সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়েছে। কয়লার উচ্চ দাম নির্ধারণ নিয়েও রয়েছে টানাপোড়েন। এর মধ্যে গতকাল রোববার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ১২টায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে আদানি গ্রুপের ৮০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট। দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসার খবরে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ আদানির শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর আগে গত ৬ এপ্রিল অনেকটা নীরবেই আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু করে।
ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের আদানির এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার দাম নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে ৬ এপ্রিল প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসাকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। তবে আজ সোমবার বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন, আদানির দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে।
ভারতের মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া লিমিটেডকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, দুই ইউনিট বিশিষ্ট এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে গত ২৫ জুন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভারতের মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া লিমিটেডকে লেখা চিঠিতে আদানি গ্রুপ বলেছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় ইউনিটের সফল সক্ষমতা পরীক্ষার পর বাংলাদেশ সময় ২৫ জুন দিবাগত রাত ১২টায় বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রর প্রথম ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করলেও বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিপিডিবির কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছিলেন। প্রথম ইউনিটরে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান গত ৮ এপ্রিল আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘আমি জানি না, আদানি এই দাবিটা কোথা থেকে এবং কিসের ভিত্তিতে করেছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে এখনো কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে।’
অবশ্য বিপিডিবির পরিচালক শামীম হাসান আজ জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টায় আদানির দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৮৬৭ মেগাওয়াট।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা
আদানি থেকে কম দামে, টেকসই ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সরকার ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য–উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যায়, গত ৭ জুন থেকে আজ পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কোনো একটি ইউনিট কমপক্ষে চারবার বন্ধ হয়ে যায়। গত ৭ জুন ২ দশমিক ৪৬ মিনিটের ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এর আগে গত ১২ জুন প্রথম ইউনিটের বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। এক দিন পরে একই সমস্যায় পড়ে দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদনও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত ২০ জুন এয়ার হিটারে ছিদ্র দেখা দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় প্রথম ইউনিটের উৎপাদন।
তীব্র গরমের সময় আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বাংলাদেশে বেড়ে গিয়েছিল লোডশেডিংয়ের তীব্রতা। এ নিয়ে সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্টেট অব দ্য আর্ট টেকনোলোজিতে তৈরি করা হয়নি। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রেও বারবার কারিগরি ত্রুটি দেখা দিচ্ছে।’
পিজিসিবির তথ্য–উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে সমস্যা দেখা দেয় সঞ্চালন লাইনেও। পিজিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, সামনে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য টানানো সরবরাহ লাইনের বাংলাদেশ অংশে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ৩০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হবে। বিপিডিবির পরিচালক শামীম হাসান জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টায় আদানির দুইটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৮৬৭ মেগাওয়াট।
শুল্ক–কর ছাড় নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ
আদানির ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ আসছে গত ৬ এপ্রিল থেকে। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার দাম অতিরিক্ত মাত্রায় নির্ধারণ ও শুল্ক ছাড় নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ রয়েছে।
বিপিডিবি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমিকে ভারত সরকার বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণার কারণে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য যন্ত্রপাতি ও কয়লা আমদানি বাবদ সব ধরনের শুল্ক-কর ছাড় পায়। চুক্তি অনুযায়ী, এই শুল্ক-কর ছাড়ের বিষয়টি বাংলাদেশকে ৩০ দিনের মধ্যে জানানোর কথা। চুক্তিতে বলা আছে, শুল্ক-কর ছাড় পেলে ক্যাপাসিটি চার্জ ও কয়লা আমদানি ব্যয় কমে যাবে। কিন্তু আদানি গ্রুপ এই ছাড়ের বিষয়টি বাংলাদেশকে জানায়নি।
বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণার ফলে আদানির গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রথম পাঁচ বছর শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এর পরবর্তী পাঁচ বছর তারা পাবে ৫০ শতাংশ শুল্ক ছাড়।
কয়লার অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ
শুল্ক ছাড়ের বিষয়টি বাংলাদেশকে না জানায়নি আদানি। পাশাপাশি কয়লার দাম দেশে অবস্থিত রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে প্রায় ২০০ ডলার বেশি নির্ধারণ করে তারা। আদানি গ্রুপ মার্চের শুরুর দিকে প্রতি টন কয়লার দাম ৪০০ ডলার নির্ধারণ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে চাহিদাপত্র পাঠায়। ওই সময় বিপিডিবি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার দরপ্রস্তাব আহ্বান করে। তাতে প্রতি টনের দাম প্রস্তাব করা হয়েছিল ২৩২ ডলার। অথচ আদানি গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লার দাম প্রস্তাব করে ৪০০ ডলার।
কয়লার দাম পুনর্নির্ধারণ ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যে শুল্ক-করে ছাড় পাচ্ছে সেটির সুফল বিপিডিবি কেন পাবে না— তা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশে। বিপিডিবির এক সূত্র জানিয়েছে, কয়লার দাম পুনর্নির্ধারণ ও শুল্ক–কর ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
উল্লেখ্য, আদানি গ্রুপের গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী ২৫ বছর ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।
কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়েছে। কয়লার উচ্চ দাম নির্ধারণ নিয়েও রয়েছে টানাপোড়েন। এর মধ্যে গতকাল রোববার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ১২টায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে আদানি গ্রুপের ৮০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট। দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসার খবরে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ আদানির শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর আগে গত ৬ এপ্রিল অনেকটা নীরবেই আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু করে।
ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের আদানির এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার দাম নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে ৬ এপ্রিল প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসাকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। তবে আজ সোমবার বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন, আদানির দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে।
ভারতের মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া লিমিটেডকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, দুই ইউনিট বিশিষ্ট এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে গত ২৫ জুন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভারতের মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া লিমিটেডকে লেখা চিঠিতে আদানি গ্রুপ বলেছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় ইউনিটের সফল সক্ষমতা পরীক্ষার পর বাংলাদেশ সময় ২৫ জুন দিবাগত রাত ১২টায় বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রর প্রথম ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করলেও বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিপিডিবির কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছিলেন। প্রথম ইউনিটরে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান গত ৮ এপ্রিল আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘আমি জানি না, আদানি এই দাবিটা কোথা থেকে এবং কিসের ভিত্তিতে করেছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে এখনো কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে।’
অবশ্য বিপিডিবির পরিচালক শামীম হাসান আজ জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টায় আদানির দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৮৬৭ মেগাওয়াট।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা
আদানি থেকে কম দামে, টেকসই ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সরকার ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য–উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যায়, গত ৭ জুন থেকে আজ পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কোনো একটি ইউনিট কমপক্ষে চারবার বন্ধ হয়ে যায়। গত ৭ জুন ২ দশমিক ৪৬ মিনিটের ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এর আগে গত ১২ জুন প্রথম ইউনিটের বয়লার টিউবে ছিদ্র দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। এক দিন পরে একই সমস্যায় পড়ে দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদনও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত ২০ জুন এয়ার হিটারে ছিদ্র দেখা দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় প্রথম ইউনিটের উৎপাদন।
তীব্র গরমের সময় আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বাংলাদেশে বেড়ে গিয়েছিল লোডশেডিংয়ের তীব্রতা। এ নিয়ে সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্টেট অব দ্য আর্ট টেকনোলোজিতে তৈরি করা হয়নি। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রেও বারবার কারিগরি ত্রুটি দেখা দিচ্ছে।’
পিজিসিবির তথ্য–উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে সমস্যা দেখা দেয় সঞ্চালন লাইনেও। পিজিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, সামনে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য টানানো সরবরাহ লাইনের বাংলাদেশ অংশে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ৩০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হবে। বিপিডিবির পরিচালক শামীম হাসান জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টায় আদানির দুইটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৮৬৭ মেগাওয়াট।
শুল্ক–কর ছাড় নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ
আদানির ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ আসছে গত ৬ এপ্রিল থেকে। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার দাম অতিরিক্ত মাত্রায় নির্ধারণ ও শুল্ক ছাড় নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ রয়েছে।
বিপিডিবি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমিকে ভারত সরকার বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণার কারণে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য যন্ত্রপাতি ও কয়লা আমদানি বাবদ সব ধরনের শুল্ক-কর ছাড় পায়। চুক্তি অনুযায়ী, এই শুল্ক-কর ছাড়ের বিষয়টি বাংলাদেশকে ৩০ দিনের মধ্যে জানানোর কথা। চুক্তিতে বলা আছে, শুল্ক-কর ছাড় পেলে ক্যাপাসিটি চার্জ ও কয়লা আমদানি ব্যয় কমে যাবে। কিন্তু আদানি গ্রুপ এই ছাড়ের বিষয়টি বাংলাদেশকে জানায়নি।
বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণার ফলে আদানির গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রথম পাঁচ বছর শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এর পরবর্তী পাঁচ বছর তারা পাবে ৫০ শতাংশ শুল্ক ছাড়।
কয়লার অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ
শুল্ক ছাড়ের বিষয়টি বাংলাদেশকে না জানায়নি আদানি। পাশাপাশি কয়লার দাম দেশে অবস্থিত রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে প্রায় ২০০ ডলার বেশি নির্ধারণ করে তারা। আদানি গ্রুপ মার্চের শুরুর দিকে প্রতি টন কয়লার দাম ৪০০ ডলার নির্ধারণ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে চাহিদাপত্র পাঠায়। ওই সময় বিপিডিবি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার দরপ্রস্তাব আহ্বান করে। তাতে প্রতি টনের দাম প্রস্তাব করা হয়েছিল ২৩২ ডলার। অথচ আদানি গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লার দাম প্রস্তাব করে ৪০০ ডলার।
কয়লার দাম পুনর্নির্ধারণ ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যে শুল্ক-করে ছাড় পাচ্ছে সেটির সুফল বিপিডিবি কেন পাবে না— তা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশে। বিপিডিবির এক সূত্র জানিয়েছে, কয়লার দাম পুনর্নির্ধারণ ও শুল্ক–কর ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
উল্লেখ্য, আদানি গ্রুপের গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী ২৫ বছর ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৮ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে