সেলিম জাহান
ঢাকা: ৯ মে বিশ্ব মাতৃদিবস। মাতৃমূর্তি আমাদের জীবনে একাধিক। আমাদের জন্মদাত্রী মাতা ভিন্নও আরও বহুজন আমাদের মাতার ভূমিকা পালন করেন। কারও কারও ক্ষেত্রে পিতামহী কিংবা মাতামহী মাতার ভূমিকা পালন করেন, কারও কারও ক্ষেত্রে মাসি-পিসি, এবং কখনোসখনো অগ্রজা কিংবা অগ্রজপত্নী। আমার জন্মদাত্রী মাতা এখন প্রয়াত। তাই আমার ক্ষেত্রে এমন ভূমিকা পালন করছে আমাদের কন্যাদ্বয়। এখন তারাই আমার মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
কিন্তু মানবীরাই তো শুধু মাতা কিংবা মাতৃসমা নন, বৃক্ষও তো এক অর্থে আমাদের মাতা ও মাতৃসমা। মাতৃস্তন্য পান করে আমরা যেমন বেঁচে থাকি, তেমনি বৃক্ষনিঃসৃত অম্লজানই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। বৃক্ষতল আমাদের আশ্রয় দেয়, বৃক্ষের ছায়া আমাদের আগলে রাখে, বৃক্ষ আমাদের খাদ্যের জন্যে ফল দান করে, এবং তার প্রতিটি অংশকে উজাড় করে দেয় আমাদের নিত্যদিনকার জীবনধারায়। তাই, বৃক্ষমাতাও আমাদের মায়ের মতোই।
এত কিছুর পরও কুসন্তানেরা যেমন মায়ের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না, তেমনি আমরাও সাম্প্রতিক সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উজাড় করে বৃক্ষমাতা নিধনে মেতে উঠেছি। অর্থের লোভ আর সম্পদের লালসায় আমরা এতটাই বিকারগ্রস্ত হয়ে উঠেছি যে আমরা ইতিহাস ভুলে গিয়ে, ঐতিহ্য বিস্মৃত হয়ে মাতৃহত্যায় ও পিছপা হচ্ছি না।
কিন্তু কুসন্তানের মতো মায়ের সুসন্তানও তো থাকে, যারা মাকে বলে, ‘মাগো ভাবনা কেন আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে/তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি/
তোমার ভয় নেই মা/আমরা প্রতিবাদ করতে জানি’। বৃক্ষমাতা হত্যাযজ্ঞ বন্ধের জন্যে সেই সুসন্তানেরা যূথবদ্ধ হয়েছেন, প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন গতকাল, আজও করবেন, করবেন আগামী দিনগুলোতেও।
বৃক্ষমাতা নিধনযজ্ঞ বন্ধের জন্যে তাঁরা নানান কৌশল অবলম্বন করছেন। প্রতিটি বৃক্ষকে বাংলাদেশের একেকজন বীর সন্তানের নাম দিয়ে সেই নামাঙ্কিত পত্র সেঁটে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি বৃক্ষে। সুতরাং যদি কেউ কোনো বৃক্ষকে কর্তন করে বা করার নির্দেশ দেয়, তাহলে ধরে নেওয়া হবে—তারা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়কে হৃদয়ে ধারণ করে না। প্রতিটি বৃক্ষের কাছে রাত-দিন পাহারা দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা অপশক্তির অপকর্মের বিরুদ্ধে।
বৃক্ষমাতার এসব সুসন্তানের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে নমিত হই। ‘আমার যেটুকু সাধ্য, করিব তা আমি’, এই আপ্তবাক্যে বলীয়ান হয়ে তাঁরা যথাসাধ্য করছেন। তাঁরা আমাদের অভিনন্দন আর সহযোগিতার পাত্র। অনেকেই যখন বলছেন, ‘লিখে কিছু হয় না’, কিংবা ‘লেখা একটা নিষ্কর্ম প্রয়াস’ অথবা নিরাশ হয়ে রায় দিচ্ছেন—‘কিছুই করা যাবে না’, সেখানে এক গোষ্ঠী মানুষ যূথবদ্ধভাবে কিছু একটা করছেন। এরাই হচ্ছেন সত্যিকারের পথিকৃৎ এবং আশাবাদী মানুষ।
