্ভুত সব গ্রাফিতির জন্ম দেন, যা রীতিমতো চারদিকে আতঙ্ক তৈরি করে। এভাবেই একটি সাধারণ পরিদর্শন চিহ্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন পরিবেশে একটি প্রতিবাদী ভাষার জন্ম দেয়।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া থেকে আধুনিক গ্রাফিতির প্রচলন। ডেরিল ম্যাকরে বা কর্নব্রেডকে বলা হয়ে থাকে আধুনিক গ্রাফিতির জনক। তাঁর হাত ধরেই সত্তরের দশকে নিউইয়র্কের ট্রেন, বাস, বাড়ির দেয়াল প্রভৃতি স্থানে ব্যাপকভাবে গ্রাফিতি ছড়িয়ে পড়ে। গোপনে করা এসব দেয়াললিখন কেবল লেখাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রতিবাদী নানা শৈল্পিক চিত্র। এর ফলে পরবর্তী দশকগুলোতে গ্রাফিতি একটি বৈশ্বিক শিল্প হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবীর বড় শহরগুলোর প্রতিবাদের এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী ভাষা হয়ে ওঠে গ্রাফিতি। কে বা কারা গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে, তাদের আসল পরিচয় কেউ জানতে পারত না, তবে কখনো কখনো এসব গ্রাফিতিতে ব্যবহার করা হতো ছদ্মনাম।
এবার আসা যাক আমাদের দেশে গ্রাফিতির প্রচলন প্রসঙ্গে। শুরুতে বিশেষ বিশেষ স্থানে খুবই স্বল্প পরিসরে গ্রাফিতির ব্যবহার থাকলেও ঢাকার বিভিন্ন দেয়ালে ২০১৭ সালের পর থেকে গ্রাফিতি একটু বেশিই দৃশ্যমান হতে শুরু করে। ‘সুবোধ’ নামে যেসব দেয়ালচিত্র আমরা দেখতে পাই, সেগুলো যে প্রকৃতপক্ষে গ্রাফিতি, তা বুঝতে আমাদের অনেকেরই বেশ ধকল গিয়েছে।
‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, এখন সময় পক্ষে না’; ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, মানুষ ভালোবাসতে ভুলে গেছে’; ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, তোর ভাগ্যে কিছু নেই’ কিংবা ‘সুবোধ এখন জেলে, পাপবোধ নিশ্চিন্তে বাস করছে মানুষের মনে’—সবই একেকটি গ্রাফিতি। আর এই প্রতিটি দেয়ালচিত্রের সঙ্গে লোগো আকারে ব্যবহার করা হয়েছে একটি শব্দ: ‘হবেকি’। যেটি স্পষ্টতই ছদ্মনাম।
এই চিত্রগুলো কখনোই দেয়ালের শোভাবর্ধনের জন্য আঁকা হয়নি, এমনকি জানা যায়নি কোনো শিল্পী এবং পৃষ্ঠপোষকের নাম। কিন্তু এর ভাবনাগুলো গভীর এবং প্রতিনিয়ত মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনায় আমরা রাজপথ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ক্যাম্পাস, অলিগলিতে প্রচুর গ্রাফিতির ব্যবহার পেয়েছি। ঘটনা পরিক্রমায় গ্রাফিতিই এখন হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক প্রতিবাদের এক অনন্যসাধারণ ভাষা।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
৫ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
৫ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
৬ ঘণ্টা আগে