নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে কলকাতায় খুন করে দেশে ফিরে আক্তারুজ্জামান শাহীনের বাসায় আশ্রয় নেন মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনোয়ারুল অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ফয়সাল আলী ওরফে সাহাজী ওরফে সাজী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে এ কথা বলেছেন।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় ফয়সাল ওরফে সাজী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন। দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফয়সালের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৭ জুন ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর রহমানকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। মোস্তাফিজুর রহমান গত মঙ্গলবার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৬ জুন ডিবি অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে।
গ্রেপ্তারের পর তারা জানান, ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে পাহাড়ের পাতাল কালীমন্দিরে ২৩ দিন আত্মগোপনে ছিলেন তাঁরা। মন্দিরের লোকজনের কাছে মোস্তাফিজ নিজের পরিচয় দেন শিমুল রায় নামে। ফয়সালের পরিচয় ছিল পলাশ রায়।
এই মামলায় শিমুল ভূঁইয়া, তার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, ঝিনাইদহের আরেক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে বাংলাদেশে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ছাড়া বাকি সবাই স্বীকারোক্তি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
প্রত্যেকেই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী শিমুল ভূঁইয়ার নাম বলেছেন। ফয়সালও বলেছেন, আখতারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা ও নির্দেশে খুন করা হয়। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল দায়িত্বে ছিলেন চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়া।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল আদালতে আদালতে মোস্তাফিজুর রহমানের অনুরূপ জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনিও চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়ার সহযোগী। দীর্ঘদিন ধরে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।
মোস্তাফিজ স্বীকারোক্তিতে বলেন, তাঁদের টাকার প্রয়োজন থাকায় গত মার্চ মাসে যোগাযোগ করলে শিমুল ভূঁইয়া জানান, কলকাতায় গিয়ে একটি কাজ করতে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে। এতে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল রাজি হন। পরে পাসপোর্ট করার জন্য কিছু টাকাও শিমুল ভূঁইয়া দুজনকে দেন। পাসপোর্ট করার পর গত এপ্রিলে তাঁরা ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আখতারুজ্জামান শাহিনের বাসায় ওঠেন। সেখানে কয়েক দিন থাকার পর আখতারুজ্জামান শাহিনের পিএস সিয়াম দুজনের ভিসার ব্যবস্থা করে দেন। মেডিকেল ভিসা করে দেওয়া হয় তাদের। ভিসার টাকা এবং কলকাতায় যাওয়ার টাকা আখতারুজ্জামান শাহীনই সিয়ামের মাধ্যমে দুজনকে দেন।
শিমুল ভূঁইয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী মোস্তাফিজ ও ফয়সাল হত্যাকাণ্ডের আগে ২ মে কলকাতায় যান। সেখানকার নিউমার্কেট এলাকার ‘হোটেল প্লাজা’য় ওঠেন। পরে হত্যাকাণ্ডের একদিন আগে আখতারুজ্জামান শাহিনের সঙ্গে বিমানবন্দরের পাশের একটি রেস্টুরেন্টে তারা মিটিং করে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন।
জবানবন্দিতে ফয়সাল হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করা হয় বলে বলেন। ফয়সাল জবানবন্দিতে আরও বলেন, খুনের ছয় দিন পর ১৯ মে তিনি ও মোস্তাফিজ ঢাকায় ফিরে আক্তারুজ্জামানের বসুন্ধরার বাসায় আশ্রয় নেন। পরে মামলা হলে আত্মগোপনে চলে যান। তারা পরিচয় গোপন করে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় একটি মন্দিরে আশ্রয় নেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এই কাজ করেন বলে আদালতকে জানান।
আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
আনোয়ারুল আজিম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তার মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে কলকাতায় খুন করে দেশে ফিরে আক্তারুজ্জামান শাহীনের বাসায় আশ্রয় নেন মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনোয়ারুল অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ফয়সাল আলী ওরফে সাহাজী ওরফে সাজী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে এ কথা বলেছেন।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় ফয়সাল ওরফে সাজী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন। দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফয়সালের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৭ জুন ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর রহমানকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। মোস্তাফিজুর রহমান গত মঙ্গলবার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৬ জুন ডিবি অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে।
গ্রেপ্তারের পর তারা জানান, ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে পাহাড়ের পাতাল কালীমন্দিরে ২৩ দিন আত্মগোপনে ছিলেন তাঁরা। মন্দিরের লোকজনের কাছে মোস্তাফিজ নিজের পরিচয় দেন শিমুল রায় নামে। ফয়সালের পরিচয় ছিল পলাশ রায়।
এই মামলায় শিমুল ভূঁইয়া, তার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, ঝিনাইদহের আরেক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে বাংলাদেশে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ছাড়া বাকি সবাই স্বীকারোক্তি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
প্রত্যেকেই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী শিমুল ভূঁইয়ার নাম বলেছেন। ফয়সালও বলেছেন, আখতারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা ও নির্দেশে খুন করা হয়। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল দায়িত্বে ছিলেন চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়া।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল আদালতে আদালতে মোস্তাফিজুর রহমানের অনুরূপ জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনিও চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়ার সহযোগী। দীর্ঘদিন ধরে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে কাজ করছেন তিনি।
মোস্তাফিজ স্বীকারোক্তিতে বলেন, তাঁদের টাকার প্রয়োজন থাকায় গত মার্চ মাসে যোগাযোগ করলে শিমুল ভূঁইয়া জানান, কলকাতায় গিয়ে একটি কাজ করতে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে। এতে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল রাজি হন। পরে পাসপোর্ট করার জন্য কিছু টাকাও শিমুল ভূঁইয়া দুজনকে দেন। পাসপোর্ট করার পর গত এপ্রিলে তাঁরা ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আখতারুজ্জামান শাহিনের বাসায় ওঠেন। সেখানে কয়েক দিন থাকার পর আখতারুজ্জামান শাহিনের পিএস সিয়াম দুজনের ভিসার ব্যবস্থা করে দেন। মেডিকেল ভিসা করে দেওয়া হয় তাদের। ভিসার টাকা এবং কলকাতায় যাওয়ার টাকা আখতারুজ্জামান শাহীনই সিয়ামের মাধ্যমে দুজনকে দেন।
শিমুল ভূঁইয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী মোস্তাফিজ ও ফয়সাল হত্যাকাণ্ডের আগে ২ মে কলকাতায় যান। সেখানকার নিউমার্কেট এলাকার ‘হোটেল প্লাজা’য় ওঠেন। পরে হত্যাকাণ্ডের একদিন আগে আখতারুজ্জামান শাহিনের সঙ্গে বিমানবন্দরের পাশের একটি রেস্টুরেন্টে তারা মিটিং করে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন।
জবানবন্দিতে ফয়সাল হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করা হয় বলে বলেন। ফয়সাল জবানবন্দিতে আরও বলেন, খুনের ছয় দিন পর ১৯ মে তিনি ও মোস্তাফিজ ঢাকায় ফিরে আক্তারুজ্জামানের বসুন্ধরার বাসায় আশ্রয় নেন। পরে মামলা হলে আত্মগোপনে চলে যান। তারা পরিচয় গোপন করে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় একটি মন্দিরে আশ্রয় নেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এই কাজ করেন বলে আদালতকে জানান।
আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
আনোয়ারুল আজিম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।
গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তার মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
২ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৩ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে