সেলিম জাহান
শিরোনামেই যদি একটি লেখার পরিচয় হয়, তাহলে এই লেখারও বিশেষ একটি মাত্রিকতা আছে। বাইরের শামীম আজাদ বহুল পরিচিত এক শীর্ষস্থানীয় জননন্দিত কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার। ঘরের শামীম আজাদ কিন্তু ভিন্নতর এক ব্যক্তিত্ব—একাধারে ও অসাধারণ এক মা, মজার এক মাতামহী, স্নেহময় এক ভগ্নী এবং মায়াময় এক জীবনসঙ্গী।
ঘরের শামীম আজাদকে নিয়েই এই লেখা—আজ ১১ নভেম্বর ওর জন্মদিন উপলক্ষে আমার অর্ঘ্য বলা চলে। আর বাইরের শামীম আজাদের সাহিত্যকর্মের উৎসস্থল তো ওই ঘরই—বেশির ভাগ গল্প-কবিতা তো ও ঘরে বসেই লেখে। অতএব, ঘরে-বাইরের শামীম আজাদকে চেনাতে হলে ঘরের শামীম আজাদের কথা না বললেই নয়।
যেমনটা বলছিলাম, বাইরের শামীম আজাদ সবার চেনা। আর দশজনের মতো আমিও বাইরের শামীম আজাদকে চিনি। শামীমের লেখা আমাকে চমকিত ও চমৎকৃত করে। ওর লেখার সৃজনশীলতা, অনন্যতা, ব্যতিক্রমী পথ আমাকে মুগ্ধ করে। শামীমের সব কবিতা আমি বুঝি, এমনটা দাবি করব না; কিন্তু এটা বুঝি যে সে ‘আনখশির’ এক কবি, শামীমের কবি-ঘরানাও ওর নিজস্ব।
শামীমের গল্প, তার আঙ্গিক, বাঁধুনি এবং ভাষাও ওর নিজস্ব। ওর গদ্য বড় স্বাদু, গীতধর্মী এবং মনকাড়া। সেটার একটা কারণ শামীম মূলত কবি, আরেকটা কারণ সে একজন উচ্চাঙ্গের গল্প-বলিয়ে। ছোটরা যেমন অবাক চোখে ওর গল্প শোনে, তেমনি বড়রাও ওর বলার মন্ত্রমুগ্ধ মনোযোগী শ্রোতা।
এই পর্যায়ে এসে প্রশ্ন উঠতে পারে, শামীমের ঘরের মানুষ হয়ে বাইরের শামীমের এত কথা আমি বলছি কেন। বলছি এ কারণে যে, বাইরের শামীমের একটি ঘরোয়া প্রেক্ষাপট আছে। ওর লেখা দিয়েই শুরু করা যাক। কবিতা ওর ওপরে ভর করে—স্বপনে, শয়নে, জাগরণে। আমি তাই শামীমকে ‘পিরাণী কবি’ বলি। আমাদের ঘরের নানান কোনায়, টেবিলে, খাতার ভাঁজে টুকরো টুকরো কাগজ পাওয়া যায়—যে কবিতা জন্ম নেবে, তার এক-দুই লাইন, একটি-দুটি শব্দ। সে থেকেই একদিন একেকটি কবিতা জন্ম নেয়। কোনো কোনোটা অবশ্য অকালেই ঝরে পড়ে।
শামীম লেখে গভীর রাতে কিংবা ভোররাতে। লেখে ওর অনেক কালের সঙ্গী কম্পিউটারটিতে। বহুদিন সে লিখত বিছানায় বসে কাগজপত্র ছড়িয়ে। অথবা ছোট একটি টেবিলে। এখন ওর একটি লেখার টেবিল এসেছে জানালার ধারে। সেখানে সে জুত হয়ে বসে লেখে। তবে সেই টেবিলে কী নেই? কাগজপত্র থেকে শুরু করে জলের গেলাস, চায়ের কৌটোয় পেনসিল-কলম, মুঠোফোন, পিন, রঙিন কাগজ, বিজয় ফুল, ছোট পুতুল—সবই আছে। আমরা—ওর প্রিয়জনেরা—ঠাট্টা করে এগুলোকে ‘শামীমের খেলনা’ বলি। কিন্তু এত শিল্পসম্মত ও সৃষ্টিশীলভাবে ও এগুলো সাজায় যে, আমি অবাক হয়ে যাই।
কিন্তু আমি সবচেয়ে অবাক হই লেখার সময়ে ওর মগ্নতা দেখে। মনে হয়, ও ধ্যানমগ্ন। একটি ঋষিতুল্য মগ্নতা থেকে ওর সাহিত্যকর্মের সৃষ্টি। সে সময় শামীম সবচেয়ে খুশি হয় এক পেয়ালা ধূমায়িত চা বা কফি পেলে। লেখা নিখুঁত করার জন্য শামীমের যে কী প্রচেষ্টা; একটি প্রার্থিত শব্দের জন্য ওর যে কী আকুলি-বিকুলি—লেখার প্রতি এমন অঙ্গীকার আর ভালোবাসা আমি বড় একটা দেখিনি।
