নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চেয়েছে, এ বিষয়টি বুধবার নিশ্চিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। আজ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
গত ২০ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, আইএমএফের ঋণ বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। ঋণদাতাদের কাছে কোনো তহবিল বাংলাদেশ চাইবে না। সরকার আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংকের কাছে মোট ৬২০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। এর মধ্যে আইএমএফের কাছে চেয়েছে ৪৫০ কোটি ডলার, এডিবির কাছে ১০০ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭০ কোটি ডলার।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী জানান, কৌশলগত কারণে তিনি সেদিন ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঋণ নেওয়ায় দর–কষাকষির ব্যাপার থাকে। আগেই প্রয়োজনীয়তার কথা বলে ফেললে ঋণের বোঝা ও খরচ অনেক বেড়ে যায়।’
আইএমএফের কাছে পাঠানো ঋণের প্রস্তাবে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঋণের শর্ত যেন দেশের স্বার্থ বিরোধী না হয় সেদিকে সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা প্রথমে দেখব—তাঁরা কোন শর্তে ঋণ দিতে চায় এবং আমাদের কতটা নেওয়া উচিত।’
আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিলে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত রিপোর্ট নাকচ করে দিয়ে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়ার মানে এই নয় যে দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় আছে। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও জাইকা বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য তদবির করে। কারণ, তাঁরা জানে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধে সক্ষম।’
বাজারে ডলার সংকট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ডলার ছাপায় না। বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো টাকা এবং রপ্তানি আয়। তবে আমদানিও বাড়ছে। চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে ডলারের দাম নির্ধারণ করতে হবে।’ ডলারের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিতে কোন মহলের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে নেওয়া বিদেশি ঋণের বিপরীতে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ২৭৮ কোটি ডলার শোধ করতে হবে। গত বছর ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ২৪৫ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। তবে দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের দায় ২০২৯-২০৩০ সাল থেকে বাড়তে থাকবে এবং ওই বছর ৫১৫ কোটি ডলার শোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। এরপর ঋণ শোধের দায় কমতে থাকবে। ২০৩৪-২০৩৫ সাল নাগাদ শোধ করতে হবে ৪৪৫ শত কোটি ডলার।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো দেবপ্রিয় দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য গত ২১ জুলাই বলেন, ‘২০টি বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের বড় ধাক্কা আসতে থাকবে ২০২৪ সাল ও ২০২৬ সাল থেকে। এর মধ্যে রাশিয়াকে পরিশোধ করতে হবে ৩৬.৬ শতাংশ, জাপানকে ৩৫ শতাংশ এবং চীনকে ২১ শতাংশ।’ সিপিডির তথ্যমতে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প, ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প, মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু প্রকল্পসহ ২০টি মেগা প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে কমপক্ষে ৭ হাজার কোটি ডলার। এর ৬১ শতাংশই আসছে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান থেকে।
২০টি মেগা প্রকল্পে ৪৫টি প্যাকেজের মধ্যে ৩৩টি নেওয়া হয়েছে সাশ্রয়ী শর্তে, দুইটি আধা-সাশ্রয়ী শর্তে। পাঁচটি প্যাকেজের ঋণ নেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিক শর্তে। মাত্র পাঁচটি প্যাকেজ বাস্তবায়িত হবে বিদেশি অনুদানের টাকায়।
সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চেয়েছে, এ বিষয়টি বুধবার নিশ্চিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। আজ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
গত ২০ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, আইএমএফের ঋণ বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। ঋণদাতাদের কাছে কোনো তহবিল বাংলাদেশ চাইবে না। সরকার আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংকের কাছে মোট ৬২০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। এর মধ্যে আইএমএফের কাছে চেয়েছে ৪৫০ কোটি ডলার, এডিবির কাছে ১০০ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭০ কোটি ডলার।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী জানান, কৌশলগত কারণে তিনি সেদিন ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঋণ নেওয়ায় দর–কষাকষির ব্যাপার থাকে। আগেই প্রয়োজনীয়তার কথা বলে ফেললে ঋণের বোঝা ও খরচ অনেক বেড়ে যায়।’
আইএমএফের কাছে পাঠানো ঋণের প্রস্তাবে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঋণের শর্ত যেন দেশের স্বার্থ বিরোধী না হয় সেদিকে সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা প্রথমে দেখব—তাঁরা কোন শর্তে ঋণ দিতে চায় এবং আমাদের কতটা নেওয়া উচিত।’
আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিলে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত রিপোর্ট নাকচ করে দিয়ে মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়ার মানে এই নয় যে দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় আছে। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও জাইকা বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য তদবির করে। কারণ, তাঁরা জানে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধে সক্ষম।’
বাজারে ডলার সংকট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ডলার ছাপায় না। বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো টাকা এবং রপ্তানি আয়। তবে আমদানিও বাড়ছে। চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে ডলারের দাম নির্ধারণ করতে হবে।’ ডলারের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিতে কোন মহলের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে নেওয়া বিদেশি ঋণের বিপরীতে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ২৭৮ কোটি ডলার শোধ করতে হবে। গত বছর ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ২৪৫ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। তবে দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের দায় ২০২৯-২০৩০ সাল থেকে বাড়তে থাকবে এবং ওই বছর ৫১৫ কোটি ডলার শোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। এরপর ঋণ শোধের দায় কমতে থাকবে। ২০৩৪-২০৩৫ সাল নাগাদ শোধ করতে হবে ৪৪৫ শত কোটি ডলার।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো দেবপ্রিয় দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য গত ২১ জুলাই বলেন, ‘২০টি বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের বড় ধাক্কা আসতে থাকবে ২০২৪ সাল ও ২০২৬ সাল থেকে। এর মধ্যে রাশিয়াকে পরিশোধ করতে হবে ৩৬.৬ শতাংশ, জাপানকে ৩৫ শতাংশ এবং চীনকে ২১ শতাংশ।’ সিপিডির তথ্যমতে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প, ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প, মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু প্রকল্পসহ ২০টি মেগা প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে কমপক্ষে ৭ হাজার কোটি ডলার। এর ৬১ শতাংশই আসছে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান থেকে।
২০টি মেগা প্রকল্পে ৪৫টি প্যাকেজের মধ্যে ৩৩টি নেওয়া হয়েছে সাশ্রয়ী শর্তে, দুইটি আধা-সাশ্রয়ী শর্তে। পাঁচটি প্যাকেজের ঋণ নেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিক শর্তে। মাত্র পাঁচটি প্যাকেজ বাস্তবায়িত হবে বিদেশি অনুদানের টাকায়।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৬ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৮ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৯ ঘণ্টা আগে