আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একটি প্রকল্প নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রকল্পের নাম ‘জেলা শহরে বিদ্যমান মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রকে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট (৫০ শয্যায় উন্নীতকরণযোগ্য) মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ ও উন্নীতকরণ।’ এর জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। বিপুল ব্যয়ের একই প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পের মধ্যে লুটপাটের ছক দেখছে কমিশন, পেয়েছে অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ উদ্যোগ ও অস্বাভাবিক ব্যয়ের তথ্য। এ কারণে নতুন করে পরিকল্পনা দিতে বলা হয়েছে।
প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুলাই পর্যন্ত। এটি বাস্তবায়ন করবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। প্রকল্পের নির্বাহক হিসেবে কাজ করবে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। নির্ধারিত ২ হাজার ৭৭৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার পুরোটাই অর্থায়ন করবে সরকার (জিওবি)। প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে দেশের ৫১টি জেলা সদর পৌরসভা, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে।
প্রকল্পের বিষয়ে বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা ডাকে পরিকল্পনা কমিশন। সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় নয়তলা ফাউন্ডেশনে ৬২টি আটতলাবিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র (চিকিৎসক, নার্স ও ডরমিটরিসহ) নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভবনের আকার ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৬৩৫ বর্গফুট। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। এর সঙ্গে পাসেঞ্জার, বেড ও লিফটের খরচ যোগ করে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ৮৪ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, ‘এসব ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফার্নিচার ও লিফট বাদে প্রতি বর্গফুটের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৫৪ টাকা, যা অত্যধিক বলে প্রতীয়মান হয়েছে।’
প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায় বিদ্যমান মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের সম্প্রসারণ কাজেও অসংগতি তুলে ধরে পিইসি। এ নিয়ে সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ‘গাজীপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের দোতলাবিশিষ্ট বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন নির্মাণে প্রতি বর্গফুটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬৯৬ টাকা। গাজীপুর ও মানিকগঞ্জে একই সমান খরচ দেখানো হয়েছে, যা অত্যন্ত বেশি বলে প্রতীয়মান হয়।’
গাজীপুরের বিদ্যমান ক্লিনিক বিল্ডিংয়ের তিনতলা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। প্রতি বর্গফুটের ব্যয় ৪ হাজার ২৫৬ টাকা। পিইসি বলছে, এই ভবনের ক্ষেত্রে নতুন ফাউন্ডেশনের দরকার নেই। ফলে ব্যয় অনেক বেশি।
মেডিকেল অফিসারদের জন্য বিদ্যমান আবাসিক ভবনের চারতলা পর্যন্ত (তিন ও চারতলা) ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টাকা, প্রতি বর্গফুটে খরচ ৪ হাজার ৮৮ টাকা। নতুনভাবে ফাউন্ডেশন ব্যয় নেই। তার পরও প্রতি ফ্লোরে যে ব্যয় ধরা হয়েছে, তা অনেক বেশি।
নার্স কোয়ার্টারের চতুর্থ তলা (তৃতীয় ও চতুর্থ তলা) পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪ লাখ টাকা, প্রতি বর্গফুটে ব্যয় ৪ হাজার ১১১ টাকা। এটাকেও অনেক বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এদিকে, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে বিভিন্ন আবাসিক ও অনাবাসিক ভবনের সংস্কার বা পুনর্নির্মাণে ব্যয় ৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অনেক উপকরণে বরাদ্দ থোক হিসেবে রাখা হয়েছে। ব্যয়ও অনেক বেশি বলে মনে করে পিইসি।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের রেট শিডিউল ২০২৩ অনুযায়ী প্রকল্পের আসবাব কেনার প্রাথমিক ব্যয় ৪৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ২৫ হাজার ৫৩৬টি আসবাব কেনা হবে। তবে আসবাবের সংখ্যা ও ব্যয় প্রাক্কলন অসামঞ্জস্য বলে মনে করছে পিইসি। এ ক্ষেত্রে একজন বাইরের সদস্য নিয়ে কমপক্ষে তিন সদস্যের একটি বাজারদর কমিটির মাধ্যমে ক্রয় ও ব্যয় নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
পিইসি বলছে, প্রকল্পে ৪ দশমিক ৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ১৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে লিখিত ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) পাওয়া যায়নি। পরিপত্র অনুসারে, প্রস্তাবিত জমির স্থিরচিত্র ডিপিপিতে রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা পাওয়া যায়নি।
প্রকল্প চলাকালীন হাসপাতালের কার্যক্রম চালানোর জন্য ভবনভাড়া ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছে পিইসি।
এ ছাড়া প্রকল্পে মোট ১৩৬টি প্যাকেজ রয়েছে এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৮টি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্যাকেজের সংখ্যা অত্যধিক বলে মনে করছে পিইসি। আর প্যাকেজ ও যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে সংখ্যা ও মূল্য পুনরায় নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্বাস্থ্য অনুবিভাগের যুগ্মপ্রধান মানস মিত্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পরিষ্কার সিদ্ধান্ত, পুরো প্রকল্পই পুনরায় করতে বলা হয়েছে। প্রতি ইউনিটে যে খরচ দেখানো হয়েছে, সেটা খুবই বেশি। আর প্রকল্প খরচও বেশি।’
