নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা হয়। সবশেষ পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা। বছরজুড়ে এসব বন্যায় অসুস্থতাসহ শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বন্যার কারণে ২ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথবা শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। বন্যায় কত মানুষ অসুস্থ হয়েছে, বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং মারা গেছে, তার একটি হিসাবও রয়েছে অধিদপ্তরের কাছে।
অধিদপ্তরের সেই তথ্য অনুসারে, চলতি বছর বন্যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগেছে ৪ হাজার ৭০০ জন।
১ হাজার ৪০০ মানুষকে সাপে কামড়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬০ হাজার মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। চোখের প্রদাহে ভুগেছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। আঘাতপ্রাপ্ত ১ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ১ লাখ ৩৬ হাজার জনের মধ্যে ২১ জন মারা গেছে। বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে মারা গেছে যথাক্রমে ৭ জন ও ৮৬ জন।
অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বন্যায় স্বাভাবিকভাবে পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। একই সঙ্গে পানিতে পড়ে, বজ্রপাত এবং সাপে দংশনের ঘটনায় মানুষ আহত ও মারা যায়। স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখতে বন্যার সময় উপদ্রুত এলাকায় জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। চলতি বছরের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৬ হাজার মেডিকেল টিম কাজ করেছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সরকারের ওই হিসাব অনুযায়ী, বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দারা। এই বিভাগের ১০ লাখের বেশি পরিবারের ৫৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ১ লাখ ৮৮ হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ও শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় এসব জটিলতায় পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার বাসিন্দা। মারা গেছে ২২ জন। বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে ফেনীতে ২৬ হাজার, নোয়াখালীতে ১১ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ১৬ হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে। মারা গেছে যথাক্রমে ১৭ জন, ১৮ জন ও ৩ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭১৪ জন অসুস্থ হয়, মারা যায় ৯ জন। চট্টগ্রামে অসুস্থ হয়েছে ৩১৩ জন, মারা গেছে ৫ জন। কক্সবাজারে অসুস্থ হয়েছে ১৫৬ জন, মারা গেছে ৩ জন।
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫৪ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে। মৌলভীবাজার ও সিলেটে ১০ জন করে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই জেলায় বন্যাকে কেন্দ্র করে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ হাজার ও ২০ হাজার। ময়মনসিংহে ১ হাজারের কিছু বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তথ্য দিয়েছে অধিদপ্তর। বিভাগটিতে ১৬ জন মারা গেছে। রংপুরে ১ হাজার ২ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়নি। তবে ঢাকা বিভাগে শতাধিক মানুষ বন্যায় স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়, সেসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চলতি বছরেও এমনটি দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে রাখা যায় না প্রকৃত হিসাব। বাংলাদেশের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালের অবকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। এ হাসপাতালগুলো যখন নির্মাণ করা হয়, তখন মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি।
গত আগস্টে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ ওই অঞ্চলের ১১ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। সে সময় চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৪২টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন হওয়ায় এগুলোর হিসাব জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত নয়। আর চলতি বছরে ফেনী ও কুমিল্লায় যে বন্যা হয়েছে, তার জন্য প্রস্তুতির সময় ছিল না। তবে বন্যা হলেই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অর্থ অবকাঠামো নির্মাণের সময় দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। একই সঙ্গে বন্যার সময় স্বাস্থ্যসেবা বলতে শুধু পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং খাওয়ার স্যালাইন নয়, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনেক কর্তাব্যক্তিই মানতে চান না। দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রমের অভাব রয়েছে।’
দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি ভালো হলে প্রাণহানি, অসুস্থতা ও আর্থিক ক্ষতি কমে যায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় বন্যায় অসুস্থতা কমেছে; তবে এখনো বহু দুর্বলতা রয়ে গেছে। ড্রেনেজ সিস্টেম (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ভালো নয়। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেওয়ার বিষয়টি এখনো দেখা যায়নি। এর পেছনে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দায়ী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যথাযথ উপযোগী করে তোলা জরুরি।’
বন্যার সময় সম্ভাব্য রোগের বিষয় বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুতি নেয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ দাউদ আদনান।
চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা হয়। সবশেষ পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা। বছরজুড়ে এসব বন্যায় অসুস্থতাসহ শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বন্যার কারণে ২ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথবা শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। বন্যায় কত মানুষ অসুস্থ হয়েছে, বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং মারা গেছে, তার একটি হিসাবও রয়েছে অধিদপ্তরের কাছে।
অধিদপ্তরের সেই তথ্য অনুসারে, চলতি বছর বন্যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগেছে ৪ হাজার ৭০০ জন।
১ হাজার ৪০০ মানুষকে সাপে কামড়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬০ হাজার মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। চোখের প্রদাহে ভুগেছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। আঘাতপ্রাপ্ত ১ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ১ লাখ ৩৬ হাজার জনের মধ্যে ২১ জন মারা গেছে। বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে মারা গেছে যথাক্রমে ৭ জন ও ৮৬ জন।
অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বন্যায় স্বাভাবিকভাবে পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। একই সঙ্গে পানিতে পড়ে, বজ্রপাত এবং সাপে দংশনের ঘটনায় মানুষ আহত ও মারা যায়। স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখতে বন্যার সময় উপদ্রুত এলাকায় জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। চলতি বছরের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৬ হাজার মেডিকেল টিম কাজ করেছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সরকারের ওই হিসাব অনুযায়ী, বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দারা। এই বিভাগের ১০ লাখের বেশি পরিবারের ৫৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ১ লাখ ৮৮ হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ও শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় এসব জটিলতায় পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার বাসিন্দা। মারা গেছে ২২ জন। বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে ফেনীতে ২৬ হাজার, নোয়াখালীতে ১১ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ১৬ হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে। মারা গেছে যথাক্রমে ১৭ জন, ১৮ জন ও ৩ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭১৪ জন অসুস্থ হয়, মারা যায় ৯ জন। চট্টগ্রামে অসুস্থ হয়েছে ৩১৩ জন, মারা গেছে ৫ জন। কক্সবাজারে অসুস্থ হয়েছে ১৫৬ জন, মারা গেছে ৩ জন।
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫৪ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে। মৌলভীবাজার ও সিলেটে ১০ জন করে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই জেলায় বন্যাকে কেন্দ্র করে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ হাজার ও ২০ হাজার। ময়মনসিংহে ১ হাজারের কিছু বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তথ্য দিয়েছে অধিদপ্তর। বিভাগটিতে ১৬ জন মারা গেছে। রংপুরে ১ হাজার ২ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়নি। তবে ঢাকা বিভাগে শতাধিক মানুষ বন্যায় স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়, সেসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চলতি বছরেও এমনটি দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে রাখা যায় না প্রকৃত হিসাব। বাংলাদেশের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালের অবকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। এ হাসপাতালগুলো যখন নির্মাণ করা হয়, তখন মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি।
গত আগস্টে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ ওই অঞ্চলের ১১ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। সে সময় চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৪২টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন হওয়ায় এগুলোর হিসাব জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত নয়। আর চলতি বছরে ফেনী ও কুমিল্লায় যে বন্যা হয়েছে, তার জন্য প্রস্তুতির সময় ছিল না। তবে বন্যা হলেই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অর্থ অবকাঠামো নির্মাণের সময় দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। একই সঙ্গে বন্যার সময় স্বাস্থ্যসেবা বলতে শুধু পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং খাওয়ার স্যালাইন নয়, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনেক কর্তাব্যক্তিই মানতে চান না। দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রমের অভাব রয়েছে।’
দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি ভালো হলে প্রাণহানি, অসুস্থতা ও আর্থিক ক্ষতি কমে যায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় বন্যায় অসুস্থতা কমেছে; তবে এখনো বহু দুর্বলতা রয়ে গেছে। ড্রেনেজ সিস্টেম (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ভালো নয়। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেওয়ার বিষয়টি এখনো দেখা যায়নি। এর পেছনে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দায়ী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যথাযথ উপযোগী করে তোলা জরুরি।’
বন্যার সময় সম্ভাব্য রোগের বিষয় বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুতি নেয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ দাউদ আদনান।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৫ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১১ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৩ ঘণ্টা আগে