শামীমের কর্মকাণ্ড ওই সত্যটিই প্রমাণ করেছে, ‘যে রাঁধে, সে কি চুল বাঁধে না?’ সংসারের প্রতি শামীমের অনেক ভালোবাসা। সে রান্না করতে ভালোবাসে, ভালোবাসে ঘর গোছাতে, ভালোবাসে প্রিয়জনদের খোঁজখবর নিতে। কিন্তু যা-ই সে করুক না কেন, সবকিছুর মধ্যে একটি শৈল্পিক বোধ থাকে, একটি মমতা থাকে, সৃষ্টিশীলতা থাকে, একটি পরিশীলন থাকে। সেসবের ছাপ আমি সর্বস্থানে, সর্বসময়ে অনুভব করি। রান্না যে একটি শিল্প, ওর রান্নাই তার প্রমাণ। ওকে এক মুঠো ঘাস দিলেও ওটা থেকে একটা কিছু করে দেবে যে, আমরা মুগ্ধ হয়ে যাব। ওর ঘর গোছানোর প্রতি পরতে চমকিত ও চমৎকৃত হওয়ার মতো কিছু থাকবেই। একচিলতে বারান্দাকে সে বাগানে পরিণত করতে পারে অনায়াসে। তার প্রমাণ তো সে দিয়েছে গত কয়েক বছরে।
প্রিয়জনদের প্রতি, বন্ধুদের প্রতি, সন্তানতুল্য নানান জনের প্রতি শামীমের বড় গহিন মমতা। প্রতিদিনের একটা বড় সময় সে ব্যয় করে ওদের সঙ্গে কথা বলে। সেখানে খোঁজখবর নেওয়া থাকে, উজ্জীবিত করার একটা ভূমিকা থাকে, পথ বাতলানোরও একটা প্রচেষ্টা থাকে। ও বড় নরম মনের মানুষ। তাই একেবারে অচেনা পথ চলতি মানুষের প্রতিও ওর খুব মায়া। তাদের দুঃখ-কষ্টও শামীমকে বড় বিচলিত করে। আমার সব সময় মনে হয়, শামীমের মধ্যে অনন্যসাধারণ একটি সরলতা আর খাঁটিত্ব আছে, যা বড় বিরল। ওর কথায় আমার সব সময় মনে হয়েছে,
‘মানুষের ছাপে,
শামীমের মাপে,
আমরা সবাই খর্বকায়।’
ঘর থেকে আবার বাইরে আসি। বাইরের শামীমকে এবার ঘরে চিহ্নিত করি ‘ঘরে-বাইরের’ শামীম হিসেবে। ‘ঘরে-বাইরের’ সন্দ্বীপের মতো শামীমও সমাজ বদলে দিতে এক নিবেদিতপ্রাণ। কত কি না সে করেছে জগৎ ও জীবনের জন্য! ‘লন্ডন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’ স্থাপন করেছে, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কবিতা কেন্দ্র শুরু করেছে। স্বপ্নদ্রষ্টা সে ‘বিজয়ফুলের’, যে বিজয়ফুল আজ ছড়িয়ে গেছে বিশ্বময়। জড়িয়ে আছে সে নানান সংগঠনে, সম্পৃক্ত সে নানান প্রচেষ্টায়, যুক্ত সে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে। মানুষের হিত, জগতের মঙ্গল ও জীবনের আনন্দ—সেটাই ওর চাওয়া।
শেষের কথা বলি। ঘরে-বাইরের শামীম আজাদ পেরিয়ে এক শামীম আজাদ আছে যে আমার পরম প্রিয়জন। আসলে শামীমের জন্মদিন একটি দিনে সীমাবদ্ধ নয়। বছরের প্রতিটি দিনই ওর জন্মদিন, কারণ প্রতিটি দিনই ও নতুন করে আত্মপ্রকাশ করে জীবনে, সৃষ্টিতে ও আনন্দে। সেই সঙ্গে ও আমাকেও নতুন করে দেয়। প্রতিবছর এই দিনটি আনন্দ নিয়ে আসে আমাদের দুজনের জন্যই। শামীমের জন্মদিনে ওর জন্য অতল শুভেচ্ছা।
সেলিম জাহান, অর্থনীতিবিদ
