নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে আবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে অবস্থা কিছুটা ভালো থাকলেও আসন্ন বর্ষা মৌসুমে খারাপ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কয়েকটি ওয়ার্ড এবার ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
আজ বুধবার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ‘প্রাক মৌসুম এডিস সার্ভে-২০২২’ শীর্ষক জরিপটি প্রকাশ করা হয়।
এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রোগ্রাম ডেপুটি ম্যানেজার (ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ) ডা. মো. ইকরামুল হক বলেন, ‘আমাদের মাঝে জনসচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। সাধারণ মানুষ ও বাসা-বাড়ির মালিক সচেতন হলেই এটি প্রতিরোধ সম্ভব। গত দুই বছরের তুলনায় ডেঙ্গুর প্রবণতা বেড়েছে। ঢাকা শহরে যেহেতু ডেঙ্গুর সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি তাই এখানে প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। কোন একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এটি নির্মূল ও প্রতিরোধ সম্ভব নয়। এটিতে স্থানীয় জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।’
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সময় থাকতে যদি ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় হয়, তাহলে ব্যাহত হতে পারে স্বাভাবিক সেবা।
রাজধানীর দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডের ১১০টি স্থানে ডেঙ্গুর প্রকৃত অবস্থা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে সমীক্ষা চালিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। জরিপে উত্তর সিটির ৬৩টি এবং দক্ষিণ সিটির ৯৬টি বাড়িতে এডিস মশা অতিরিক্ত মাত্রায় চিহ্নিত হয়েছে।
যেখানে মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে দক্ষিণ সিটিতে। বিশেষ করে ৪৫ (ডিষ্ট্রিলারী রোড, দীন নাথ সেন রোড, রজনী চৌধুরী রোড), ৩৮ (কাপ্তান বাজার, মুচীপাড়া, নবাবপুর রোড) আর ৪০ নম্বর ওয়ার্ড (দয়াগঞ্জ জেলেপাড়া, স্বামীবাগ, বসু বাজার লেন) সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অন্য দুটিতে ২০ ও ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ করে।
অন্যদিকে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ মশার ঘনত্ব ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া বাকি ওয়ার্ডে ১০ শতাংশের আশপাশেই রয়েছে।
এসব এলাকায় পরিত্যক্ত কনটেইনারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া জলমগ্ন মেঝে ও প্লাস্টিক কনটেইনারে বেশি মাত্রায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে প্লাস্টিক ড্রামে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, সেখানে ২০২২ সালে মৌসুম পূর্ব জরিপে লার্ভার পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জলমগ্ন ফ্লোরে লার্ভা বেড়ে ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্লাস্টিক বালতিতে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পানির ট্যাংকে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ডেঙ্গু প্রকোপ বেশি হওয়ার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ওই বছর লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯ জন।
পরের বছর ২০২০ সালে উচ্চমুখী করোনা পরিস্থিতির কারণে বাসা-বাড়ি ও সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আক্রান্ত ও মৃত্যু অনেকাংশে কমে আসে। ওই বছর এক হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, মারা যান ১২ জন।
তবে গত বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত যখন করোনার ভয়াবহতা দেশব্যাপী ছাড়িয়ে পড়ে, তখন কোভিড রোগী ছাড়াও স্বাভাবিক চিকিৎসা অনেকটা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। আর এতে করেই ডেঙ্গুতে প্রাণহানি বেড়ে যায়। ২০২১ সালে মারা যায় ১০৫ জন, আক্রান্ত হয় সাড়ে ২৮ হাজার মানুষ।
আর চলতি বছর গত প্রায় চার মাসে এখন পর্যন্ত ১৮৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বর্তমানে সবকিছু খোলা, মানুষের মাঝে নেই কোনো স্বাস্থ্য সচেতনতা। ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এমনটা হলে স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হবে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ‘আগের দুই বছর করোনার কারণে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু দুই সিটিকে আমরা ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। বর্তমানে প্রকৃতি নয়, মানুষের দ্বারাই ডেঙ্গু বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতি যেমন ভালো আছে এটি ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ, একইভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ যাতে না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আগে থেকে যদি প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিতে পারি তাহলে পরিস্থিতি ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। তাই যার যার জায়গা থেকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অংশ নেন ডিএনসিসির নতুন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে উত্তর সিটির সব খালে গাপ্পি মাছ ছাড়ার কাজ শেষ হবে। আমাদের জায়গা থেকে মশা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আর ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ‘মশা প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বছর দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
তবে ঢাকায় মেট্রোরেলের মত মেগা প্রকল্পের কিছু জায়গায় ডেঙ্গু মশার বিস্তারের শঙ্কা থাকলেও সেসব স্থানে সমীক্ষা চালানো হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘রেলের জায়গায় মানুষ বসবাস করে না। তাই বাসা-বাড়িতেই আমরা এই সমীক্ষা চালিয়েছি। মূলত নগরবাসীর সুরক্ষা ও সচেতনতাই আমাদের মূল লক্ষ্য। গত দুই বছরে নন কোভিড রোগীদের সেবা সেভাবে দেওয়া যায়নি, তাই আমরা চাচ্ছি নতুন করে যেন সেরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদসহ আরও অনেকে।
রাজধানীতে আবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে অবস্থা কিছুটা ভালো থাকলেও আসন্ন বর্ষা মৌসুমে খারাপ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কয়েকটি ওয়ার্ড এবার ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
আজ বুধবার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ‘প্রাক মৌসুম এডিস সার্ভে-২০২২’ শীর্ষক জরিপটি প্রকাশ করা হয়।
এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রোগ্রাম ডেপুটি ম্যানেজার (ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ) ডা. মো. ইকরামুল হক বলেন, ‘আমাদের মাঝে জনসচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। সাধারণ মানুষ ও বাসা-বাড়ির মালিক সচেতন হলেই এটি প্রতিরোধ সম্ভব। গত দুই বছরের তুলনায় ডেঙ্গুর প্রবণতা বেড়েছে। ঢাকা শহরে যেহেতু ডেঙ্গুর সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি তাই এখানে প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। কোন একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এটি নির্মূল ও প্রতিরোধ সম্ভব নয়। এটিতে স্থানীয় জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।’
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সময় থাকতে যদি ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় হয়, তাহলে ব্যাহত হতে পারে স্বাভাবিক সেবা।
রাজধানীর দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডের ১১০টি স্থানে ডেঙ্গুর প্রকৃত অবস্থা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে সমীক্ষা চালিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। জরিপে উত্তর সিটির ৬৩টি এবং দক্ষিণ সিটির ৯৬টি বাড়িতে এডিস মশা অতিরিক্ত মাত্রায় চিহ্নিত হয়েছে।
যেখানে মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে দক্ষিণ সিটিতে। বিশেষ করে ৪৫ (ডিষ্ট্রিলারী রোড, দীন নাথ সেন রোড, রজনী চৌধুরী রোড), ৩৮ (কাপ্তান বাজার, মুচীপাড়া, নবাবপুর রোড) আর ৪০ নম্বর ওয়ার্ড (দয়াগঞ্জ জেলেপাড়া, স্বামীবাগ, বসু বাজার লেন) সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অন্য দুটিতে ২০ ও ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ করে।
অন্যদিকে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ মশার ঘনত্ব ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া বাকি ওয়ার্ডে ১০ শতাংশের আশপাশেই রয়েছে।
এসব এলাকায় পরিত্যক্ত কনটেইনারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া জলমগ্ন মেঝে ও প্লাস্টিক কনটেইনারে বেশি মাত্রায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে প্লাস্টিক ড্রামে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, সেখানে ২০২২ সালে মৌসুম পূর্ব জরিপে লার্ভার পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জলমগ্ন ফ্লোরে লার্ভা বেড়ে ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্লাস্টিক বালতিতে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পানির ট্যাংকে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ডেঙ্গু প্রকোপ বেশি হওয়ার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ওই বছর লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭৯ জন।
পরের বছর ২০২০ সালে উচ্চমুখী করোনা পরিস্থিতির কারণে বাসা-বাড়ি ও সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আক্রান্ত ও মৃত্যু অনেকাংশে কমে আসে। ওই বছর এক হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, মারা যান ১২ জন।
তবে গত বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত যখন করোনার ভয়াবহতা দেশব্যাপী ছাড়িয়ে পড়ে, তখন কোভিড রোগী ছাড়াও স্বাভাবিক চিকিৎসা অনেকটা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। আর এতে করেই ডেঙ্গুতে প্রাণহানি বেড়ে যায়। ২০২১ সালে মারা যায় ১০৫ জন, আক্রান্ত হয় সাড়ে ২৮ হাজার মানুষ।
আর চলতি বছর গত প্রায় চার মাসে এখন পর্যন্ত ১৮৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বর্তমানে সবকিছু খোলা, মানুষের মাঝে নেই কোনো স্বাস্থ্য সচেতনতা। ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এমনটা হলে স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হবে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ‘আগের দুই বছর করোনার কারণে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু দুই সিটিকে আমরা ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। বর্তমানে প্রকৃতি নয়, মানুষের দ্বারাই ডেঙ্গু বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতি যেমন ভালো আছে এটি ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ, একইভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ যাতে না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আগে থেকে যদি প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিতে পারি তাহলে পরিস্থিতি ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। তাই যার যার জায়গা থেকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অংশ নেন ডিএনসিসির নতুন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে উত্তর সিটির সব খালে গাপ্পি মাছ ছাড়ার কাজ শেষ হবে। আমাদের জায়গা থেকে মশা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আর ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ‘মশা প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বছর দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’
তবে ঢাকায় মেট্রোরেলের মত মেগা প্রকল্পের কিছু জায়গায় ডেঙ্গু মশার বিস্তারের শঙ্কা থাকলেও সেসব স্থানে সমীক্ষা চালানো হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘রেলের জায়গায় মানুষ বসবাস করে না। তাই বাসা-বাড়িতেই আমরা এই সমীক্ষা চালিয়েছি। মূলত নগরবাসীর সুরক্ষা ও সচেতনতাই আমাদের মূল লক্ষ্য। গত দুই বছরে নন কোভিড রোগীদের সেবা সেভাবে দেওয়া যায়নি, তাই আমরা চাচ্ছি নতুন করে যেন সেরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদসহ আরও অনেকে।
রাষ্ট্র পরিচালনায় স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন সংবিধান দরকার বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে সংবিধান চলছে, তা কোনোমতে চালানোর জন্য সংস্কার চাইছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এটা দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে চলতে পারবে, কিন্তু একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহ আলী মাজারের কাছে একটি কাঠের দোকান ছিল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের। ২০১৯ সালের ১৯ জুন দুপুরে সেই দোকান থেকে তিনি বাসার দিকে যাচ্ছিলেন দুপুরের খাবার খেতে। পথে নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে মিরপুরে র্যাব-৪ অফিসের কাছে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান ছিল। ৫ বছর পেরিয়ে গে
৮ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
১১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১৮ ঘণ্টা আগে