নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বর্তমানে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে এটা খুব আকস্মিক বা হঠাৎ করে হয়নি, এই সংকট পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস ও জ্বালানি সংকটের জনগণ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ভর্তুকি মেটাতে বেশি দাম জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে আনু মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ একটা সংকটের মধ্যে আছে। এই পরিস্থিতিতে একটা গোষ্ঠী লাভবান হচ্ছে। সরকার বা প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিদ্যুৎ খাতে আমাদের প্রচুর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এখনো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সামনেও ভর্তুকি দিতে হবে সুতরাং আমাদের বিদ্যুতের দামও বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বলে বাড়ালেও, যখন কমে তখন সরকার দাম কমায় না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আনু মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘সক্ষমতা অর্জন করে উৎপাদন না করে গত ১১ বছরে টাকা দেওয়া হয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা। অনেক কোম্পানি গড়ে উঠেছে। দেশি-বিদেশি বারোটা এ রকম কোম্পানিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। সাত হাজার কোটি টাকার শুধুই বারোটা কোম্পানি নিয়েছে।’
দেশ এখন খাদের কিনারে বলে মন্তব্য করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা সংকটের মধ্যে আছি। আরও ভয়াবহ সংকটের দিকে যাব। আমরা খাদের কিনারায় এসে গিয়েছি, জানি না এর পরিণতি কি হবে। দেশে এখন চলছে ভাই ব্রাদার তন্ত্র। সেই সঙ্গে আছে মতলব বাজির উন্নয়ন। যার মধ্যে আমরা নিপতিত হয়েছি।’
আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম। প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ভারতের রাজ্য ত্রিপুরা ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। তারা কূপ খনন করেছে ১৭০ টি। অথচ ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটারে কূপ খননের সংখ্যা মাত্র ৯৮ টি। বাংলাদেশের সাগরে ২৬টি গ্যাস ক্ষেত্র আছে। অথচ বাংলাদেশ এখনো উত্তোলনে যেতে পারিনি। ওদিকে মিয়ানমার যে উত্তোলন করছে, সেটা খুব দূরে নয়। তিনি বলেন, ‘সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের অনেকেই বলেন, মিয়ানমার গত ১০ বছরে গ্যাস পায়নি। যা পাওয়ার অনেক আগে পেয়েছে। কিন্তু এ কথা অসত্য। মিয়ানমার গত দুই তিন বছর আগেও গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে।’
বদরুল ইমাম আরও বলেন, কেউ যদি বলে আমাদের সমুদ্রের অবস্থা আমরা জানি না। এটা ভুল কথা। আমাদের রিজার্ভ ও রিসোর্স নিয়ে অনেক গবেষণা আছে। জিয়োলোজিস্টের উদাহরণ দিয়ে বলেন, মাটির নিচে গ্যাস নাই। এটা বলা উচিত না। তার চেয়ে বরং বাংলাদেশের অনাবিষ্কৃত বিজ্ঞানভিত্তিক অ্যাসেসমেন্ট দেখে কথা বলেন। ওপর মহল কিংবা নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে অনেকেই বলেন, দেশে গ্যাস নেই কিংবা যা আছে তা উত্তোলনের জন্য যথেষ্ট না। আমদানি করেই চলতে হবে। জনগণের সামনে এসব কথা বলার আগে আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সরকারের লুটপাট ও ক্ষমতাবানদের খুশি করার প্রেক্ষিতে জ্বালানি খাতে সক্ষমতা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘জ্বালানির যেই সংকটে আমরা আছি। সেই সংকট আমাদের অনিবার্য ছিল না। এটা অনিবার্য করে তোলা হয়েছে। একসময় বলা হয়েছিল বাংলাদেশ গ্যাসের ওপরে ভাসছে। এর পেছনে একটা উদ্যেশ্য ছিল যে গ্যাসটা রপ্তানি করা। আমরা আন্দোলন করে গ্যাস রপ্তানি ঠেকিয়ে দিতে পেরেছিলাম। এরপরে বলা হলো আমাদের গ্যাস নাই এবং পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের পুরো ব্যবস্থাটাকে আমদানি নির্ভর করে তোলা। অনুকূল পরিবেশে টিকে থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যেই ব্যবস্থাপনা ধসে পরে সেটা তো কোন পরিকল্পনার মধ্যে পরে না।’
