ঢাবি প্রতিনিধি
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-সহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে বিবস্ত্র করা এবং গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সারজিস আলম।
আজ শুক্রবার সকালে অমর একুশে হলের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো কর্তৃপক্ষ নয়, বরং একটি প্রেশার গ্রুপ। দুর্নীতিবাজ বা ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি তুলতে পারি, কিন্তু এটি করতে বাধ্য করতে পারি না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ ধরনের কোনো কিছুকে প্রোমোট করে না। যে কেউ একজন কোনো একটি হোস্টেলে গিয়ে সার্চ করবে, কোনো একটি আবাসিক হোটেলে যাবে, কোনো একজন অধ্যাপককে জোর করে নামিয়ে দেবে, আমরা এগুলো সমর্থন করি না।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছি, যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে, মতপ্রকাশ করতে পারবে। যিনি যেই ধারায় বিশ্বাসী, সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবে—এই স্বাধীনতাগুলো থাকবে। গতকাল আমরা এমন বেশ কিছু চিত্র দেখেছি, আমার বাবার বয়সী একজনকে কান ধরে ওঠবস করানো হচ্ছে, আমার বাবার বয়সী একজনকে বিবস্ত্র করা হয়েছে এবং লোকজন যাচ্ছেতাই বলেছে, অসংখ্য মানুষের ফোন চেক করা হচ্ছে, আমার মায়ের বয়সী একজনের গায়ে হাত তোলা হয়েছে এবং সাংবাদিক ভাইবোনদের ওপর হামলার বিভিন্ন ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। গত ১৬ বছরেও অসংখ্য এ রকম ঘটনা ঘটেছে, এগুলো থেকে মুক্তির জন্য আমাদের গণ-অভ্যুত্থান।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের সবাই একসঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। আমরা স্পষ্ট বলছি, আমরা খুঁজছি যে এসব ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়ক যুক্ত আছেন কি না। পুরো বাংলাদেশে এসব ঘটনার সঙ্গে একজন সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়কের যুক্ততা পাওয়া গেলে, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে, তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টিম থেকে বহিষ্কার করব, এটি আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি প্রেশার গ্রুপ হিসেবে আইনগত সহযোগিতা করার জন্য যা করা প্রয়োজন, সেই কাজটি করবে। আমাদের যে দুজন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আছেন, তাঁদের মাধ্যমে যেভাবে বিচার নিশ্চিত করা যায়, আমরা সেই কাজটি করব।’
‘যেখানে যখন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিম আসবে, তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে ছাত্রসমাজকে সেখান থেকে সরে যেতে হবে। আপনাদের অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাসে ফিরে যেতে হবে। এটি আমাদের সুস্পষ্ট বার্তা’, বলে উল্লেখ করেন এ সমন্বয়ক।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ধানমন্ডি ৩২-এ গিয়েছিলেন। তাঁর গাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সারজিস আলম বলেন, ‘তিনি যে রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন, যে ব্যক্তিকে অনুসরণ করেন, অনুসরণযোগ্য না হলে আমরা তাঁকে বয়কট করতে পারি। কিন্তু তাঁর গাড়িতে হামলা করা, গায়ে হাত তোলার অথোরিটি আমরা কেউ না। আমরা সব সময় বলেছি, যেটি ন্যায্য সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-সহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে বিবস্ত্র করা এবং গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সারজিস আলম।
আজ শুক্রবার সকালে অমর একুশে হলের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো কর্তৃপক্ষ নয়, বরং একটি প্রেশার গ্রুপ। দুর্নীতিবাজ বা ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি তুলতে পারি, কিন্তু এটি করতে বাধ্য করতে পারি না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ ধরনের কোনো কিছুকে প্রোমোট করে না। যে কেউ একজন কোনো একটি হোস্টেলে গিয়ে সার্চ করবে, কোনো একটি আবাসিক হোটেলে যাবে, কোনো একজন অধ্যাপককে জোর করে নামিয়ে দেবে, আমরা এগুলো সমর্থন করি না।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছি, যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে, মতপ্রকাশ করতে পারবে। যিনি যেই ধারায় বিশ্বাসী, সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবে—এই স্বাধীনতাগুলো থাকবে। গতকাল আমরা এমন বেশ কিছু চিত্র দেখেছি, আমার বাবার বয়সী একজনকে কান ধরে ওঠবস করানো হচ্ছে, আমার বাবার বয়সী একজনকে বিবস্ত্র করা হয়েছে এবং লোকজন যাচ্ছেতাই বলেছে, অসংখ্য মানুষের ফোন চেক করা হচ্ছে, আমার মায়ের বয়সী একজনের গায়ে হাত তোলা হয়েছে এবং সাংবাদিক ভাইবোনদের ওপর হামলার বিভিন্ন ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। গত ১৬ বছরেও অসংখ্য এ রকম ঘটনা ঘটেছে, এগুলো থেকে মুক্তির জন্য আমাদের গণ-অভ্যুত্থান।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের সবাই একসঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। আমরা স্পষ্ট বলছি, আমরা খুঁজছি যে এসব ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়ক যুক্ত আছেন কি না। পুরো বাংলাদেশে এসব ঘটনার সঙ্গে একজন সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়কের যুক্ততা পাওয়া গেলে, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে, তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টিম থেকে বহিষ্কার করব, এটি আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি প্রেশার গ্রুপ হিসেবে আইনগত সহযোগিতা করার জন্য যা করা প্রয়োজন, সেই কাজটি করবে। আমাদের যে দুজন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আছেন, তাঁদের মাধ্যমে যেভাবে বিচার নিশ্চিত করা যায়, আমরা সেই কাজটি করব।’
‘যেখানে যখন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিম আসবে, তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে ছাত্রসমাজকে সেখান থেকে সরে যেতে হবে। আপনাদের অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাসে ফিরে যেতে হবে। এটি আমাদের সুস্পষ্ট বার্তা’, বলে উল্লেখ করেন এ সমন্বয়ক।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ধানমন্ডি ৩২-এ গিয়েছিলেন। তাঁর গাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সারজিস আলম বলেন, ‘তিনি যে রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন, যে ব্যক্তিকে অনুসরণ করেন, অনুসরণযোগ্য না হলে আমরা তাঁকে বয়কট করতে পারি। কিন্তু তাঁর গাড়িতে হামলা করা, গায়ে হাত তোলার অথোরিটি আমরা কেউ না। আমরা সব সময় বলেছি, যেটি ন্যায্য সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৫ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১১ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১২ ঘণ্টা আগে