নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দিয়ে তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চান, এই আরাম–আয়েশ আকাশ থেকে পড়েনি।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্যই করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে অনেক কথা। যে বিশেষ আইন করেছি, সেটা নিয়েও সমালোচনা শুনছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিশেষ আইন যদি না করতাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ না করলে আজকে বিদ্যুৎটা আসত কোথা থেকে? আমরা ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ যাতে পরিবেশবান্ধব হয় আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছি। নেপাল ও ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি।’
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০’ নামে বিশেষ আইন করেছে সরকার। যেটি ২০১০ সালের ৫৪ নং আইন হিসেবে চিহ্নিত। এই আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সংশোধনীতে এই আইনকে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ নামে অভিহিত করা হয়, যা ২০২১ সালের ২২ নং আইন নামে পরিচিত। এই আইনের মেয়াদ ১৬ বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। সরকার ক্ষমতাবলে এই আইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে।
অভিজাত এলাকায় লোডশেডিং দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লোডশেডিং! আমি বলে দিয়েছি আমার গ্রামে লোডশেডিং যেন না দেয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা, এসব বড়লোকদের এলাকায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে, এখন এয়ারকন্ডিশন, গাড়ি, লিফট ইত্যাদি আরাম–আয়েশটা, এটা যে আসমান থেকে পড়েনি। এটা আমাদের করা, সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তত লোডশেডিং বিত্তশালীদের দিতে হবে। এই ব্যবস্থাটা আমরা করব।’
জ্বালানি তেল মজুত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর জ্বালানি উন্নয়ন তহবিলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমানে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে হবে। এ খাতে আমরা কেন ভর্তুকি দেব? বেশি বেশি এয়ারকন্ডিশন, ফ্রিজ, লিফট চলার জন্য দেব? তা তো দেব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যেটা করার দরকার সেটা করব। যে যত বেশি ব্যবহার করবে তাকে উৎপাদনের খরচটা অবশ্যই দিতে হবে। তবে আমরা হঠাৎ করে এটা করছি না। সহনশীল করে ধীরে ধীরে এটা করা হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবস্থা আমরা করছি। আমরা এলএনজিতে ভর্তুকি দিই। ভবিষ্যতে সেই ভর্তুকি দেওয়া হবে না।’
মেট্রোরেল নির্মাণের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে এই প্রকল্পের সমালোচকদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলে ২ লাখ ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। কিছু অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, মানে আঁতেল আরকি। বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন যাঁরা—তাঁরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের কী প্রয়োজন ছিল? ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ না করে মেট্রোরেল না করলেই চলত। এটা তো অপচয়। ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বাস কিনলেই তো যানজট মুক্ত হবে। এই হলো বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি! এখন মেট্রোরেল মানুষের জীবন বিশেষ করে মহিলাদের জন্য সব থেকে নিরাপদে চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে। বুদ্ধিজীবীরা এখন কী বলবেন সেটা আমার একটু জানতে ইচ্ছে করে। তাঁদের সঙ্গে দেখা হলে একটু জিজ্ঞাসা করতে পারতাম।’
ফেনী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা হলে সাগরপাড় দিয়ে গাড়িতে করে একেবারে কক্সবাজার পৌঁছে যাবে। সেই ব্যবস্থা করার ইচ্ছে আমাদের আছে। এতে করে মীরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শিল্পবাণিজ্য ও পর্যটন বিকশিত হবে।’
২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে। ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এখানে রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, কৃষক-শ্রমিক, সকলেই এটাতে যুক্ত হতে পারেন। যেটা তাঁদের বয়সকালে সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দিয়ে তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চান, এই আরাম–আয়েশ আকাশ থেকে পড়েনি।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্যই করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে অনেক কথা। যে বিশেষ আইন করেছি, সেটা নিয়েও সমালোচনা শুনছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিশেষ আইন যদি না করতাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ না করলে আজকে বিদ্যুৎটা আসত কোথা থেকে? আমরা ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ যাতে পরিবেশবান্ধব হয় আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছি। নেপাল ও ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি।’
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০’ নামে বিশেষ আইন করেছে সরকার। যেটি ২০১০ সালের ৫৪ নং আইন হিসেবে চিহ্নিত। এই আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সংশোধনীতে এই আইনকে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ নামে অভিহিত করা হয়, যা ২০২১ সালের ২২ নং আইন নামে পরিচিত। এই আইনের মেয়াদ ১৬ বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। সরকার ক্ষমতাবলে এই আইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে।
অভিজাত এলাকায় লোডশেডিং দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লোডশেডিং! আমি বলে দিয়েছি আমার গ্রামে লোডশেডিং যেন না দেয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা, এসব বড়লোকদের এলাকায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে, এখন এয়ারকন্ডিশন, গাড়ি, লিফট ইত্যাদি আরাম–আয়েশটা, এটা যে আসমান থেকে পড়েনি। এটা আমাদের করা, সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তত লোডশেডিং বিত্তশালীদের দিতে হবে। এই ব্যবস্থাটা আমরা করব।’
জ্বালানি তেল মজুত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর জ্বালানি উন্নয়ন তহবিলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমানে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে হবে। এ খাতে আমরা কেন ভর্তুকি দেব? বেশি বেশি এয়ারকন্ডিশন, ফ্রিজ, লিফট চলার জন্য দেব? তা তো দেব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যেটা করার দরকার সেটা করব। যে যত বেশি ব্যবহার করবে তাকে উৎপাদনের খরচটা অবশ্যই দিতে হবে। তবে আমরা হঠাৎ করে এটা করছি না। সহনশীল করে ধীরে ধীরে এটা করা হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবস্থা আমরা করছি। আমরা এলএনজিতে ভর্তুকি দিই। ভবিষ্যতে সেই ভর্তুকি দেওয়া হবে না।’
মেট্রোরেল নির্মাণের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে এই প্রকল্পের সমালোচকদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলে ২ লাখ ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। কিছু অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, মানে আঁতেল আরকি। বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন যাঁরা—তাঁরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের কী প্রয়োজন ছিল? ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ না করে মেট্রোরেল না করলেই চলত। এটা তো অপচয়। ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বাস কিনলেই তো যানজট মুক্ত হবে। এই হলো বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি! এখন মেট্রোরেল মানুষের জীবন বিশেষ করে মহিলাদের জন্য সব থেকে নিরাপদে চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে। বুদ্ধিজীবীরা এখন কী বলবেন সেটা আমার একটু জানতে ইচ্ছে করে। তাঁদের সঙ্গে দেখা হলে একটু জিজ্ঞাসা করতে পারতাম।’
ফেনী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা হলে সাগরপাড় দিয়ে গাড়িতে করে একেবারে কক্সবাজার পৌঁছে যাবে। সেই ব্যবস্থা করার ইচ্ছে আমাদের আছে। এতে করে মীরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শিল্পবাণিজ্য ও পর্যটন বিকশিত হবে।’
২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে। ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এখানে রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, কৃষক-শ্রমিক, সকলেই এটাতে যুক্ত হতে পারেন। যেটা তাঁদের বয়সকালে সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে।
দেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
২ মিনিট আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে