সম্পাদকীয়
দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রথম নারী হিসেবে যিনি স্নাতকোত্তর পাস করেছিলেন, তাঁর নাম রমা চৌধুরী। তাঁর পড়াশোনার বিষয় ছিল ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’। জন্মেছিলেন বোয়ালখালী থানার পোপাদিয়া গ্রামে, ১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর। শুধু এটুকুই তাঁর পরিচয় হতে পারত। কিন্তু তিনি এর চেয়েও বেশি কিছু—একাত্তরের বীরাঙ্গনা, শিক্ষক, লেখক।
রমা চৌধুরী ‘একাত্তরের জননী’ বইয়ে বর্ণনা করেছেন, কীভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। সেই বর্ণনা থেকে পাঠক জানতে পারে শুধু রমা নন, একাত্তরের ১৩ মে তাঁদের পাড়ার যুবতী মেয়ে, বউ, গর্ভবতী নারী কেউই বাদ যায়নি হানাদারদের নির্যাতন থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘কত মেয়েকে যে ধর্ষণ করেছে পিশাচগুলো, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।’
তাঁকে নির্যাতনের পর তিনি কোনোরকমে পালিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে লুকিয়েছিলেন। সেখান থেকেই দেখতে পান গানপাউডার দিয়ে তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনারা।
এরপর স্বাধীনতার আগপর্যন্ত আট মাস দিনের বেলায় বনে-জঙ্গলে পালিয়ে বেড়িয়েছেন বৃদ্ধ মা আর তিন সন্তানকে নিয়ে। পুড়ে যাওয়া ভিটায় গিয়ে মাথার ওপর খড়কুটো কিংবা পলিথিন দিয়ে রাতটা কোনোরকমে পার করতেন। চালচুলোহীন অবস্থায় রোগে ভুগে হারাতে হয় দুই সন্তানকে। সেই থেকে খালি পায়ে হাঁটেন তিনি। মাঝে স্বজনদের অনুরোধে অনিয়মিত জুতা পায়ে দিলেও ১৯৯৮ সালে তৃতীয় সন্তানকে সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে আর কখনো জুতা পরেননি।
প্রথমে চাকরিজীবন শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করলেও, পরে লেখালেখিটাকেই ভালোবেসেছিলেন বেশি।
শুরুর দিকে একটি পাক্ষিক পত্রিকায় লিখতেন। সম্মানী নিতেন না। তবে সেই পত্রিকার ৫০ কপি নিতেন। সেগুলো বিক্রি করে কোনোমতে চালাতেন সংসার। এরপর বই লিখতে শুরু করেন। চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, খালি পায়ে গুটি গুটি হেঁটে সেই বই বিক্রি করতেন রমা চৌধুরী।
বিড়ালপ্রেমী এই মানুষটা তাঁর আটটি বই উৎসর্গ করেছিলেন আটটি বিড়ালকে। প্রিয় পোষ্য বিড়ালকে খাওয়াতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পরপারে পাড়ি জমান তিনি।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রথম নারী হিসেবে যিনি স্নাতকোত্তর পাস করেছিলেন, তাঁর নাম রমা চৌধুরী। তাঁর পড়াশোনার বিষয় ছিল ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’। জন্মেছিলেন বোয়ালখালী থানার পোপাদিয়া গ্রামে, ১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর। শুধু এটুকুই তাঁর পরিচয় হতে পারত। কিন্তু তিনি এর চেয়েও বেশি কিছু—একাত্তরের বীরাঙ্গনা, শিক্ষক, লেখক।
রমা চৌধুরী ‘একাত্তরের জননী’ বইয়ে বর্ণনা করেছেন, কীভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। সেই বর্ণনা থেকে পাঠক জানতে পারে শুধু রমা নন, একাত্তরের ১৩ মে তাঁদের পাড়ার যুবতী মেয়ে, বউ, গর্ভবতী নারী কেউই বাদ যায়নি হানাদারদের নির্যাতন থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘কত মেয়েকে যে ধর্ষণ করেছে পিশাচগুলো, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।’
তাঁকে নির্যাতনের পর তিনি কোনোরকমে পালিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে লুকিয়েছিলেন। সেখান থেকেই দেখতে পান গানপাউডার দিয়ে তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনারা।
এরপর স্বাধীনতার আগপর্যন্ত আট মাস দিনের বেলায় বনে-জঙ্গলে পালিয়ে বেড়িয়েছেন বৃদ্ধ মা আর তিন সন্তানকে নিয়ে। পুড়ে যাওয়া ভিটায় গিয়ে মাথার ওপর খড়কুটো কিংবা পলিথিন দিয়ে রাতটা কোনোরকমে পার করতেন। চালচুলোহীন অবস্থায় রোগে ভুগে হারাতে হয় দুই সন্তানকে। সেই থেকে খালি পায়ে হাঁটেন তিনি। মাঝে স্বজনদের অনুরোধে অনিয়মিত জুতা পায়ে দিলেও ১৯৯৮ সালে তৃতীয় সন্তানকে সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে আর কখনো জুতা পরেননি।
প্রথমে চাকরিজীবন শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করলেও, পরে লেখালেখিটাকেই ভালোবেসেছিলেন বেশি।
শুরুর দিকে একটি পাক্ষিক পত্রিকায় লিখতেন। সম্মানী নিতেন না। তবে সেই পত্রিকার ৫০ কপি নিতেন। সেগুলো বিক্রি করে কোনোমতে চালাতেন সংসার। এরপর বই লিখতে শুরু করেন। চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, খালি পায়ে গুটি গুটি হেঁটে সেই বই বিক্রি করতেন রমা চৌধুরী।
বিড়ালপ্রেমী এই মানুষটা তাঁর আটটি বই উৎসর্গ করেছিলেন আটটি বিড়ালকে। প্রিয় পোষ্য বিড়ালকে খাওয়াতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পরপারে পাড়ি জমান তিনি।
পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন ও শূন্য বেকারত্ব’র তত্ত্ব তুলে ধরেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।
৯ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয়, করোনাকালই বোধহয় ভালো ছিল। শাটডাউনে সব বন্ধ, রাস্তায় যানবাহন নেই, মানুষের চলাচল সীমিত, যারাও বাইরে যাচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক পরা। রাস্তার ধারের গাছগুলোতে ধুলার পর্দা পড়ছে না, কলকারখানার চোঙা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না, বায়ুদূষণও কমে এসেছে। এক অদেখা জীবাণুর আতঙ্কে আমাদের কী দুঃসময়ই না কেট
৯ ঘণ্টা আগেতিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন মেজ। মা কুমুদিনী দেবীর গভীর স্নেহে বড় হয়ে উঠলেও মায়ের সঙ্গটুকু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি; সাত বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। ঢাকার ফুটপাত ও রাস্তার একটা অংশ যেভাবে হকাররা দখল করে রাখেন, তাতে চলাচলে অসুবিধা হয় রাজধানীবাসীর। তাই ব্যস্ত সড়ক হকারমুক্ত করতে পারলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী সাধুবাদ পাবে।
১০ ঘণ্টা আগে