অনলাইন ডেস্ক
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কয়েকটি’ সহিংসতা ঘটেছে। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করতে সেগুলো নিয়ে সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে আজ রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। আধা ঘণ্টার বেশি সময় দেওয়া ভাষণে ৮ আগস্ট সরকার গঠনের আগের ও পরের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, বাংলাদেশ তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত একটা দেশ। এ সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সহিংসতারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু এটা নিয়ে যেসব প্রচার-প্রচারণা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত। অল্প যে সমস্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার মূল কারণ ছিল রাজনৈতিক। কিন্তু এসব ঘটনাকে ধর্মীয় আবরণ দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হয়েছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা দৃঢ়ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।’
সরকার পতনের পরপর ৫২টি জেলায় হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের দুটি জাতীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৪ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৭৬ জেলা ও মহানগরের মধ্যে ৬৮ স্থানে ২০১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছে। এরপরও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় দেশে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে এক দিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়; যা উৎসবের আমেজকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। দুর্গাপূজাকে ঘিরে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিই। যার ফলে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা দায়িত্বে আসার পর যে অল্প কিছু ক্ষেত্রে তারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন; আমরা তার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছি। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয়, দেশের কোনো মানুষই যাতে কোনো রকম সহিংসতার শিকার না হয়, সে জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং সব সময় সে চেষ্টা করে যেতে থাকব।’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কয়েকটি’ সহিংসতা ঘটেছে। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করতে সেগুলো নিয়ে সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে আজ রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। আধা ঘণ্টার বেশি সময় দেওয়া ভাষণে ৮ আগস্ট সরকার গঠনের আগের ও পরের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, বাংলাদেশ তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত একটা দেশ। এ সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সহিংসতারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু এটা নিয়ে যেসব প্রচার-প্রচারণা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত। অল্প যে সমস্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার মূল কারণ ছিল রাজনৈতিক। কিন্তু এসব ঘটনাকে ধর্মীয় আবরণ দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হয়েছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা দৃঢ়ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।’
সরকার পতনের পরপর ৫২টি জেলায় হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের দুটি জাতীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৪ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৭৬ জেলা ও মহানগরের মধ্যে ৬৮ স্থানে ২০১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছে। এরপরও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় দেশে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে এক দিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়; যা উৎসবের আমেজকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। দুর্গাপূজাকে ঘিরে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিই। যার ফলে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা দায়িত্বে আসার পর যে অল্প কিছু ক্ষেত্রে তারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন; আমরা তার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছি। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয়, দেশের কোনো মানুষই যাতে কোনো রকম সহিংসতার শিকার না হয়, সে জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং সব সময় সে চেষ্টা করে যেতে থাকব।’
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো একটি ইস্যুতে আটকে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। আজ রোববার ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে এক সংলাপে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক কোনো একটি অ্যাজেন্ডা বা এক ইস্যুতে আটকে থাকতে পারে না। আমাদের পারস্পরিক নির্ভরতার যে বাস্তবতা, তা রা
১১ মিনিট আগেশীতে ঘনকুয়াশার কারণে ঢাকায় উড়োজাহাজ অবতরণে সমস্যা হলে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের টেকনাফে ট্রাক্টরচাপায় আবদুর রহমান (৩৭) নামে এক সরকারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বন্যার ফলে অনেক জায়গায় ফসলহানি হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল।
৫ ঘণ্টা আগে