নিন্দুকের চেয়েও নেতিবাচক মানুষ আরও ভয়ংকর। এ জাতীয় মানুষ নিজেরাও কিছু করে না, কিন্তু যেকোনো ইতিবাচক কর্মকাণ্ডেও প্রতিনিয়ত অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান। মনে রাখা দরকার, নিরাশার কোনো ইতিবাচক দিক নেই এবং নেতিবাচক মানুষদের দিয়ে পৃথিবীর কোনো মঙ্গল সাধিত হয়নি।
তাই এই মাতৃদিবসে আমার কৃতজ্ঞতা বৃক্ষমাতার সুসন্তানদের প্রতি, যাঁরা বৃক্ষমাতার নিধনরোধে ব্রতী। মনে রাখা দরকার, মাতৃ-অসন্তোষ যেমন কোনো সন্তানের মঙ্গল বয়ে আনে না, তেমনি ধরিত্রী আর বৃক্ষমাতার রোষানলে পড়লে আমাদের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়বে। সে ঘণ্টাধ্বনি কিন্তু শোনা যাচ্ছে। আজকের মাতৃদিবসে তাই সকল মানবী মাতাসহ সকল বৃক্ষমাতার প্রতিও আমি প্রণত হই।
ঢাকা: ৯ মে বিশ্ব মাতৃদিবস। মাতৃমূর্তি আমাদের জীবনে একাধিক। আমাদের জন্মদাত্রী মাতা ভিন্নও আরও বহুজন আমাদের মাতার ভূমিকা পালন করেন। কারও কারও ক্ষেত্রে পিতামহী কিংবা মাতামহী মাতার ভূমিকা পালন করেন, কারও কারও ক্ষেত্রে মাসি-পিসি, এবং কখনোসখনো অগ্রজা কিংবা অগ্রজপত্নী। আমার জন্মদাত্রী মাতা এখন প্রয়াত। তাই আমার ক্ষেত্রে এমন ভূমিকা পালন করছে আমাদের কন্যাদ্বয়। এখন তারাই আমার মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
কিন্তু মানবীরাই তো শুধু মাতা কিংবা মাতৃসমা নন, বৃক্ষও তো এক অর্থে আমাদের মাতা ও মাতৃসমা। মাতৃস্তন্য পান করে আমরা যেমন বেঁচে থাকি, তেমনি বৃক্ষনিঃসৃত অম্লজানই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। বৃক্ষতল আমাদের আশ্রয় দেয়, বৃক্ষের ছায়া আমাদের আগলে রাখে, বৃক্ষ আমাদের খাদ্যের জন্যে ফল দান করে, এবং তার প্রতিটি অংশকে উজাড় করে দেয় আমাদের নিত্যদিনকার জীবনধারায়। তাই, বৃক্ষমাতাও আমাদের মায়ের মতোই।
এত কিছুর পরও কুসন্তানেরা যেমন মায়ের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না, তেমনি আমরাও সাম্প্রতিক সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উজাড় করে বৃক্ষমাতা নিধনে মেতে উঠেছি। অর্থের লোভ আর সম্পদের লালসায় আমরা এতটাই বিকারগ্রস্ত হয়ে উঠেছি যে আমরা ইতিহাস ভুলে গিয়ে, ঐতিহ্য বিস্মৃত হয়ে মাতৃহত্যায় ও পিছপা হচ্ছি না।
কিন্তু কুসন্তানের মতো মায়ের সুসন্তানও তো থাকে, যারা মাকে বলে, ‘মাগো ভাবনা কেন আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে/তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি/
তোমার ভয় নেই মা/আমরা প্রতিবাদ করতে জানি’। বৃক্ষমাতা হত্যাযজ্ঞ বন্ধের জন্যে সেই সুসন্তানেরা যূথবদ্ধ হয়েছেন, প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন গতকাল, আজও করবেন, করবেন আগামী দিনগুলোতেও।
