নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলা একাডেমিতে দুবার আবেদন করেও সদস্যপদ পাননি বলে জানিয়েছেন সলিমুল্লাহ খান। তিনি অনুযোগ করেন, ‘দুবার বাংলা একাডেমির সাধারণ সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি একাডেমি। এমনকি একাডেমির লেখক অভিধানেও নাম লিপিবদ্ধ হয়নি।’
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক বিপ্লবে কবিতা ও কবিদের কবিতা পাঠ’ শিরোনামে আলোচনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০০৯ সালে জাতীয় কবিতা পরিষদের জাতীয় কবিতা উৎসবে শামসুর রাহমানের ‘স্যামসন’ কবিতা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন সলিমুল্লাহ খান। সেদিন প্রয়াত কবি রফিক আজাদের নেতৃত্বে একদল তরুণ কবি তাঁকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর থেকে সলিমুল্লাহ খান জাতীয় কবিতা পরিষদের কোনো আয়োজনে আসেননি।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে গণতন্ত্র শব্দটিকে অর্থহীন করে দিয়েছে। গণতন্ত্র শব্দটির মর্ম কথাই ফ্যাসিবাদ গুম করে দিয়েছে। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম থাকায় গণতন্ত্র শব্দটিই গুম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। দেশের সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে, গণতন্ত্র তিরোহিত করে জনগণকে নির্যাতনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে কেবল নির্যাতন করে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। যে শাসনব্যবস্থা দিনের পর দিন মানুষের অধিকার খর্ব করে। মানুষকে গুম করে রাখে। সেটি কি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ছিল, এই প্রশ্ন রাখেন সলিমুল্লাহ খান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, সেসব সমালোচকদের প্রসঙ্গে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘অনেকে বলছেন এটি তো রাজনৈতিক সরকার নয়। এটি সংবিধানসম্মত সরকারও নয়। তাদের বলছি, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানই এই সরকারের বৈধতা দিয়েছে। আর যে সংবিধানের কথা বলা হচ্ছে সেটিও নিজেই নিজেকে বিলুপ্ত করেছে। সংবিধানের মূল কথা ছিল, মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সবাই তার প্রতিভা অনুসারে ফলাফল পাবে। সেটি কি হয়েছে?’
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘তিন ধরনের শাসনব্যবস্থার মধ্যে সমাজতন্ত্র যখন অধোগতির দিকে যায়, তখন সেটিকে আমরা গণতন্ত্র বলি। গণতন্ত্রের এই যুগে আমরা তো কেবল স্বৈরতন্ত্রই দেখছি। আমরা যে গণতান্ত্রিক বিপ্লবের কথা বলছি, সেটি আসবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সব ধরনের বৈষম্য যদি দূর করতে পারি। কিন্তু সেটি বেশ দীর্ঘ প্রক্রিয়া। স্বল্প সময়ে যেটি করতে পারি, সেটি হলো আমরা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারি, যেখানে তারা একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন। তাহলে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল হবে।’
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে অনেকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগও এনেছেন আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘এই আন্দোলন-সংগ্রামের হোতাদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের দুষ্কৃতকারী, জঙ্গি বলা হয়েছে। কিন্তু যারা ক্ষমতা ধরে রেখে দীর্ঘদিন জনগণের ওপর অত্যাচার করেছে তারাই তো আসলে জঙ্গি।’
জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে জাতীয় কবিতার পরিষদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে আন্দোলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের ভূমিকা কী ছিল? তারা মানুষের মনের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারেননি। তারা তো আসলে কবি নন, হয়ে গেছেন আমলা। কবিদের কাজ তো শুধু কবিতা লেখা না, সমাজেও তো তাদের ভূমিকা থাকা দরকার।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হান। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সদস্যসচিব কবি রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন। বক্তা হিসেবে ছিলেন গীতিকবি শহীদুল্লাহ্ ফরাজী ও মনিরুল ইসলাম মনি।
কবি মোহন রায়হান বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহযোগী কবিরা আজকে পালিয়ে গেছে। অথচ কবিদের পালিয়ে যাওয়ার কথা না। কবিরা তো জাতির বিবেকের প্রতীক, তারা সততা, প্রেম ও দ্রোহের প্রতীক। কবিরা এ দেশে স্বৈরাচারের পুনর্বাসন দেখতে চায় না। আমরা কোনো স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের ক্ষমতায় দেখতে চাই না। শুধু কবিতা লিখেই ক্ষান্ত হবেন না কবিরা। তারা দেশ ও সমাজের পুনর্গঠনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।’
