রাজীব কুমার সাহা
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে অন্যতম আলোচিত শব্দ হলো ‘জেন-জি’। গণমাধ্যম সূত্রে কমবেশি আমরা সবাই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। শব্দটি শুনে বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি অ্যাক্রোনিম বা সংক্ষিপ্ত শব্দ। কিন্তু জেন-জি বলতে প্রকৃতপক্ষে কী বোঝায়? এর মূল অর্থটি কী? আমরা কি জানি, যুগের চাহিদার সঙ্গে সমসাময়িক জীবনধারার সম্পৃক্ততায় শব্দটি ঠিক কাদের প্রতিনিধিত্ব করছে? তার পাশাপাশি আরেকটি প্রশ্ন মনে উঁকি দেয়, ‘জেড’ যেহেতু ইংরেজি বর্ণমালার সর্বশেষ বর্ণ, তাহলে জেনারেশন ওয়াই বা এক্সও নিশ্চয়ই আছে। তাহলে তারা কারা? তবে চলুন আজ জানব জেন-জির পূর্বাপর এবং অনুপুঙ্খ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।
সংস্কৃতি ও সভ্যতার ক্রমবিবর্তনে বদলে যায় মানুষের জীবনবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি। সময়ের এই ধারাকে প্রতিনিধিত্ব করে একেকটি প্রজন্ম। আর প্রতিটি প্রজন্মই তার পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকে এগিয়ে থাকে সমকালীন উৎকর্ষগত মানদণ্ডে। সাধারণত ২০ থেকে ২৫ বছর অর্থাৎ দুই যুগের মতো সময় নিয়ে একটি প্রজন্ম গড়ে ওঠে। যদিও এর শুরু ও শেষের বছরটি বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত হয়। আর এই নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ক্রমবিবর্তন, বিশ্বায়ন ও সভ্যতার উন্নয়ন অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিককালে জেন-জি শব্দটি ব্যাপকভাবে আলোচনার আগে প্রজন্মের নামকরণ বা কালসীমা নিয়ে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো আলোচনা আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে ছিল না।
প্রথমেই জেনে রাখি, জেনারেশন জেড-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ‘জেন-জি’। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, ‘জেনারেশন জেড ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে এবং ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে জন্ম নেওয়া আমেরিকানদের বোঝাতে এই শব্দগুচ্ছটি ব্যবহার করা হয়।’ সময় নির্ধারণে কিছুটা তারতম্য থাকলেও মোটাদাগে বলা যায় ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ভেতর যাদের জন্ম, তারাই হলো জেন-জি বা জেনারেশন জেড। বর্তমানে এই প্রজন্মের সদস্যদের বয়স ১২ থেকে ২৭ বছর। অর্থাৎ ২০২৪ সালের হিসাবে সবচেয়ে বড় জেড সদস্যের বয়স ২৭ আর সর্বকনিষ্ঠজনের বয়স ১২ বছর। এদের মা-বাবারা মূলত জেনারেশন এক্স ও ওয়াইয়ের সদস্য।
জেন-জিদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের ক্যাটাগরি ‘জেনারেশন ওয়াই’, যাদের বলা হয় ‘মিলেনিয়ালস’ বা সহস্রাব্দ প্রজন্ম। এদের জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বিবেচনা করা হয়। এদের বর্তমান বয়স ২৮ থেকে ৪৩ বছর। এই প্রজন্মেরই যাদের জন্ম আবার ১৯৯০ সালের ভেতরে অর্থাৎ যারা পুরো নব্বই দশকে তাদের শৈশব-কৈশোর পার করেছে, তাদের বলা হয় ‘নাইন্টিজ কিডস’। এ শব্দবন্ধটির সঙ্গে আমরা কিছুটা পূর্বপরিচিত। এদের মা-বাবারা বেশির ভাগই বুমার্স ও জেনারেশন এক্সের সদস্য। প্রজন্ম জেডের আরেকটি নাম হচ্ছে ‘জুমার্স’। যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে জেডের পূর্বসূরিদের নাম। এখানে ‘জেড’ অক্ষরের সঙ্গে মূলত ‘বুমার্স’ শব্দের সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে ভাষাবৈজ্ঞানিক ব্লেন্ডিং পদ্ধতিতে। ‘বুমার্স’ হলো বেবি বুমার্সের সংক্ষিপ্ত রূপ, যে প্রজন্মের কালবিভাজন ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ধরা হয়। এদের বর্তমান বয়স ৬০ থেকে ৭৮ বছর। এদের পরে আসে ‘জেনারেশন এক্স’। এদের জন্মকাল আনুমানিক ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে এবং এদের বর্তমান বয়স ৪৪ থেকে ৫৯ বছর। সেই অর্থে বুমার্সদের বলা যেতে পারে জেন-জিদের প্রপিতামহ। প্রজন্ম জেডের পর আসে জেনারেশন আলফা। এদের জন্মকাল আনুমানিক ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এবং এদের বর্তমান বয়স ০ থেকে ১২ বছর। স্বাভাবিকভাবেই এদের মা-বাবারা জেনারেশন ওয়াই বা সহস্রাব্দ প্রজন্মের সদস্য। তবে উল্লেখ্য, এই প্রজন্মের সদস্যদের আচরণগত বৈশিষ্ট্য এবং পরিসংখ্যান এখনো সর্বব্যাপী অপ্রকাশিত। সে হিসেবে এর শেষ সময় এখনো অনির্ধারিত।