বৃক্ষমাতা নিধনযজ্ঞ বন্ধের জন্যে তাঁরা নানান কৌশল অবলম্বন করছেন। প্রতিটি বৃক্ষকে বাংলাদেশের একেকজন বীর সন্তানের নাম দিয়ে সেই নামাঙ্কিত পত্র সেঁটে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি বৃক্ষে। সুতরাং যদি কেউ কোনো বৃক্ষকে কর্তন করে বা করার নির্দেশ দেয়, তাহলে ধরে নেওয়া হবে—তারা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়কে হৃদয়ে ধারণ করে না। প্রতিটি বৃক্ষের কাছে রাত-দিন পাহারা দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা অপশক্তির অপকর্মের বিরুদ্ধে।
বৃক্ষমাতার এসব সুসন্তানের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে নমিত হই। ‘আমার যেটুকু সাধ্য, করিব তা আমি’, এই আপ্তবাক্যে বলীয়ান হয়ে তাঁরা যথাসাধ্য করছেন। তাঁরা আমাদের অভিনন্দন আর সহযোগিতার পাত্র। অনেকেই যখন বলছেন, ‘লিখে কিছু হয় না’, কিংবা ‘লেখা একটা নিষ্কর্ম প্রয়াস’ অথবা নিরাশ হয়ে রায় দিচ্ছেন—‘কিছুই করা যাবে না’, সেখানে এক গোষ্ঠী মানুষ যূথবদ্ধভাবে কিছু একটা করছেন। এরাই হচ্ছেন সত্যিকারের পথিকৃৎ এবং আশাবাদী মানুষ।
নিন্দুকের চেয়েও নেতিবাচক মানুষ আরও ভয়ংকর। এ জাতীয় মানুষ নিজেরাও কিছু করে না, কিন্তু যেকোনো ইতিবাচক কর্মকাণ্ডেও প্রতিনিয়ত অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান। মনে রাখা দরকার, নিরাশার কোনো ইতিবাচক দিক নেই এবং নেতিবাচক মানুষদের দিয়ে পৃথিবীর কোনো মঙ্গল সাধিত হয়নি।
তাই এই মাতৃদিবসে আমার কৃতজ্ঞতা বৃক্ষমাতার সুসন্তানদের প্রতি, যাঁরা বৃক্ষমাতার নিধনরোধে ব্রতী। মনে রাখা দরকার, মাতৃ-অসন্তোষ যেমন কোনো সন্তানের মঙ্গল বয়ে আনে না, তেমনি ধরিত্রী আর বৃক্ষমাতার রোষানলে পড়লে আমাদের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়বে। সে ঘণ্টাধ্বনি কিন্তু শোনা যাচ্ছে। আজকের মাতৃদিবসে তাই সকল মানবী মাতাসহ সকল বৃক্ষমাতার প্রতিও আমি প্রণত হই।
সিসা একটি নরম ধাতু। এটি ঈষৎ নীলাভ ধূসর বর্ণের। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮২। ধাতুটি এতটাই নরম যে একটি ছুরির সাহায্যে একে কাটা যায়। সিসা কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর বিষ। এই বিষের ভেতরেই বাস করছে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ। বাংলাদেশের বাতাসে যেমন সিসার উপস্থিতি দেখা গেছে, তেমনি মাটিতে-পানিতেও পাওয়া গেছে...
১ few সেকেন্ড আগেঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী পরিচয়ে দ্রুত অস্ত্রোপচারে সহায়তা করার কথা বলে পাপিয়া আক্তার রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তিনি যে ‘ভুয়া’ ছাত্রী, সেটি বুঝতে পেরে চিকিৎসকেরা তাঁকে আটক করেন। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। হয়তো তাঁর শাস্তিও হবে। পাপিয়া শুধু অচেনা রোগী ও তাদের স্বজনদের নয়, তাঁর স্বামীকেও ধোঁকা...
১১ মিনিট আগেএখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
১ দিন আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
১ দিন আগে