অর্ণব সান্যাল
প্রশ্নটি উঠেছে একজনের মনে, আরেকজনের কথায়। যাঁর কথায় উঠেছে, তিনি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। আপাতত ‘সুশীল’ মনে ‘কুশীল’ এই প্রশ্ন জাগ্রত হলেও যিনি ‘উসকানি’ দিয়েছেন, তিনি অবশ্য এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। এমন সিদ্ধান্ত বা প্রশ্ন কেন মনে জাগছে, তার কারণ অনুসন্ধান করা যাক এবার।
ঘটনার পূর্বাপর একটু জেনে নেওয়া যাক। ঈদের আগে থেকেই বাজার থেকে সয়াবিন তেল নামক বস্তুটি উধাও হয়ে যায়। তেল কেনার দরকার ছিল বলে এই অধমেরও তেল নিয়ে বাজারের তেলেসমাতি দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিল। আশপাশের কোনো দোকানে পাওয়া যায়নি তেলের ডিব্বা। এক দোকানি তো বলে দিলেন, ‘তেল নাই, ঈদের আগে অনেকরে ২০০-৩০০ টাকা দিয়াও এক লিটার তেল কিনা লাগতেসে। অবস্থা খারাপ ভাই। আর বাঙালিরও সমস্যা, আগে কিনতে পারল না?’
এই আগে কেনার অবস্থা দেশে তখনই সৃষ্টি হয়, যখন চূড়ান্ত ‘অরাজক’ বা ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই যেমন ধরুন, যুদ্ধবিগ্রহ, দুর্ভিক্ষ, মহামারি ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার এ দেশে এবার মে দিবসের পরপরই ঈদ উদ্যাপিত হয়েছে। দেশের আমশ্রমিক সম্প্রদায় মে দিবসের স্লোগান মাথায় নিয়েও নিশ্চয়ই অকুণ্ঠচিত্তে নিজেদের সব সময় সময়মতো বেতন-ভাতা পাওয়ার ‘আকাশকুসুম’ দাবি করতে পারবেন না। শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে মজুরি দেওয়ার গালভরা বুলি প্রচলিত থাকলেও মালিকপক্ষের অনেকেই যে আপামর শ্রমিকদের গত এপ্রিলের মজুরি পরিশোধ না করেই শান্তিতে এসির ঠান্ডা ঘরে বসে আছেন, সেটি একটি জরিপ করলেই বোঝা যাবে। কারণ এ দেশে ‘মালিকপক্ষের’ চিরাচরিত ঐতিহ্য এটিই। এবং শিগ্গির এর পরিবর্তনের ইঙ্গিতও তেমন নেই। তো এমন অবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশির ভাগ কর্মজীবী শেষ সময়ে পাওয়া টাকাতেই তেল কিনতে যাবেন। কারণ আগে বেশি করে কিনে জমিয়ে বা মজুত করে রাখার বাস্তবতা তাদের নেই।
বিষয় হলো, দেশে যুদ্ধবিগ্রহ এখনো লাগেনি। দুর্ভিক্ষ আছে এটা বলা যাবে না। ওদিকে আবার মহামারিসংক্রান্ত নাজুক পরিস্থিতিও বর্তমানে ‘যাই যাই’ অবস্থায় বিরাজমান। এরূপ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কি আর সঞ্চয় ভেঙে খাদ্যদ্রব্য আগেভাগে বেশি বেশি করে কিনে রাখবে? ঈদের আগ দিয়ে হাজারো খরচের ভিড়ে এমনটা করতে চাইবে না, সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু ঈদের আগে ও পরে ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই পড়তে হলো সাধারণের।
দেশের বাজারে গত শুক্রবার থেকে ভোজ্যতেল সয়াবিন আর পাম তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৪৪ আর ৩৬ টাকা বাড়ানো হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার থেকেই বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯৮ টাকা আর পাম অয়েল ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ রান্না করে পেটে কিছু দেওয়ার ক্ষেত্রে আবশ্যিক এই পণ্য এর আগে কখনো এত দাম দিয়ে কেনেনি।