জেন-জি হলো প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল নেটিভ জেনারেশন। প্রজন্ম জেডের সদস্যরা জেন-জি ছাড়াও আরও বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন: ইন্টারনেট জেনারেশন, ডিজিটাল নেটিভস, নিও-ডিজিটাল নেটিভস, হোমল্যান্ড জেনারেশন, নেটিজেন প্রভৃতি। ইন্টারনেট এবং পোর্টেবল ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যে বেড়ে ওঠার কারণে এই প্রজন্মকে ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে অভিহিত করা হয়। পূর্ববর্তী প্রজন্মের চিন্তা-চেতনা যেখানে নিবদ্ধ ছিল বইকেন্দ্রিক, সেখানে এই প্রজন্মের প্রায় প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস। আমরা যদি জেড প্রজন্মের সদস্যদের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করি, তবে পাই বৈচিত্র্যপ্রবণতা ও সর্বস্তরের অন্তর্ভুক্তি, ফ্রিল্যান্সিং কর্মপ্রবণতা, প্রায়োগিক শিখনকৌশল, উদ্ভাবনী শক্তিপ্রয়োগ ও অভিনব কর্মচাঞ্চল্য, মিশ্র সংস্কৃতির প্রতি উদারতা, ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল ক্যারিয়ার ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি।
প্রজন্মের এই কালবিভাজনের ক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, প্রতিটি প্রজন্মের নামকরণ এবং কালবিভাজন কিন্তু কোনো সরকারি-বেসরকারি কমিশন বা কোনো গোষ্ঠী কর্তৃক নির্ধারিত হয় না। বরং সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ঘটনাপরম্পরায় গণমাধ্যম ও সমকালীন চিন্তাচর্চায় ধীরে ধীরে ঐকমত্য গড়ে ওঠে। আবার কখনো কখনো প্রজন্ম নির্দিষ্ট ঘটনা দ্বারাও নির্ধারিত হয়। সে ক্ষেত্রে তাদের নাম ও সময়সীমা নিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে মতপার্থক্য থাকতে পারে।
রাজীব কুমার সাহা, আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে অন্যতম আলোচিত শব্দ হলো ‘জেন-জি’। গণমাধ্যম সূত্রে কমবেশি আমরা সবাই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। শব্দটি শুনে বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি অ্যাক্রোনিম বা সংক্ষিপ্ত শব্দ। কিন্তু জেন-জি বলতে প্রকৃতপক্ষে কী বোঝায়? এর মূল অর্থটি কী? আমরা কি জানি, যুগের চাহিদার সঙ্গে সমসাময়িক জীবনধারার সম্পৃক্ততায় শব্দটি ঠিক কাদের প্রতিনিধিত্ব করছে? তার পাশাপাশি আরেকটি প্রশ্ন মনে উঁকি দেয়, ‘জেড’ যেহেতু ইংরেজি বর্ণমালার সর্বশেষ বর্ণ, তাহলে জেনারেশন ওয়াই বা এক্সও নিশ্চয়ই আছে। তাহলে তারা কারা? তবে চলুন আজ জানব জেন-জির পূর্বাপর এবং অনুপুঙ্খ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।
সংস্কৃতি ও সভ্যতার ক্রমবিবর্তনে বদলে যায় মানুষের জীবনবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি। সময়ের এই ধারাকে প্রতিনিধিত্ব করে একেকটি প্রজন্ম। আর প্রতিটি প্রজন্মই তার পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকে এগিয়ে থাকে সমকালীন উৎকর্ষগত মানদণ্ডে। সাধারণত ২০ থেকে ২৫ বছর অর্থাৎ দুই যুগের মতো সময় নিয়ে একটি প্রজন্ম গড়ে ওঠে। যদিও এর শুরু ও শেষের বছরটি বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত হয়। আর এই নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ক্রমবিবর্তন, বিশ্বায়ন ও সভ্যতার উন্নয়ন অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করে। সাম্প্রতিককালে জেন-জি শব্দটি ব্যাপকভাবে আলোচনার আগে প্রজন্মের নামকরণ বা কালসীমা নিয়ে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো আলোচনা আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে ছিল না।
প্রথমেই জেনে রাখি, জেনারেশন জেড-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ‘জেন-জি’। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, ‘জেনারেশন জেড ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে এবং ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে জন্ম নেওয়া আমেরিকানদের বোঝাতে এই শব্দগুচ্ছটি ব্যবহার করা হয়।’ সময় নির্ধারণে কিছুটা তারতম্য থাকলেও মোটাদাগে বলা যায় ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ভেতর যাদের জন্ম, তারাই হলো জেন-জি বা জেনারেশন জেড। বর্তমানে এই প্রজন্মের সদস্যদের বয়স ১২ থেকে ২৭ বছর। অর্থাৎ ২০২৪ সালের হিসাবে সবচেয়ে বড় জেড সদস্যের বয়স ২৭ আর সর্বকনিষ্ঠজনের বয়স ১২ বছর। এদের মা-বাবারা মূলত জেনারেশন এক্স ও ওয়াইয়ের সদস্য।
জেন-জিদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের ক্যাটাগরি ‘জেনারেশন ওয়াই’, যাদের বলা হয় ‘মিলেনিয়ালস’ বা সহস্রাব্দ প্রজন্ম। এদের জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বিবেচনা করা হয়। এদের বর্তমান বয়স ২৮ থেকে ৪৩ বছর। এই প্রজন্মেরই যাদের জন্ম আবার ১৯৯০ সালের ভেতরে অর্থাৎ যারা পুরো নব্বই দশকে তাদের শৈশব-কৈশোর পার করেছে, তাদের বলা হয় ‘নাইন্টিজ কিডস’। এ শব্দবন্ধটির সঙ্গে আমরা কিছুটা পূর্বপরিচিত। এদের মা-বাবারা বেশির ভাগই বুমার্স ও জেনারেশন এক্সের সদস্য। প্রজন্ম জেডের আরেকটি নাম হচ্ছে ‘জুমার্স’। যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে জেডের পূর্বসূরিদের নাম। এখানে ‘জেড’ অক্ষরের সঙ্গে মূলত ‘বুমার্স’ শব্দের সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে ভাষাবৈজ্ঞানিক ব্লেন্ডিং পদ্ধতিতে। ‘বুমার্স’ হলো বেবি বুমার্সের সংক্ষিপ্ত রূপ, যে প্রজন্মের কালবিভাজন ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ধরা হয়। এদের বর্তমান বয়স ৬০ থেকে ৭৮ বছর। এদের পরে আসে ‘জেনারেশন এক্স’। এদের জন্মকাল আনুমানিক ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে এবং এদের বর্তমান বয়স ৪৪ থেকে ৫৯ বছর। সেই অর্থে বুমার্সদের বলা যেতে পারে জেন-জিদের প্রপিতামহ। প্রজন্ম জেডের পর আসে জেনারেশন আলফা। এদের জন্মকাল আনুমানিক ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এবং এদের বর্তমান বয়স ০ থেকে ১২ বছর। স্বাভাবিকভাবেই এদের মা-বাবারা জেনারেশন ওয়াই বা সহস্রাব্দ প্রজন্মের সদস্য। তবে উল্লেখ্য, এই প্রজন্মের সদস্যদের আচরণগত বৈশিষ্ট্য এবং পরিসংখ্যান এখনো সর্বব্যাপী অপ্রকাশিত। সে হিসেবে এর শেষ সময় এখনো অনির্ধারিত।
জেন-জি হলো প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল নেটিভ জেনারেশন। প্রজন্ম জেডের সদস্যরা জেন-জি ছাড়াও আরও বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন: ইন্টারনেট জেনারেশন, ডিজিটাল নেটিভস, নিও-ডিজিটাল নেটিভস, হোমল্যান্ড জেনারেশন, নেটিজেন প্রভৃতি। ইন্টারনেট এবং পোর্টেবল ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যে বেড়ে ওঠার কারণে এই প্রজন্মকে ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে অভিহিত করা হয়। পূর্ববর্তী প্রজন্মের চিন্তা-চেতনা যেখানে নিবদ্ধ ছিল বইকেন্দ্রিক, সেখানে এই প্রজন্মের প্রায় প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস। আমরা যদি জেড প্রজন্মের সদস্যদের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করি, তবে পাই বৈচিত্র্যপ্রবণতা ও সর্বস্তরের অন্তর্ভুক্তি, ফ্রিল্যান্সিং কর্মপ্রবণতা, প্রায়োগিক শিখনকৌশল, উদ্ভাবনী শক্তিপ্রয়োগ ও অভিনব কর্মচাঞ্চল্য, মিশ্র সংস্কৃতির প্রতি উদারতা, ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল ক্যারিয়ার ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি।
প্রজন্মের এই কালবিভাজনের ক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, প্রতিটি প্রজন্মের নামকরণ এবং কালবিভাজন কিন্তু কোনো সরকারি-বেসরকারি কমিশন বা কোনো গোষ্ঠী কর্তৃক নির্ধারিত হয় না। বরং সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ঘটনাপরম্পরায় গণমাধ্যম ও সমকালীন চিন্তাচর্চায় ধীরে ধীরে ঐকমত্য গড়ে ওঠে। আবার কখনো কখনো প্রজন্ম নির্দিষ্ট ঘটনা দ্বারাও নির্ধারিত হয়। সে ক্ষেত্রে তাদের নাম ও সময়সীমা নিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে মতপার্থক্য থাকতে পারে।
রাজীব কুমার সাহা, আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
২ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
২ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
২ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
২ ঘণ্টা আগে