বাংলা একাডেমিতে দুবার আবেদন করেও সদস্যপদ পাননি বলে জানিয়েছেন সলিমুল্লাহ খান। তিনি অনুযোগ করেন, ‘দুবার বাংলা একাডেমির সাধারণ সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি একাডেমি। এমনকি একাডেমির লেখক অভিধানেও নাম লিপিবদ্ধ হয়নি।’
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক বিপ্লবে কবিতা ও কবিদের কবিতা পাঠ’ শিরোনামে আলোচনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০০৯ সালে জাতীয় কবিতা পরিষদের জাতীয় কবিতা উৎসবে শামসুর রাহমানের ‘স্যামসন’ কবিতা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন সলিমুল্লাহ খান। সেদিন প্রয়াত কবি রফিক আজাদের নেতৃত্বে একদল তরুণ কবি তাঁকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর থেকে সলিমুল্লাহ খান জাতীয় কবিতা পরিষদের কোনো আয়োজনে আসেননি।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে গণতন্ত্র শব্দটিকে অর্থহীন করে দিয়েছে। গণতন্ত্র শব্দটির মর্ম কথাই ফ্যাসিবাদ গুম করে দিয়েছে। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম থাকায় গণতন্ত্র শব্দটিই গুম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। দেশের সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে, গণতন্ত্র তিরোহিত করে জনগণকে নির্যাতনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে কেবল নির্যাতন করে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। যে শাসনব্যবস্থা দিনের পর দিন মানুষের অধিকার খর্ব করে। মানুষকে গুম করে রাখে। সেটি কি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ছিল, এই প্রশ্ন রাখেন সলিমুল্লাহ খান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, সেসব সমালোচকদের প্রসঙ্গে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘অনেকে বলছেন এটি তো রাজনৈতিক সরকার নয়। এটি সংবিধানসম্মত সরকারও নয়। তাদের বলছি, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানই এই সরকারের বৈধতা দিয়েছে। আর যে সংবিধানের কথা বলা হচ্ছে সেটিও নিজেই নিজেকে বিলুপ্ত করেছে। সংবিধানের মূল কথা ছিল, মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সবাই তার প্রতিভা অনুসারে ফলাফল পাবে। সেটি কি হয়েছে?’
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘তিন ধরনের শাসনব্যবস্থার মধ্যে সমাজতন্ত্র যখন অধোগতির দিকে যায়, তখন সেটিকে আমরা গণতন্ত্র বলি। গণতন্ত্রের এই যুগে আমরা তো কেবল স্বৈরতন্ত্রই দেখছি। আমরা যে গণতান্ত্রিক বিপ্লবের কথা বলছি, সেটি আসবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সব ধরনের বৈষম্য যদি দূর করতে পারি। কিন্তু সেটি বেশ দীর্ঘ প্রক্রিয়া। স্বল্প সময়ে যেটি করতে পারি, সেটি হলো আমরা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারি, যেখানে তারা একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন। তাহলে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল হবে।’
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে অনেকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগও এনেছেন আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘এই আন্দোলন-সংগ্রামের হোতাদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের দুষ্কৃতকারী, জঙ্গি বলা হয়েছে। কিন্তু যারা ক্ষমতা ধরে রেখে দীর্ঘদিন জনগণের ওপর অত্যাচার করেছে তারাই তো আসলে জঙ্গি।’
জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে জাতীয় কবিতার পরিষদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে আন্দোলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের ভূমিকা কী ছিল? তারা মানুষের মনের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারেননি। তারা তো আসলে কবি নন, হয়ে গেছেন আমলা। কবিদের কাজ তো শুধু কবিতা লেখা না, সমাজেও তো তাদের ভূমিকা থাকা দরকার।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হান। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সদস্যসচিব কবি রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন। বক্তা হিসেবে ছিলেন গীতিকবি শহীদুল্লাহ্ ফরাজী ও মনিরুল ইসলাম মনি।
কবি মোহন রায়হান বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহযোগী কবিরা আজকে পালিয়ে গেছে। অথচ কবিদের পালিয়ে যাওয়ার কথা না। কবিরা তো জাতির বিবেকের প্রতীক, তারা সততা, প্রেম ও দ্রোহের প্রতীক। কবিরা এ দেশে স্বৈরাচারের পুনর্বাসন দেখতে চায় না। আমরা কোনো স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের ক্ষমতায় দেখতে চাই না। শুধু কবিতা লিখেই ক্ষান্ত হবেন না কবিরা। তারা দেশ ও সমাজের পুনর্গঠনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৫ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১১ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১২ ঘণ্টা আগে