প্রকল্পের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উদ্যোগ দেখেন মানস মিত্র। তিনি বলেন, সব জায়গায় একই পরিমাণ ভবন নির্মাণ, শয্যা বাড়ানো ও লজিস্টিক ব্যয় তুলে ধরা হয়েছে। তবে চাহিদার ভিত্তিতে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নির্মাণ ও ব্যয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একটি প্রকল্প নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রকল্পের নাম ‘জেলা শহরে বিদ্যমান মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রকে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট (৫০ শয্যায় উন্নীতকরণযোগ্য) মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ ও উন্নীতকরণ।’ এর জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। বিপুল ব্যয়ের একই প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পের মধ্যে লুটপাটের ছক দেখছে কমিশন, পেয়েছে অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ উদ্যোগ ও অস্বাভাবিক ব্যয়ের তথ্য। এ কারণে নতুন করে পরিকল্পনা দিতে বলা হয়েছে।
প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুলাই পর্যন্ত। এটি বাস্তবায়ন করবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। প্রকল্পের নির্বাহক হিসেবে কাজ করবে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। নির্ধারিত ২ হাজার ৭৭৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার পুরোটাই অর্থায়ন করবে সরকার (জিওবি)। প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে দেশের ৫১টি জেলা সদর পৌরসভা, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে।
প্রকল্পের বিষয়ে বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা ডাকে পরিকল্পনা কমিশন। সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় নয়তলা ফাউন্ডেশনে ৬২টি আটতলাবিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র (চিকিৎসক, নার্স ও ডরমিটরিসহ) নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভবনের আকার ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৬৩৫ বর্গফুট। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। এর সঙ্গে পাসেঞ্জার, বেড ও লিফটের খরচ যোগ করে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ৮৪ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, ‘এসব ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফার্নিচার ও লিফট বাদে প্রতি বর্গফুটের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৫৪ টাকা, যা অত্যধিক বলে প্রতীয়মান হয়েছে।’
প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায় বিদ্যমান মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের সম্প্রসারণ কাজেও অসংগতি তুলে ধরে পিইসি। এ নিয়ে সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ‘গাজীপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের দোতলাবিশিষ্ট বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন নির্মাণে প্রতি বর্গফুটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬৯৬ টাকা। গাজীপুর ও মানিকগঞ্জে একই সমান খরচ দেখানো হয়েছে, যা অত্যন্ত বেশি বলে প্রতীয়মান হয়।’
গাজীপুরের বিদ্যমান ক্লিনিক বিল্ডিংয়ের তিনতলা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। প্রতি বর্গফুটের ব্যয় ৪ হাজার ২৫৬ টাকা। পিইসি বলছে, এই ভবনের ক্ষেত্রে নতুন ফাউন্ডেশনের দরকার নেই। ফলে ব্যয় অনেক বেশি।
মেডিকেল অফিসারদের জন্য বিদ্যমান আবাসিক ভবনের চারতলা পর্যন্ত (তিন ও চারতলা) ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টাকা, প্রতি বর্গফুটে খরচ ৪ হাজার ৮৮ টাকা। নতুনভাবে ফাউন্ডেশন ব্যয় নেই। তার পরও প্রতি ফ্লোরে যে ব্যয় ধরা হয়েছে, তা অনেক বেশি।
নার্স কোয়ার্টারের চতুর্থ তলা (তৃতীয় ও চতুর্থ তলা) পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪ লাখ টাকা, প্রতি বর্গফুটে ব্যয় ৪ হাজার ১১১ টাকা। এটাকেও অনেক বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এদিকে, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে বিভিন্ন আবাসিক ও অনাবাসিক ভবনের সংস্কার বা পুনর্নির্মাণে ব্যয় ৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অনেক উপকরণে বরাদ্দ থোক হিসেবে রাখা হয়েছে। ব্যয়ও অনেক বেশি বলে মনে করে পিইসি।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের রেট শিডিউল ২০২৩ অনুযায়ী প্রকল্পের আসবাব কেনার প্রাথমিক ব্যয় ৪৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ২৫ হাজার ৫৩৬টি আসবাব কেনা হবে। তবে আসবাবের সংখ্যা ও ব্যয় প্রাক্কলন অসামঞ্জস্য বলে মনে করছে পিইসি। এ ক্ষেত্রে একজন বাইরের সদস্য নিয়ে কমপক্ষে তিন সদস্যের একটি বাজারদর কমিটির মাধ্যমে ক্রয় ও ব্যয় নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
পিইসি বলছে, প্রকল্পে ৪ দশমিক ৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ১৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে লিখিত ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) পাওয়া যায়নি। পরিপত্র অনুসারে, প্রস্তাবিত জমির স্থিরচিত্র ডিপিপিতে রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা পাওয়া যায়নি।
প্রকল্প চলাকালীন হাসপাতালের কার্যক্রম চালানোর জন্য ভবনভাড়া ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছে পিইসি।
এ ছাড়া প্রকল্পে মোট ১৩৬টি প্যাকেজ রয়েছে এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৮টি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্যাকেজের সংখ্যা অত্যধিক বলে মনে করছে পিইসি। আর প্যাকেজ ও যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে সংখ্যা ও মূল্য পুনরায় নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্বাস্থ্য অনুবিভাগের যুগ্মপ্রধান মানস মিত্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পরিষ্কার সিদ্ধান্ত, পুরো প্রকল্পই পুনরায় করতে বলা হয়েছে। প্রতি ইউনিটে যে খরচ দেখানো হয়েছে, সেটা খুবই বেশি। আর প্রকল্প খরচও বেশি।’
প্রকল্পের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উদ্যোগ দেখেন মানস মিত্র। তিনি বলেন, সব জায়গায় একই পরিমাণ ভবন নির্মাণ, শয্যা বাড়ানো ও লজিস্টিক ব্যয় তুলে ধরা হয়েছে। তবে চাহিদার ভিত্তিতে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নির্মাণ ও ব্যয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১২ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৪ ঘণ্টা আগে