ফজলুল কবির
বাঙালি ফুটবল অন্তঃপ্রাণ। এ বেশ ভালো বিষয়। ফুটবল আরও চমৎকার। আর বাঙালির ফুটবল নিয়ে পাগলামির প্রসঙ্গ এলে তা রীতিমতো তাক লাগানো ব্যাপার হয়ে ওঠে। এবারই যেমন সুদূর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনাল নিয়ে দেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে বেশ কিছু তাক লাগানো খবর এল। এতটাই তাক লাগাল যে, ফুটবল পাগলামি দিয়ে বাংলাদেশের নাম বিশ্ব গণমাধ্যমে স্থানও করে নিল। গতকাল বাংলাদেশ সময় সকালেই ওই ফাইনাল খেলার মীমাংসাটি হয়ে গেছে। আর রাতে হয়ে গেল আরেক উন্মাদনা ইউরোর ফাইনালও। এমনকি টেস্ট জয় দিয়ে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহকে বিদায়ও জানানো হলো। সব কেমন ছক গুনেই হয়ে গেল। সকল খেলা সাঙ্গ হলো। এবার? এবার তো একটু অস্বস্ত হোন, একটু কাঁদুন এখনো শনাক্ত করতে না পারা পোড়া মরদেহগুলো নিয়ে। একটু ক্ষুব্ধ তো হোন রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে।
এতগুলো মানুষের মৃত্যুকে এত সহজেই ভুলে যাওয়া যায়? প্রশ্নটি নিয়ে ভ্রু না কুঁচকে একবার নিজের দিকে তাকান। দেখবেন, কী দারুণ ভুলে গিয়েছিলেন। এ কোনো দোষ নয়। উদ্যাপন উপলক্ষহীন একটি জাতি হঠাৎ আসা আনন্দের ঢেউয়ে ভেসে যাবে—এটা স্বাভাবিক। এতে কোনো অন্যায়ও নেই। মানুষের জীবনে শোকই শুধু সত্য নয়; সেখানে আনন্দও থাকবে। কিন্তু চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এত বড় অন্যায় নিয়ে এত দ্রুত চুপ হয়ে যাওয়াটা দৃষ্টিকটু নয় কি?
এই শেষ প্রশ্নটির চেয়েও এই পরিস্থিতি আরও বড় একটি প্রশ্ন উত্থাপন করছে। আর তা হলো—আমাদের সংবেদনশীলতা কি কমে গেছে ভীষণ রকম? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে তো তা ভয়াবহ চিন্তার কারণ। না, একেবারেই হিংসুটে ভাববেন না। দূর দেশের অর্জন নিয়ে, প্রিয় খেলোয়াড়ের আনন্দাশ্রু দেখে, যেকোনো সমর্থকের মুখই উজ্জ্বল হতে পারে, চোখের কোণে আসতে পারে জলও। কিন্তু একটু খচখচ কি করবে না। যখন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কারখানার আগুনে পুড়ে যাওয়া সবগুলো মরদেহ শনাক্ত হলো না, যখন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে, আর তাদের স্বজনদের কান্নার দৃশ্য বারবার না চাইতেও চোখের সামনে চলে আসছে, তখন একটু তো খচখচ করা উচিত মনের একেবারে গভীরে।
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট বা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গত দুদিনে আসা খবরগুলো বলছে, খচখচ করছে না। প্রবল আনন্দে ভেসে যাওয়া যাচ্ছে। রূপগঞ্জ নয়, ব্রাজিলের পরাজয়ের দুঃখে কেঁদে বুক ভাসানো যাচ্ছে। খেলার মাঠের ফাউল নিয়ে একের পর এক জমাট তর্ক নিয়ে জমে উঠছে এখনো চারপাশ। অথচ রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান যে ফাউল করলেন, প্রতিষ্ঠান কারখানা ভবন নির্মাণে অনিয়ম করে যে ফাউল করল, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর থেকে কারখানার অনুমোদন পেতে যে ফাউল হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠল—এই সব নিয়ে একটি টু শব্দ নেই। না একটু ভুল হলো। কেউ কেউ কথা বলছেন, যারা বলেন বরাবর। কিন্তু সেই সম্মিলিত কণ্ঠটি কোথায়, যে আর্জেন্টিনার জন্য, ব্রাজিলের জন্য, মেসি কিংবা নেইমারের জন্য জোটবদ্ধ হয়ে তর্ক করছে।
বাঙালি আবেগপ্রবণ জাতি। কিন্তু দেশের ভেতরে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া ৫২ জন মানুষের আগুনে পুড়ে যাওয়া নিয়ে সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ কই? কই সেই সুনিশ্চিত প্রশ্ন—যা নিশ্চিতভাবে কাঁপিয়ে দেওয়ার কথা কারখানা মালিক থেকে শুরু করে এর সঙ্গে যুক্ত তাবৎ অংশীজনদের। তাজরীন ফ্যাশনস ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশের পোশাক শিল্প কারখানাগুলো নিরাপদ করে গড়ে তোলার বিষয়ে চাপ আসে। বিদেশ থেকে আসা সে চাপে বেশ কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর বারবার পরিদর্শন করেছে। তাদের প্রতিবেদন মেনে বহু প্রতিষ্ঠান নিজ মালিকানাধীন কারখানাগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। অথচ ঠিক একই সময়ে অবহেলিত থেকে গেছে অন্য কারখানাগুলো। অথচ সেগুলোতেও মানুষই কাজ করে।
রূপগঞ্জের যে কারখানায় আগুনে ৫২ জন মানুষ পুড়ে মরলেন, সেখানে বহু শিশু কাজ করত। কত বয়সের? স্থানীয়রা বলছেন, ১২ বছরের শিশুরাও কাজ করত সেখানে। অথচ দেশে শ্রম আইন অনুযায়ী এমনটি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বাস্তব হলো হয়েছে এবং হচ্ছে। এমন রূপগঞ্জ আমাদের চারপাশে। সেখানে শিশুসহ নানা বয়সী শ্রমিকেরা প্রতিদিন যায়। আর ভবন ধসে বা অগ্নিকাণ্ডে ক’দিন পরপরই মরে; হয় নিখোঁজ। আর বাংলাদেশে শিল্প দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া মানে তো বেমালুম হারিয়ে যাওয়া। যে নিখোঁজ হলো, তার কোনো নামই আর থাকে না, থাকে না কোনো হিসেব। শুধু কিছু আপনজন থাকে; যারা অনন্তকাল ধরে পথ চেয়ে থাকে।
এই অর্ধশতাধিক মৃত্যু ও নিখোঁজদের সামনে রেখে বেশ তো হলো খেলা। এবার তো শেষ। এমনকি খোলা মাঠও নেই যে, তার পুনর্মঞ্চায়ন হবে। তাই এবার অন্তত একটু বসুন, একটু ভাবুন, এই দেশে শিল্প দুর্ঘটনার নিখোঁজেরা যায় কই? কোন নথির ভাঁজে তারা শেষ নিশ্বাসটি ফেলে? ভাবতে ভাবতে যদি মাথায় জট লেগে যায়, তাহলে যাদের হিসাব মিলল, যাদের নাম প্রতিষ্ঠান ও সরকারি নথিতে উঠল, তাদের জন্য অন্তত শোক করুন। ক্ষোভে জ্বলে উঠতে না পারেন, কিছুটা শোক অন্তত তাদের প্রাপ্য।
ফজলুল কবির: লেখক ও সাংবাদিক
ই–মেইল: [email protected]
বাঙালি ফুটবল অন্তঃপ্রাণ। এ বেশ ভালো বিষয়। ফুটবল আরও চমৎকার। আর বাঙালির ফুটবল নিয়ে পাগলামির প্রসঙ্গ এলে তা রীতিমতো তাক লাগানো ব্যাপার হয়ে ওঠে। এবারই যেমন সুদূর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনাল নিয়ে দেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে বেশ কিছু তাক লাগানো খবর এল। এতটাই তাক লাগাল যে, ফুটবল পাগলামি দিয়ে বাংলাদেশের নাম বিশ্ব গণমাধ্যমে স্থানও করে নিল। গতকাল বাংলাদেশ সময় সকালেই ওই ফাইনাল খেলার মীমাংসাটি হয়ে গেছে। আর রাতে হয়ে গেল আরেক উন্মাদনা ইউরোর ফাইনালও। এমনকি টেস্ট জয় দিয়ে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহকে বিদায়ও জানানো হলো। সব কেমন ছক গুনেই হয়ে গেল। সকল খেলা সাঙ্গ হলো। এবার? এবার তো একটু অস্বস্ত হোন, একটু কাঁদুন এখনো শনাক্ত করতে না পারা পোড়া মরদেহগুলো নিয়ে। একটু ক্ষুব্ধ তো হোন রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে।
এতগুলো মানুষের মৃত্যুকে এত সহজেই ভুলে যাওয়া যায়? প্রশ্নটি নিয়ে ভ্রু না কুঁচকে একবার নিজের দিকে তাকান। দেখবেন, কী দারুণ ভুলে গিয়েছিলেন। এ কোনো দোষ নয়। উদ্যাপন উপলক্ষহীন একটি জাতি হঠাৎ আসা আনন্দের ঢেউয়ে ভেসে যাবে—এটা স্বাভাবিক। এতে কোনো অন্যায়ও নেই। মানুষের জীবনে শোকই শুধু সত্য নয়; সেখানে আনন্দও থাকবে। কিন্তু চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এত বড় অন্যায় নিয়ে এত দ্রুত চুপ হয়ে যাওয়াটা দৃষ্টিকটু নয় কি?