শিরোনামেই যদি একটি লেখার পরিচয় হয়, তাহলে এই লেখারও বিশেষ একটি মাত্রিকতা আছে। বাইরের শামীম আজাদ বহুল পরিচিত এক শীর্ষস্থানীয় জননন্দিত কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার। ঘরের শামীম আজাদ কিন্তু ভিন্নতর এক ব্যক্তিত্ব—একাধারে ও অসাধারণ এক মা, মজার এক মাতামহী, স্নেহময় এক ভগ্নী এবং মায়াময় এক জীবনসঙ্গী।
ঘরের শামীম আজাদকে নিয়েই এই লেখা—আজ ১১ নভেম্বর ওর জন্মদিন উপলক্ষে আমার অর্ঘ্য বলা চলে। আর বাইরের শামীম আজাদের সাহিত্যকর্মের উৎসস্থল তো ওই ঘরই—বেশির ভাগ গল্প-কবিতা তো ও ঘরে বসেই লেখে। অতএব, ঘরে-বাইরের শামীম আজাদকে চেনাতে হলে ঘরের শামীম আজাদের কথা না বললেই নয়।
যেমনটা বলছিলাম, বাইরের শামীম আজাদ সবার চেনা। আর দশজনের মতো আমিও বাইরের শামীম আজাদকে চিনি। শামীমের লেখা আমাকে চমকিত ও চমৎকৃত করে। ওর লেখার সৃজনশীলতা, অনন্যতা, ব্যতিক্রমী পথ আমাকে মুগ্ধ করে। শামীমের সব কবিতা আমি বুঝি, এমনটা দাবি করব না; কিন্তু এটা বুঝি যে সে ‘আনখশির’ এক কবি, শামীমের কবি-ঘরানাও ওর নিজস্ব।
শামীমের গল্প, তার আঙ্গিক, বাঁধুনি এবং ভাষাও ওর নিজস্ব। ওর গদ্য বড় স্বাদু, গীতধর্মী এবং মনকাড়া। সেটার একটা কারণ শামীম মূলত কবি, আরেকটা কারণ সে একজন উচ্চাঙ্গের গল্প-বলিয়ে। ছোটরা যেমন অবাক চোখে ওর গল্প শোনে, তেমনি বড়রাও ওর বলার মন্ত্রমুগ্ধ মনোযোগী শ্রোতা।
এই পর্যায়ে এসে প্রশ্ন উঠতে পারে, শামীমের ঘরের মানুষ হয়ে বাইরের শামীমের এত কথা আমি বলছি কেন। বলছি এ কারণে যে, বাইরের শামীমের একটি ঘরোয়া প্রেক্ষাপট আছে। ওর লেখা দিয়েই শুরু করা যাক। কবিতা ওর ওপরে ভর করে—স্বপনে, শয়নে, জাগরণে। আমি তাই শামীমকে ‘পিরাণী কবি’ বলি। আমাদের ঘরের নানান কোনায়, টেবিলে, খাতার ভাঁজে টুকরো টুকরো কাগজ পাওয়া যায়—যে কবিতা জন্ম নেবে, তার এক-দুই লাইন, একটি-দুটি শব্দ। সে থেকেই একদিন একেকটি কবিতা জন্ম নেয়। কোনো কোনোটা অবশ্য অকালেই ঝরে পড়ে।
শামীম লেখে গভীর রাতে কিংবা ভোররাতে। লেখে ওর অনেক কালের সঙ্গী কম্পিউটারটিতে। বহুদিন সে লিখত বিছানায় বসে কাগজপত্র ছড়িয়ে। অথবা ছোট একটি টেবিলে। এখন ওর একটি লেখার টেবিল এসেছে জানালার ধারে। সেখানে সে জুত হয়ে বসে লেখে। তবে সেই টেবিলে কী নেই? কাগজপত্র থেকে শুরু করে জলের গেলাস, চায়ের কৌটোয় পেনসিল-কলম, মুঠোফোন, পিন, রঙিন কাগজ, বিজয় ফুল, ছোট পুতুল—সবই আছে। আমরা—ওর প্রিয়জনেরা—ঠাট্টা করে এগুলোকে ‘শামীমের খেলনা’ বলি। কিন্তু এত শিল্পসম্মত ও সৃষ্টিশীলভাবে ও এগুলো সাজায় যে, আমি অবাক হয়ে যাই।
কিন্তু আমি সবচেয়ে অবাক হই লেখার সময়ে ওর মগ্নতা দেখে। মনে হয়, ও ধ্যানমগ্ন। একটি ঋষিতুল্য মগ্নতা থেকে ওর সাহিত্যকর্মের সৃষ্টি। সে সময় শামীম সবচেয়ে খুশি হয় এক পেয়ালা ধূমায়িত চা বা কফি পেলে। লেখা নিখুঁত করার জন্য শামীমের যে কী প্রচেষ্টা; একটি প্রার্থিত শব্দের জন্য ওর যে কী আকুলি-বিকুলি—লেখার প্রতি এমন অঙ্গীকার আর ভালোবাসা আমি বড় একটা দেখিনি।