এমন অবস্থায় ‘বজ্রাহত’ হওয়ার মতো একটি পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে। সংবাদমাধ্যমগুলো এ নিয়ে লাগাতার প্রতিবেদনও দিচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভও উঠে আসছে। আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক খুঁজে পেয়েছিলেন আব্বাস আলীকে। খিলগাঁও বাজারে তেল খুঁজছিলেন তিনি। কোথাও তেল নেই জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘১৮০ টাকা দিয়ে এক কেজি পাম ওয়েল কিনেছি। কোথাও সয়াবিন পেলাম না। কয়েকটা দোকানে ঘুরলাম। অনেক দোকানে ৫ লিটারের তেল আছে, কিন্তু ওইটার সঙ্গে নুড্লস, সেমাই বা দুধের প্যাকেট কিনতে হয়। সেগুলোর দামও ৩০০-৪০০ টাকা। সেগুলো ছাড়া শুধু তেল বেচবে না। আমরা তো একেবারেই জিম্মি হয়ে গেলাম।’
নিজেকে ‘জিম্মি’ হিসেবে মনে করার বাস্তবতা বুঝতে পারছেন তো? আপনি একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে অনেক ঘোরাঘুরি করলেন, পেলেনই না। কিছুদিন পর শুনলেন যে কিনতে পারবেন, তবে টাকা গুনতে হবে ঢের বেশি। এখন আপনি বেশি দাম দিয়েই জিনিসটি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি তার সঙ্গে হাবিজাবিও কিনতে হচ্ছে আপনাকে প্রয়োজন না থাকলেও। অনেকটা ছিনতাইকারীর পেটে ছুরি ধরে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার মতো নয় কি বিষয়টা? পেটে ছুরি ধরলে যেমন আপনি চরম অসহায় বোধ করে সর্বস্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন, ঠিক তেমনভাবেই এই স্বাধীন দেশে অসহায় হয়ে তেল কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। এখানে স্রেফ ছুরির বদলে অন্য কিছু ধরা হয়েছে, তবে লক্ষ্য ওই পেটই।
অথচ সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, যে সময়ে দেশের বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ল, ঠিক সেই সময়েই বিশ্ববাজারে পণ্য দুটির দাম কমতে শুরু করেছে। এক দিনেই সয়াবিনের দাম ১ দশমিক ১৭ শতাংশ আর পাম অয়েলের দাম ৫ শতাংশের বেশি কমেছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মাত্র ছয়-সাতটি বড় শিল্পগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে পুরো রান্নার তেলের বাজার। তাই বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেও দেশে তার চেয়ে বেশি বাড়ানো হয়। সামনে বাজার আরও অস্থির হওয়ার আশঙ্কাও আছে।
এর পাশাপাশি কোনো কোনো ব্যবসায়ীর হাজার হাজার লিটার তেল মজুত করার খবরও আমরা পাচ্ছি। এখন দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালে মনে হবে, বেশি দামে আগের তেল বিক্রির জন্যই বাজার থেকে ‘ভ্যানিশ’ হয়েছিল তেল। আর তেমনটা মনে হলে একসময় নিজেকে ‘জিম্মি’ হওয়া ব্যক্তি হিসেবে আবিষ্কার যদি কেউ করে, তবে কি তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে?
না, দেওয়া যাবে না। অন্তত যারা এই দুর্মূল্যের বাজারে বাজার করতে যান, তাদের তেমনটাই মনে হতে বাধ্য। কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে ‘দুর্মূল্য’ শব্দটি নিয়ে বাহাস করতেই পারে, তবে তাতে তো আর আমার ওয়ালেট ফুলেফেঁপে ওঠে না।
অথচ আমরা, আমমানুষ এই দেশ ও সরকার চালানোর জন্য ওই চুপসে থাকা ওয়ালেট থেকেই নিয়ত টাকার জোগান দিই। সেটি কি তবে জিম্মি হওয়ার জন্যই দিই? ‘ভুক্তভোগী’ শ্রেণিতে নিজেদের তালিকাভুক্ত করার জন্যই দিই? প্রতারিত বোধ করার জন্যই দিই?
যদি তাই হয়, তবে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে দেওয়া বরং ভালো। ওতে নিজেদের দুর্ভাগ্যকে মেনে নেওয়ার একটা শক্ত ও অসহায় যুক্তি পাওয়া যায়। এতটুকু মানসিক ‘শান্তি’ কি আমরা পেতে পারি না, মাননীয়রা?
