অজয় দাশগুপ্ত
নাটক নিয়ে রাজনীতি এখন তুঙ্গে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ডিম মারা এসবও চলছে সমানে। শিল্পকলায় যখন সৈয়দ জামিল আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, আমি তা সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। সে কারণে অনেকে বাঁকা চোখে তাকাতেও কসুর করেননি। তাঁদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছিলেন, ‘এভাবেই কি সবকিছু মেনে নেব আমরা? ভালো বলে ছাড় দিয়ে যাব?’ আমি কোনো রা করিনি। কারণ, সৈয়দ জামিলের ওপর আস্থা রাখতে চেয়েছি।
২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ছিল দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী। প্রদর্শনী শুরুর আগেই দলটির সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুর বিষয়ে শিল্পকলার সামনে বিক্ষোভ করেন কিছু লোক। একাডেমির মহাপরিচালক গিয়ে তাঁদের শান্ত করলে প্রদর্শনী শুরু হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা নাট্যশালার গেটের সামনে জড়ো হয়ে আবারও বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে মহাপরিচালক দেশ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রদর্শনী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন নাট্যজনেরা, জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।
সৈয়দ জামিল বলেছেন, ‘একটি পোস্টের ওপর বিবেচনা করে আমরা নাটক বন্ধ করব, এমন সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা চাই, সবাই এখানে নাটক করুক। আমি বাবুকে বলেছি, আপনি যে কাজটা করেছেন, এটা খুব নিচু রুচিসম্পন্ন একটি কাজ। এ রকম কাজ না করে যদি বুকের পাটা থাকে তাহলে আপনি একটা নাটক করে যুক্তি দিয়ে দেখান, এই সরকারের ব্যর্থতা কোথায়। আমার মনে হয়েছে, সেনাবাহিনী এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিল। আমি তাদের জড়াতে চাইনি। এগুলো এ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দরকার নাই। আমি খুব দায়িত্ব নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, এটা পুলিশ, সেনাবাহিনীর জায়গা না। এটা শিল্পকলা একাডেমির জায়গা। আমি এটা করেছি এ কারণে যে বৃহৎ যুদ্ধে জিতব বলে, আপনারা শুধু সঙ্গে থাকেন।’
দেশ নাটকের নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা বলেছেন, ‘শনিবার শিল্পকলায় যেটা হয়ে গেল, এটা দুঃখজনক ও তীব্রভাবে নিন্দনীয়। দেশ নাটক সেই নাটকগুলোই করে, যেগুলো দেশ ও সমাজের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে। নিত্যপুরাণ নতুন কোনো নাটক নয়। এদিন নাটকের ১২৭তম প্রদর্শনী হচ্ছিল। এর আগে ২৪ অক্টোবর মহিলা সমিতিতে একটি নাটকের শো আমরা নিশ্চিন্তে করেছি। সেখানে কোনো সমস্যা হলো না। নিত্যপুরাণের জন্য পাঁচ দিন শিল্পকলায় রিহার্সেল করলাম, তখন কোনো সমস্যা হলো না। কিন্তু প্রদর্শনীর দিন সমস্যাটা কেন হলো? যে মানুষগুলো এই কাজ করলেন, তাঁদের আমরা চিনি না। এই অপরিচিত মানুষগুলো কীভাবে একজন নন-সেলিব্রিটি বাবুর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আন্দোলনে এলেন? এই মুহূর্তে কোনো কিছুই অনুমান করতে চাইছি না। কারণ, আমি জানি কোনো এক সময় পুরো বিষয়টি সবাই জানতে পারবেন। এমন ঘটনার পরে সবাই দেশ নাটকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমার বিশ্বাস, থিয়েটারের পাশে মানুষ আছে। থিয়েটার কখনো বন্ধ হবে না এবং থিয়েটার হেরে যায়, এমন কোনো কাজ দেশ নাটক করবে না।’
এসব কথাবার্তা চলতে থাকবে। মানুষ তাদের কথা বলবে। হয়তো নানা কারণে বলবেও না। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। নাটক বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিবেশ-পরিস্থিতি কি স্বাভাবিক কিছু? আমরা রাজনীতির কথায় যাব না। সে তার নিয়মে চলবে। আমাদের মূল কথা নাটক বা শিল্প নিয়ে। এখন যাঁরা বলার কথা, ভাবার কথা, লেখার কথা তাঁরা কেউই তা করতে পারছেন না। এটা তাঁদের অপারগতা? মোটেই না। বিশেষ পরিস্থিতিতে তাঁরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। গুটিয়ে রেখেছেন। এমন কি কথা ছিল?