এই শেষ প্রশ্নটির চেয়েও এই পরিস্থিতি আরও বড় একটি প্রশ্ন উত্থাপন করছে। আর তা হলো—আমাদের সংবেদনশীলতা কি কমে গেছে ভীষণ রকম? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে তো তা ভয়াবহ চিন্তার কারণ। না, একেবারেই হিংসুটে ভাববেন না। দূর দেশের অর্জন নিয়ে, প্রিয় খেলোয়াড়ের আনন্দাশ্রু দেখে, যেকোনো সমর্থকের মুখই উজ্জ্বল হতে পারে, চোখের কোণে আসতে পারে জলও। কিন্তু একটু খচখচ কি করবে না। যখন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কারখানার আগুনে পুড়ে যাওয়া সবগুলো মরদেহ শনাক্ত হলো না, যখন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে, আর তাদের স্বজনদের কান্নার দৃশ্য বারবার না চাইতেও চোখের সামনে চলে আসছে, তখন একটু তো খচখচ করা উচিত মনের একেবারে গভীরে।
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট বা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গত দুদিনে আসা খবরগুলো বলছে, খচখচ করছে না। প্রবল আনন্দে ভেসে যাওয়া যাচ্ছে। রূপগঞ্জ নয়, ব্রাজিলের পরাজয়ের দুঃখে কেঁদে বুক ভাসানো যাচ্ছে। খেলার মাঠের ফাউল নিয়ে একের পর এক জমাট তর্ক নিয়ে জমে উঠছে এখনো চারপাশ। অথচ রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান যে ফাউল করলেন, প্রতিষ্ঠান কারখানা ভবন নির্মাণে অনিয়ম করে যে ফাউল করল, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর থেকে কারখানার অনুমোদন পেতে যে ফাউল হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠল—এই সব নিয়ে একটি টু শব্দ নেই। না একটু ভুল হলো। কেউ কেউ কথা বলছেন, যারা বলেন বরাবর। কিন্তু সেই সম্মিলিত কণ্ঠটি কোথায়, যে আর্জেন্টিনার জন্য, ব্রাজিলের জন্য, মেসি কিংবা নেইমারের জন্য জোটবদ্ধ হয়ে তর্ক করছে।
বাঙালি আবেগপ্রবণ জাতি। কিন্তু দেশের ভেতরে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া ৫২ জন মানুষের আগুনে পুড়ে যাওয়া নিয়ে সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ কই? কই সেই সুনিশ্চিত প্রশ্ন—যা নিশ্চিতভাবে কাঁপিয়ে দেওয়ার কথা কারখানা মালিক থেকে শুরু করে এর সঙ্গে যুক্ত তাবৎ অংশীজনদের। তাজরীন ফ্যাশনস ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশের পোশাক শিল্প কারখানাগুলো নিরাপদ করে গড়ে তোলার বিষয়ে চাপ আসে। বিদেশ থেকে আসা সে চাপে বেশ কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর বারবার পরিদর্শন করেছে। তাদের প্রতিবেদন মেনে বহু প্রতিষ্ঠান নিজ মালিকানাধীন কারখানাগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। অথচ ঠিক একই সময়ে অবহেলিত থেকে গেছে অন্য কারখানাগুলো। অথচ সেগুলোতেও মানুষই কাজ করে।
রূপগঞ্জের যে কারখানায় আগুনে ৫২ জন মানুষ পুড়ে মরলেন, সেখানে বহু শিশু কাজ করত। কত বয়সের? স্থানীয়রা বলছেন, ১২ বছরের শিশুরাও কাজ করত সেখানে। অথচ দেশে শ্রম আইন অনুযায়ী এমনটি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বাস্তব হলো হয়েছে এবং হচ্ছে। এমন রূপগঞ্জ আমাদের চারপাশে। সেখানে শিশুসহ নানা বয়সী শ্রমিকেরা প্রতিদিন যায়। আর ভবন ধসে বা অগ্নিকাণ্ডে ক’দিন পরপরই মরে; হয় নিখোঁজ। আর বাংলাদেশে শিল্প দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া মানে তো বেমালুম হারিয়ে যাওয়া। যে নিখোঁজ হলো, তার কোনো নামই আর থাকে না, থাকে না কোনো হিসেব। শুধু কিছু আপনজন থাকে; যারা অনন্তকাল ধরে পথ চেয়ে থাকে।
এই অর্ধশতাধিক মৃত্যু ও নিখোঁজদের সামনে রেখে বেশ তো হলো খেলা। এবার তো শেষ। এমনকি খোলা মাঠও নেই যে, তার পুনর্মঞ্চায়ন হবে। তাই এবার অন্তত একটু বসুন, একটু ভাবুন, এই দেশে শিল্প দুর্ঘটনার নিখোঁজেরা যায় কই? কোন নথির ভাঁজে তারা শেষ নিশ্বাসটি ফেলে? ভাবতে ভাবতে যদি মাথায় জট লেগে যায়, তাহলে যাদের হিসাব মিলল, যাদের নাম প্রতিষ্ঠান ও সরকারি নথিতে উঠল, তাদের জন্য অন্তত শোক করুন। ক্ষোভে জ্বলে উঠতে না পারেন, কিছুটা শোক অন্তত তাদের প্রাপ্য।
ফজলুল কবির: লেখক ও সাংবাদিক
ই–মেইল: [email protected]
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
২১ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
২১ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
২১ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
২১ ঘণ্টা আগে