লেখক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
প্রশ্নটি উঠেছে একজনের মনে, আরেকজনের কথায়। যাঁর কথায় উঠেছে, তিনি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। আপাতত ‘সুশীল’ মনে ‘কুশীল’ এই প্রশ্ন জাগ্রত হলেও যিনি ‘উসকানি’ দিয়েছেন, তিনি অবশ্য এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। এমন সিদ্ধান্ত বা প্রশ্ন কেন মনে জাগছে, তার কারণ অনুসন্ধান করা যাক এবার।
ঘটনার পূর্বাপর একটু জেনে নেওয়া যাক। ঈদের আগে থেকেই বাজার থেকে সয়াবিন তেল নামক বস্তুটি উধাও হয়ে যায়। তেল কেনার দরকার ছিল বলে এই অধমেরও তেল নিয়ে বাজারের তেলেসমাতি দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিল। আশপাশের কোনো দোকানে পাওয়া যায়নি তেলের ডিব্বা। এক দোকানি তো বলে দিলেন, ‘তেল নাই, ঈদের আগে অনেকরে ২০০-৩০০ টাকা দিয়াও এক লিটার তেল কিনা লাগতেসে। অবস্থা খারাপ ভাই। আর বাঙালিরও সমস্যা, আগে কিনতে পারল না?’
এই আগে কেনার অবস্থা দেশে তখনই সৃষ্টি হয়, যখন চূড়ান্ত ‘অরাজক’ বা ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই যেমন ধরুন, যুদ্ধবিগ্রহ, দুর্ভিক্ষ, মহামারি ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার এ দেশে এবার মে দিবসের পরপরই ঈদ উদ্যাপিত হয়েছে। দেশের আমশ্রমিক সম্প্রদায় মে দিবসের স্লোগান মাথায় নিয়েও নিশ্চয়ই অকুণ্ঠচিত্তে নিজেদের সব সময় সময়মতো বেতন-ভাতা পাওয়ার ‘আকাশকুসুম’ দাবি করতে পারবেন না। শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে মজুরি দেওয়ার গালভরা বুলি প্রচলিত থাকলেও মালিকপক্ষের অনেকেই যে আপামর শ্রমিকদের গত এপ্রিলের মজুরি পরিশোধ না করেই শান্তিতে এসির ঠান্ডা ঘরে বসে আছেন, সেটি একটি জরিপ করলেই বোঝা যাবে। কারণ এ দেশে ‘মালিকপক্ষের’ চিরাচরিত ঐতিহ্য এটিই। এবং শিগ্গির এর পরিবর্তনের ইঙ্গিতও তেমন নেই। তো এমন অবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশির ভাগ কর্মজীবী শেষ সময়ে পাওয়া টাকাতেই তেল কিনতে যাবেন। কারণ আগে বেশি করে কিনে জমিয়ে বা মজুত করে রাখার বাস্তবতা তাদের নেই।
বিষয় হলো, দেশে যুদ্ধবিগ্রহ এখনো লাগেনি। দুর্ভিক্ষ আছে এটা বলা যাবে না। ওদিকে আবার মহামারিসংক্রান্ত নাজুক পরিস্থিতিও বর্তমানে ‘যাই যাই’ অবস্থায় বিরাজমান। এরূপ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কি আর সঞ্চয় ভেঙে খাদ্যদ্রব্য আগেভাগে বেশি বেশি করে কিনে রাখবে? ঈদের আগ দিয়ে হাজারো খরচের ভিড়ে এমনটা করতে চাইবে না, সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু ঈদের আগে ও পরে ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই পড়তে হলো সাধারণের।
দেশের বাজারে গত শুক্রবার থেকে ভোজ্যতেল সয়াবিন আর পাম তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৪৪ আর ৩৬ টাকা বাড়ানো হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার থেকেই বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯৮ টাকা আর পাম অয়েল ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ রান্না করে পেটে কিছু দেওয়ার ক্ষেত্রে আবশ্যিক এই পণ্য এর আগে কখনো এত দাম দিয়ে কেনেনি।
এমন অবস্থায় ‘বজ্রাহত’ হওয়ার মতো একটি পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে। সংবাদমাধ্যমগুলো এ নিয়ে লাগাতার প্রতিবেদনও দিচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভও উঠে আসছে। আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক খুঁজে পেয়েছিলেন আব্বাস আলীকে। খিলগাঁও বাজারে তেল খুঁজছিলেন তিনি। কোথাও তেল নেই জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘১৮০ টাকা দিয়ে এক কেজি পাম ওয়েল কিনেছি। কোথাও সয়াবিন পেলাম না। কয়েকটা দোকানে ঘুরলাম। অনেক দোকানে ৫ লিটারের তেল আছে, কিন্তু ওইটার সঙ্গে নুড্লস, সেমাই বা দুধের প্যাকেট কিনতে হয়। সেগুলোর দামও ৩০০-৪০০ টাকা। সেগুলো ছাড়া শুধু তেল বেচবে না। আমরা তো একেবারেই জিম্মি হয়ে গেলাম।’
নিজেকে ‘জিম্মি’ হিসেবে মনে করার বাস্তবতা বুঝতে পারছেন তো? আপনি একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে অনেক ঘোরাঘুরি করলেন, পেলেনই না। কিছুদিন পর শুনলেন যে কিনতে পারবেন, তবে টাকা গুনতে হবে ঢের বেশি। এখন আপনি বেশি দাম দিয়েই জিনিসটি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি তার সঙ্গে হাবিজাবিও কিনতে হচ্ছে আপনাকে প্রয়োজন না থাকলেও। অনেকটা ছিনতাইকারীর পেটে ছুরি ধরে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার মতো নয় কি বিষয়টা? পেটে ছুরি ধরলে যেমন আপনি চরম অসহায় বোধ করে সর্বস্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন, ঠিক তেমনভাবেই এই স্বাধীন দেশে অসহায় হয়ে তেল কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। এখানে স্রেফ ছুরির বদলে অন্য কিছু ধরা হয়েছে, তবে লক্ষ্য ওই পেটই।
অথচ সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, যে সময়ে দেশের বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ল, ঠিক সেই সময়েই বিশ্ববাজারে পণ্য দুটির দাম কমতে শুরু করেছে। এক দিনেই সয়াবিনের দাম ১ দশমিক ১৭ শতাংশ আর পাম অয়েলের দাম ৫ শতাংশের বেশি কমেছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মাত্র ছয়-সাতটি বড় শিল্পগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে পুরো রান্নার তেলের বাজার। তাই বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেও দেশে তার চেয়ে বেশি বাড়ানো হয়। সামনে বাজার আরও অস্থির হওয়ার আশঙ্কাও আছে।
এর পাশাপাশি কোনো কোনো ব্যবসায়ীর হাজার হাজার লিটার তেল মজুত করার খবরও আমরা পাচ্ছি। এখন দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালে মনে হবে, বেশি দামে আগের তেল বিক্রির জন্যই বাজার থেকে ‘ভ্যানিশ’ হয়েছিল তেল। আর তেমনটা মনে হলে একসময় নিজেকে ‘জিম্মি’ হওয়া ব্যক্তি হিসেবে আবিষ্কার যদি কেউ করে, তবে কি তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে?
না, দেওয়া যাবে না। অন্তত যারা এই দুর্মূল্যের বাজারে বাজার করতে যান, তাদের তেমনটাই মনে হতে বাধ্য। কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে ‘দুর্মূল্য’ শব্দটি নিয়ে বাহাস করতেই পারে, তবে তাতে তো আর আমার ওয়ালেট ফুলেফেঁপে ওঠে না।
অথচ আমরা, আমমানুষ এই দেশ ও সরকার চালানোর জন্য ওই চুপসে থাকা ওয়ালেট থেকেই নিয়ত টাকার জোগান দিই। সেটি কি তবে জিম্মি হওয়ার জন্যই দিই? ‘ভুক্তভোগী’ শ্রেণিতে নিজেদের তালিকাভুক্ত করার জন্যই দিই? প্রতারিত বোধ করার জন্যই দিই?
যদি তাই হয়, তবে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে দেওয়া বরং ভালো। ওতে নিজেদের দুর্ভাগ্যকে মেনে নেওয়ার একটা শক্ত ও অসহায় যুক্তি পাওয়া যায়। এতটুকু মানসিক ‘শান্তি’ কি আমরা পেতে পারি না, মাননীয়রা?
লেখক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
২০ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
২০ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
২০ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
২০ ঘণ্টা আগে