যাঁকে বা যাঁদের তাড়ানো হয়েছে, তাঁদের সবাইকে তো এই এক কারণে যেতে হয়েছে। সবকিছু দখল করার বাসনা ছিল বলে মানুষ তাঁদের তাড়িয়েছে। মানুষ চায় সুখ আর শান্তি। বিপ্লব হোক আর গণজাগরণ হোক বা না হোক, সবকিছুর মূলে একটাই কথা—শান্তি ও আনন্দ। একবার ভাবুন তো আনন্দ আজ কোথায়? কেন মানুষ আনন্দে থাকতে পারছে না? স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি এমন কাণ্ড ঘটেনি। যে দেশ, যে সমাজ আর জীবন গানবাজনা, নাটক-সিনেমা আর শিল্পে মগ্ন, তার কাছ থেকে তা কেড়ে নিলে কি মানুষ মেনে নেবে?
আমরা যুক্তি আর মননের স্বাধীনতার কথা বলছি। দুনিয়ায় যে দুটি বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল, তারপর সেসব দেশের মানুষেরা শান্তিতে থাকছে। যুদ্ধের ঘটনা বা ইতিহাস মনে রেখে তার থেকে পাঠ গ্রহণ করে সুন্দর জীবন বেছে নিয়েছে, তাই তারা সভ্য। আমাদের দেশে আমরা কি তা মানব না? একটি নাটক বন্ধ করা কোনো ঘটনা না, ঘটনা হলো এর রেশ।
যে জাতি সংগীত, শিল্প, নাটক, কবিতা বা তেমন কিছু মানে না, মানতে চায় না, তার কপাল ভালো হতে পারে না। বাংলাদেশের জন্ম দেখেছি আমি। সেই কাল থেকে আজ পর্যন্ত শিল্প আমাদের চালিকা। কদিন আগেও ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গেয়ে রাজপথ কাঁপানোরা কি তা ভুলে গেছে? আর যাঁরা বিতাড়িত, তাঁদের শক্তিও কিন্তু নষ্ট হয়েছে অসুরিক কারণে। সুর আর অসুরের এটাই ফারাক।
আমরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। দেশে-বিদেশে যে যেখানে থাকি, আমাদের ধ্যান-জ্ঞানে দেশ আর সংস্কৃতি থাকে। কারণ ওটাই আমাদের সম্বল। আজ নাটক বন্ধ, কাল সিনেমা বন্ধ, পরশু গান বন্ধ—এমন হতে থাকলে অন্তঃসারশূন্য এক সমাজ তৈরি হতে বাধ্য। এই প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে জয়ী করলেও আখেরে বিপদ টেনে আনবে। শিল্পকলা—এই নামের সঙ্গেই তো শিল্প আর ললিতকলা জড়িয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন অসহায়ত্ব বা কোন জবরদস্তিতে নাটক বন্ধ করতে হলো? তার ব্যাখ্যা পাব না জানি। কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে, জাতি ও মানুষের স্বার্থে। সেটা না হলে নাটক বন্ধ হওয়ার বিষয়টি একসময় আত্মঘাতী হয়ে উঠবে। আমার ধারণা, অল্প কিছু মানুষের জন্য বা তাদের ভয়ে এমনটা ঘটেছে। এই অল্প মানুষ কেন জয়ী হবে? যদি সব শুভবুদ্ধির মানুষ একসঙ্গে থাকে, তাহলে তারা জয়ী হবে।
শিল্পকলায় নাটক হোক। নাটকের জয়যাত্রা চলুক। তাতেই দেশ ও জাতির মঙ্গল।
লেখক: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
নাটক নিয়ে রাজনীতি এখন তুঙ্গে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ডিম মারা এসবও চলছে সমানে। শিল্পকলায় যখন সৈয়দ জামিল আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, আমি তা সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। সে কারণে অনেকে বাঁকা চোখে তাকাতেও কসুর করেননি। তাঁদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছিলেন, ‘এভাবেই কি সবকিছু মেনে নেব আমরা? ভালো বলে ছাড় দিয়ে যাব?’ আমি কোনো রা করিনি। কারণ, সৈয়দ জামিলের ওপর আস্থা রাখতে চেয়েছি।
