নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কাসহ নানা কারণে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন প্রতি ব্যারেল তেলের দাম সর্বোচ্চ ছিল তখন বৃদ্ধি করলে লিটার প্রতি ৬০ টাকা বাড়াতে হতো। বিশ্বে তেলের দাম ধীরে ধীরে কিছুটা কমার পর তারা দাম সমন্বয় করেছেন বলে জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সাম্প্রতিক সমস্যায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জাতিকে জানাতে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনা সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক।
আলোচনাকালে নসরুল হামিদ জাতীয় পার্টি ও বিএনপির এমপিদের নানা বক্তব্যের জবাব দেন। তিনি জাতীয় পার্টি-বিএনপি সময়কালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বিরোধী দলের গোল্ডফিস মেমোরি। সবকিছু তারা ভুলে গেছেন। কীভাবে সরকার চালিয়েছিলেন এবং এখন তারা কোথায় আছেন। ভূতের মুখে রামনাম। চেষ্টা করেছিলাম কত কম ডাটা নিয়ে আসা যায়। দেখলাম সম্ভব নয়। সেই সময়কার ঘটনার তথ্য দুই ট্রাক হবে।’
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি সংস্থা সারা বাংলাদেশের জ্বালানি ইমপ্রোর্ট করে নিয়ে আসে। সরবরাহ করে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হঠাৎ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যখন শুরু হলো ১৭০ ডলার হয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। সংসদ সদস্য বলেছেন সেই সময় কেন দাম বাড়ানো হলো না? আরে সেই সময় যদি আমরা দাম বাড়াতাম তাহলে পার লিটার ৬০ টাকা করে বাড়াতে হতো। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম দামটা একটু কমুক। তখন অ্যাডজাস্টমেন্টে যাবো। দাম আস্তে আস্তে কমে ১৩৯ ডলার যখন হয়েছে, ভারতের থেকে তখনো আমাদের ৪০ টাকা লিটার প্রতি পার্থক্য ছিল। যার কারণে সম্ভাবনা ছিল ভারতে তেল পাচার হয়ে যাওয়ার। সেই কারণে আমাদের একটি ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। বৈশ্বিক অবস্থা, তেলের ঘাটতি, ঊর্ধ্বমুখী তেলে দাম এবং পাচার হওয়ার ঘটনা অনেক কিছু মিলিয়ে এই দাম আমাদের সমন্বয় করতে হয়েছে। আমরা তো দাম বৃদ্ধি করিনি। আমরা সমন্বয় করেছি। অস্বীকার করার কিছু নেই। আমরা জানি সকলেই কষ্টে আছেন। আমরা এটা বারবার বলেও আসছি। সারা পৃথিবীর মানুষ কষ্টে আছে। উদাহরণ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।’
বিরোধী দলের সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা উটপাখির মত মাথাটা বালুর নিচে দিয়ে রাখতে চান। বিশ্বে কী ঘটনা ঘটছে কিছুই তাদের আসে যায় না। সংসদ সদস্যের কাছে একটু গঠনমূলক পরামর্শ আশা করছিলাম। কিছুই আসলো না। ওই একই ভাঙা রেকর্ড-ক্যাপটিভ পাওয়ার, রেন্টাল পাওয়ার, ক্যাপাসিটি চার্জ। এর মধ্যেই তারা ঘুরপাক খাচ্ছে। এর থেকে বেরুতে পারছেন না।
বিএনপির এমপি হারুনুর রশিদকে উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উনারা নিজেরাই বলছেন-কোভিড-১৯, বৈশ্বিক অস্থিরতা, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ-যেসকল কারণে আজকে এই মূল্যস্ফীতি। কেউ অস্বীকার করছেন না। আপনি কোরআনের আয়াত বললেন-সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। আপনারাই তো মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। তো মিথ্যাকে দিয়ে মিথ্যা ঢাকবেন কীভাবে? সারাক্ষণই মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। ৪৮ হাজার কোটি টাকা বিপিসি লাভ করেছে। তা আপনারা কী চান সরকারি সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যাক। ৪৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা সরকারকে দেওয়া হয়ে দেশ পরিচালনা করার জন্য।’
বিরোধী দলের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সারাক্ষণ ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য দিয়ে যাবেন-সোশ্যাল মিডিয়া একটু খুলে দেখেন। পরিস্থিতি কী? কী অবস্থা জার্মানির! তাদের ৪০ শতাংশ গ্যাস কার্টেল করতে হবে। তারা বিপদে আছে শিল্প চলবে কীভাবে? শীতকালে বয়স্ক মানুষেরা কীভাবে হিটিং সিস্টেম চালাবে? ইউকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ কাটঅফ করবে। আপনাদের বলতে চাই এতই যখন ফেসবুক থেকে তথ্য নেন। আল্লাহর ওয়াস্তে গুজবে কান দেবেন না। বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতে এই দেশ হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একটি দেশ। আমরা সেই পথেই আছি। প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের দেশের দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কাসহ নানা কারণে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন প্রতি ব্যারেল তেলের দাম সর্বোচ্চ ছিল তখন বৃদ্ধি করলে লিটার প্রতি ৬০ টাকা বাড়াতে হতো। বিশ্বে তেলের দাম ধীরে ধীরে কিছুটা কমার পর তারা দাম সমন্বয় করেছেন বলে জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সাম্প্রতিক সমস্যায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জাতিকে জানাতে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনা সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক।
আলোচনাকালে নসরুল হামিদ জাতীয় পার্টি ও বিএনপির এমপিদের নানা বক্তব্যের জবাব দেন। তিনি জাতীয় পার্টি-বিএনপি সময়কালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বিরোধী দলের গোল্ডফিস মেমোরি। সবকিছু তারা ভুলে গেছেন। কীভাবে সরকার চালিয়েছিলেন এবং এখন তারা কোথায় আছেন। ভূতের মুখে রামনাম। চেষ্টা করেছিলাম কত কম ডাটা নিয়ে আসা যায়। দেখলাম সম্ভব নয়। সেই সময়কার ঘটনার তথ্য দুই ট্রাক হবে।’
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি সংস্থা সারা বাংলাদেশের জ্বালানি ইমপ্রোর্ট করে নিয়ে আসে। সরবরাহ করে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হঠাৎ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যখন শুরু হলো ১৭০ ডলার হয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। সংসদ সদস্য বলেছেন সেই সময় কেন দাম বাড়ানো হলো না? আরে সেই সময় যদি আমরা দাম বাড়াতাম তাহলে পার লিটার ৬০ টাকা করে বাড়াতে হতো। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম দামটা একটু কমুক। তখন অ্যাডজাস্টমেন্টে যাবো। দাম আস্তে আস্তে কমে ১৩৯ ডলার যখন হয়েছে, ভারতের থেকে তখনো আমাদের ৪০ টাকা লিটার প্রতি পার্থক্য ছিল। যার কারণে সম্ভাবনা ছিল ভারতে তেল পাচার হয়ে যাওয়ার। সেই কারণে আমাদের একটি ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। বৈশ্বিক অবস্থা, তেলের ঘাটতি, ঊর্ধ্বমুখী তেলে দাম এবং পাচার হওয়ার ঘটনা অনেক কিছু মিলিয়ে এই দাম আমাদের সমন্বয় করতে হয়েছে। আমরা তো দাম বৃদ্ধি করিনি। আমরা সমন্বয় করেছি। অস্বীকার করার কিছু নেই। আমরা জানি সকলেই কষ্টে আছেন। আমরা এটা বারবার বলেও আসছি। সারা পৃথিবীর মানুষ কষ্টে আছে। উদাহরণ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।’
বিরোধী দলের সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা উটপাখির মত মাথাটা বালুর নিচে দিয়ে রাখতে চান। বিশ্বে কী ঘটনা ঘটছে কিছুই তাদের আসে যায় না। সংসদ সদস্যের কাছে একটু গঠনমূলক পরামর্শ আশা করছিলাম। কিছুই আসলো না। ওই একই ভাঙা রেকর্ড-ক্যাপটিভ পাওয়ার, রেন্টাল পাওয়ার, ক্যাপাসিটি চার্জ। এর মধ্যেই তারা ঘুরপাক খাচ্ছে। এর থেকে বেরুতে পারছেন না।
বিএনপির এমপি হারুনুর রশিদকে উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উনারা নিজেরাই বলছেন-কোভিড-১৯, বৈশ্বিক অস্থিরতা, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ-যেসকল কারণে আজকে এই মূল্যস্ফীতি। কেউ অস্বীকার করছেন না। আপনি কোরআনের আয়াত বললেন-সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। আপনারাই তো মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। তো মিথ্যাকে দিয়ে মিথ্যা ঢাকবেন কীভাবে? সারাক্ষণই মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। ৪৮ হাজার কোটি টাকা বিপিসি লাভ করেছে। তা আপনারা কী চান সরকারি সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যাক। ৪৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা সরকারকে দেওয়া হয়ে দেশ পরিচালনা করার জন্য।’
বিরোধী দলের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সারাক্ষণ ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য দিয়ে যাবেন-সোশ্যাল মিডিয়া একটু খুলে দেখেন। পরিস্থিতি কী? কী অবস্থা জার্মানির! তাদের ৪০ শতাংশ গ্যাস কার্টেল করতে হবে। তারা বিপদে আছে শিল্প চলবে কীভাবে? শীতকালে বয়স্ক মানুষেরা কীভাবে হিটিং সিস্টেম চালাবে? ইউকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ কাটঅফ করবে। আপনাদের বলতে চাই এতই যখন ফেসবুক থেকে তথ্য নেন। আল্লাহর ওয়াস্তে গুজবে কান দেবেন না। বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতে এই দেশ হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একটি দেশ। আমরা সেই পথেই আছি। প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের দেশের দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৬ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৭ ঘণ্টা আগে