শামীমের কর্মকাণ্ড ওই সত্যটিই প্রমাণ করেছে, ‘যে রাঁধে, সে কি চুল বাঁধে না?’ সংসারের প্রতি শামীমের অনেক ভালোবাসা। সে রান্না করতে ভালোবাসে, ভালোবাসে ঘর গোছাতে, ভালোবাসে প্রিয়জনদের খোঁজখবর নিতে। কিন্তু যা-ই সে করুক না কেন, সবকিছুর মধ্যে একটি শৈল্পিক বোধ থাকে, একটি মমতা থাকে, সৃষ্টিশীলতা থাকে, একটি পরিশীলন থাকে। সেসবের ছাপ আমি সর্বস্থানে, সর্বসময়ে অনুভব করি। রান্না যে একটি শিল্প, ওর রান্নাই তার প্রমাণ। ওকে এক মুঠো ঘাস দিলেও ওটা থেকে একটা কিছু করে দেবে যে, আমরা মুগ্ধ হয়ে যাব। ওর ঘর গোছানোর প্রতি পরতে চমকিত ও চমৎকৃত হওয়ার মতো কিছু থাকবেই। একচিলতে বারান্দাকে সে বাগানে পরিণত করতে পারে অনায়াসে। তার প্রমাণ তো সে দিয়েছে গত কয়েক বছরে।
প্রিয়জনদের প্রতি, বন্ধুদের প্রতি, সন্তানতুল্য নানান জনের প্রতি শামীমের বড় গহিন মমতা। প্রতিদিনের একটা বড় সময় সে ব্যয় করে ওদের সঙ্গে কথা বলে। সেখানে খোঁজখবর নেওয়া থাকে, উজ্জীবিত করার একটা ভূমিকা থাকে, পথ বাতলানোরও একটা প্রচেষ্টা থাকে। ও বড় নরম মনের মানুষ। তাই একেবারে অচেনা পথ চলতি মানুষের প্রতিও ওর খুব মায়া। তাদের দুঃখ-কষ্টও শামীমকে বড় বিচলিত করে। আমার সব সময় মনে হয়, শামীমের মধ্যে অনন্যসাধারণ একটি সরলতা আর খাঁটিত্ব আছে, যা বড় বিরল। ওর কথায় আমার সব সময় মনে হয়েছে,
‘মানুষের ছাপে,
শামীমের মাপে,
আমরা সবাই খর্বকায়।’
ঘর থেকে আবার বাইরে আসি। বাইরের শামীমকে এবার ঘরে চিহ্নিত করি ‘ঘরে-বাইরের’ শামীম হিসেবে। ‘ঘরে-বাইরের’ সন্দ্বীপের মতো শামীমও সমাজ বদলে দিতে এক নিবেদিতপ্রাণ। কত কি না সে করেছে জগৎ ও জীবনের জন্য! ‘লন্ডন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’ স্থাপন করেছে, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কবিতা কেন্দ্র শুরু করেছে। স্বপ্নদ্রষ্টা সে ‘বিজয়ফুলের’, যে বিজয়ফুল আজ ছড়িয়ে গেছে বিশ্বময়। জড়িয়ে আছে সে নানান সংগঠনে, সম্পৃক্ত সে নানান প্রচেষ্টায়, যুক্ত সে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে। মানুষের হিত, জগতের মঙ্গল ও জীবনের আনন্দ—সেটাই ওর চাওয়া।
শেষের কথা বলি। ঘরে-বাইরের শামীম আজাদ পেরিয়ে এক শামীম আজাদ আছে যে আমার পরম প্রিয়জন। আসলে শামীমের জন্মদিন একটি দিনে সীমাবদ্ধ নয়। বছরের প্রতিটি দিনই ওর জন্মদিন, কারণ প্রতিটি দিনই ও নতুন করে আত্মপ্রকাশ করে জীবনে, সৃষ্টিতে ও আনন্দে। সেই সঙ্গে ও আমাকেও নতুন করে দেয়। প্রতিবছর এই দিনটি আনন্দ নিয়ে আসে আমাদের দুজনের জন্যই। শামীমের জন্মদিনে ওর জন্য অতল শুভেচ্ছা।
সেলিম জাহান, অর্থনীতিবিদ
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
২ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
২ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
২ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
২ ঘণ্টা আগে