২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ছিল দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী। প্রদর্শনী শুরুর আগেই দলটির সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুর বিষয়ে শিল্পকলার সামনে বিক্ষোভ করেন কিছু লোক। একাডেমির মহাপরিচালক গিয়ে তাঁদের শান্ত করলে প্রদর্শনী শুরু হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা নাট্যশালার গেটের সামনে জড়ো হয়ে আবারও বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে মহাপরিচালক দেশ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রদর্শনী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন নাট্যজনেরা, জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।
সৈয়দ জামিল বলেছেন, ‘একটি পোস্টের ওপর বিবেচনা করে আমরা নাটক বন্ধ করব, এমন সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা চাই, সবাই এখানে নাটক করুক। আমি বাবুকে বলেছি, আপনি যে কাজটা করেছেন, এটা খুব নিচু রুচিসম্পন্ন একটি কাজ। এ রকম কাজ না করে যদি বুকের পাটা থাকে তাহলে আপনি একটা নাটক করে যুক্তি দিয়ে দেখান, এই সরকারের ব্যর্থতা কোথায়। আমার মনে হয়েছে, সেনাবাহিনী এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিল। আমি তাদের জড়াতে চাইনি। এগুলো এ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দরকার নাই। আমি খুব দায়িত্ব নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, এটা পুলিশ, সেনাবাহিনীর জায়গা না। এটা শিল্পকলা একাডেমির জায়গা। আমি এটা করেছি এ কারণে যে বৃহৎ যুদ্ধে জিতব বলে, আপনারা শুধু সঙ্গে থাকেন।’
দেশ নাটকের নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা বলেছেন, ‘শনিবার শিল্পকলায় যেটা হয়ে গেল, এটা দুঃখজনক ও তীব্রভাবে নিন্দনীয়। দেশ নাটক সেই নাটকগুলোই করে, যেগুলো দেশ ও সমাজের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে। নিত্যপুরাণ নতুন কোনো নাটক নয়। এদিন নাটকের ১২৭তম প্রদর্শনী হচ্ছিল। এর আগে ২৪ অক্টোবর মহিলা সমিতিতে একটি নাটকের শো আমরা নিশ্চিন্তে করেছি। সেখানে কোনো সমস্যা হলো না। নিত্যপুরাণের জন্য পাঁচ দিন শিল্পকলায় রিহার্সেল করলাম, তখন কোনো সমস্যা হলো না। কিন্তু প্রদর্শনীর দিন সমস্যাটা কেন হলো? যে মানুষগুলো এই কাজ করলেন, তাঁদের আমরা চিনি না। এই অপরিচিত মানুষগুলো কীভাবে একজন নন-সেলিব্রিটি বাবুর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আন্দোলনে এলেন? এই মুহূর্তে কোনো কিছুই অনুমান করতে চাইছি না। কারণ, আমি জানি কোনো এক সময় পুরো বিষয়টি সবাই জানতে পারবেন। এমন ঘটনার পরে সবাই দেশ নাটকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমার বিশ্বাস, থিয়েটারের পাশে মানুষ আছে। থিয়েটার কখনো বন্ধ হবে না এবং থিয়েটার হেরে যায়, এমন কোনো কাজ দেশ নাটক করবে না।’
এসব কথাবার্তা চলতে থাকবে। মানুষ তাদের কথা বলবে। হয়তো নানা কারণে বলবেও না। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। নাটক বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিবেশ-পরিস্থিতি কি স্বাভাবিক কিছু? আমরা রাজনীতির কথায় যাব না। সে তার নিয়মে চলবে। আমাদের মূল কথা নাটক বা শিল্প নিয়ে। এখন যাঁরা বলার কথা, ভাবার কথা, লেখার কথা তাঁরা কেউই তা করতে পারছেন না। এটা তাঁদের অপারগতা? মোটেই না। বিশেষ পরিস্থিতিতে তাঁরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। গুটিয়ে রেখেছেন। এমন কি কথা ছিল?
যাঁকে বা যাঁদের তাড়ানো হয়েছে, তাঁদের সবাইকে তো এই এক কারণে যেতে হয়েছে। সবকিছু দখল করার বাসনা ছিল বলে মানুষ তাঁদের তাড়িয়েছে। মানুষ চায় সুখ আর শান্তি। বিপ্লব হোক আর গণজাগরণ হোক বা না হোক, সবকিছুর মূলে একটাই কথা—শান্তি ও আনন্দ। একবার ভাবুন তো আনন্দ আজ কোথায়? কেন মানুষ আনন্দে থাকতে পারছে না? স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি এমন কাণ্ড ঘটেনি। যে দেশ, যে সমাজ আর জীবন গানবাজনা, নাটক-সিনেমা আর শিল্পে মগ্ন, তার কাছ থেকে তা কেড়ে নিলে কি মানুষ মেনে নেবে?
আমরা যুক্তি আর মননের স্বাধীনতার কথা বলছি। দুনিয়ায় যে দুটি বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল, তারপর সেসব দেশের মানুষেরা শান্তিতে থাকছে। যুদ্ধের ঘটনা বা ইতিহাস মনে রেখে তার থেকে পাঠ গ্রহণ করে সুন্দর জীবন বেছে নিয়েছে, তাই তারা সভ্য। আমাদের দেশে আমরা কি তা মানব না? একটি নাটক বন্ধ করা কোনো ঘটনা না, ঘটনা হলো এর রেশ।
যে জাতি সংগীত, শিল্প, নাটক, কবিতা বা তেমন কিছু মানে না, মানতে চায় না, তার কপাল ভালো হতে পারে না। বাংলাদেশের জন্ম দেখেছি আমি। সেই কাল থেকে আজ পর্যন্ত শিল্প আমাদের চালিকা। কদিন আগেও ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গেয়ে রাজপথ কাঁপানোরা কি তা ভুলে গেছে? আর যাঁরা বিতাড়িত, তাঁদের শক্তিও কিন্তু নষ্ট হয়েছে অসুরিক কারণে। সুর আর অসুরের এটাই ফারাক।
আমরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। দেশে-বিদেশে যে যেখানে থাকি, আমাদের ধ্যান-জ্ঞানে দেশ আর সংস্কৃতি থাকে। কারণ ওটাই আমাদের সম্বল। আজ নাটক বন্ধ, কাল সিনেমা বন্ধ, পরশু গান বন্ধ—এমন হতে থাকলে অন্তঃসারশূন্য এক সমাজ তৈরি হতে বাধ্য। এই প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে জয়ী করলেও আখেরে বিপদ টেনে আনবে। শিল্পকলা—এই নামের সঙ্গেই তো শিল্প আর ললিতকলা জড়িয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন অসহায়ত্ব বা কোন জবরদস্তিতে নাটক বন্ধ করতে হলো? তার ব্যাখ্যা পাব না জানি। কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে, জাতি ও মানুষের স্বার্থে। সেটা না হলে নাটক বন্ধ হওয়ার বিষয়টি একসময় আত্মঘাতী হয়ে উঠবে। আমার ধারণা, অল্প কিছু মানুষের জন্য বা তাদের ভয়ে এমনটা ঘটেছে। এই অল্প মানুষ কেন জয়ী হবে? যদি সব শুভবুদ্ধির মানুষ একসঙ্গে থাকে, তাহলে তারা জয়ী হবে।
শিল্পকলায় নাটক হোক। নাটকের জয়যাত্রা চলুক। তাতেই দেশ ও জাতির মঙ্গল।
লেখক: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
২ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
২ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
৩ ঘণ্টা আগে