দেশে বর্তমানে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে এটা খুব আকস্মিক বা হঠাৎ করে হয়নি, এই সংকট পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস ও জ্বালানি সংকটের জনগণ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ভর্তুকি মেটাতে বেশি দাম জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে আনু মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ একটা সংকটের মধ্যে আছে। এই পরিস্থিতিতে একটা গোষ্ঠী লাভবান হচ্ছে। সরকার বা প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিদ্যুৎ খাতে আমাদের প্রচুর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এখনো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সামনেও ভর্তুকি দিতে হবে সুতরাং আমাদের বিদ্যুতের দামও বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বলে বাড়ালেও, যখন কমে তখন সরকার দাম কমায় না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আনু মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘সক্ষমতা অর্জন করে উৎপাদন না করে গত ১১ বছরে টাকা দেওয়া হয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা। অনেক কোম্পানি গড়ে উঠেছে। দেশি-বিদেশি বারোটা এ রকম কোম্পানিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। সাত হাজার কোটি টাকার শুধুই বারোটা কোম্পানি নিয়েছে।’
দেশ এখন খাদের কিনারে বলে মন্তব্য করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা সংকটের মধ্যে আছি। আরও ভয়াবহ সংকটের দিকে যাব। আমরা খাদের কিনারায় এসে গিয়েছি, জানি না এর পরিণতি কি হবে। দেশে এখন চলছে ভাই ব্রাদার তন্ত্র। সেই সঙ্গে আছে মতলব বাজির উন্নয়ন। যার মধ্যে আমরা নিপতিত হয়েছি।’
আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম। প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ভারতের রাজ্য ত্রিপুরা ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। তারা কূপ খনন করেছে ১৭০ টি। অথচ ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটারে কূপ খননের সংখ্যা মাত্র ৯৮ টি। বাংলাদেশের সাগরে ২৬টি গ্যাস ক্ষেত্র আছে। অথচ বাংলাদেশ এখনো উত্তোলনে যেতে পারিনি। ওদিকে মিয়ানমার যে উত্তোলন করছে, সেটা খুব দূরে নয়। তিনি বলেন, ‘সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের অনেকেই বলেন, মিয়ানমার গত ১০ বছরে গ্যাস পায়নি। যা পাওয়ার অনেক আগে পেয়েছে। কিন্তু এ কথা অসত্য। মিয়ানমার গত দুই তিন বছর আগেও গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে।’
বদরুল ইমাম আরও বলেন, কেউ যদি বলে আমাদের সমুদ্রের অবস্থা আমরা জানি না। এটা ভুল কথা। আমাদের রিজার্ভ ও রিসোর্স নিয়ে অনেক গবেষণা আছে। জিয়োলোজিস্টের উদাহরণ দিয়ে বলেন, মাটির নিচে গ্যাস নাই। এটা বলা উচিত না। তার চেয়ে বরং বাংলাদেশের অনাবিষ্কৃত বিজ্ঞানভিত্তিক অ্যাসেসমেন্ট দেখে কথা বলেন। ওপর মহল কিংবা নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে অনেকেই বলেন, দেশে গ্যাস নেই কিংবা যা আছে তা উত্তোলনের জন্য যথেষ্ট না। আমদানি করেই চলতে হবে। জনগণের সামনে এসব কথা বলার আগে আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সরকারের লুটপাট ও ক্ষমতাবানদের খুশি করার প্রেক্ষিতে জ্বালানি খাতে সক্ষমতা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘জ্বালানির যেই সংকটে আমরা আছি। সেই সংকট আমাদের অনিবার্য ছিল না। এটা অনিবার্য করে তোলা হয়েছে। একসময় বলা হয়েছিল বাংলাদেশ গ্যাসের ওপরে ভাসছে। এর পেছনে একটা উদ্যেশ্য ছিল যে গ্যাসটা রপ্তানি করা। আমরা আন্দোলন করে গ্যাস রপ্তানি ঠেকিয়ে দিতে পেরেছিলাম। এরপরে বলা হলো আমাদের গ্যাস নাই এবং পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের পুরো ব্যবস্থাটাকে আমদানি নির্ভর করে তোলা। অনুকূল পরিবেশে টিকে থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যেই ব্যবস্থাপনা ধসে পরে সেটা তো কোন পরিকল্পনার মধ্যে পরে না।’
ফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
৩ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১০ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
১১ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
১১ ঘণ্টা আগে