নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মার্চে গ্যাসের সমস্যা কেটে যাওয়ার আশা প্রকাশ করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসের অভাবে রান্নাবান্না ছাড়াও কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। গ্যাস একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এই অসুবিধাটা খুবই সাময়িক। প্রচণ্ড শীতের কারণেও গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে যায়। এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাস্টিফিকেশন ইউনিট) আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে চালু হবে। তখন সিস্টেমে আরও ৪০০ এমএমসিএফ গ্যাস ঢুকবে। আগামী মার্চ থেকে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রমজান সামনে রেখে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
বিবিয়ানা গ্যাসের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে প্রচুর গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিবিয়ানার ফ্ল্যাঙ্ক এলাকায় ১ দশমিক ৬ টিসিএফ গ্যাসের নতুন করে সম্ভাবনা দেখা গেছে। সেখানে শেভরন কাজ করছে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে দেশে তেলের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বছরের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছে নিজেদের গ্যাস আহরণ করা। প্রায় ৪৬টি কূপ এবং পরবর্তী ধাপে আরও ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন হবে। পরে আরও ১০০ কূপ খনন করা হবে। ২০২৪-২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৫০০ এমএমসিএফ গ্যাস নিজস্ব দেশ থেকে জোগান দেওয়া যাবে।’
আগামী ৫০ বছর সামনে রেখে গ্যাস ব্যবস্থাপনা ও বিতরণ মাস্টারপ্ল্যানের পরিকল্পনার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। এ মাস্টারপ্ল্যান পাঁচ বছর অন্তর রিভিউ করা হবে। এ বিষয়ে পরামর্শক নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিপিসির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হলো চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে থার্ড টার্মিনালে নিয়ে আসা। এটা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ থাকবে। একই সময়ের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহও করা হবে। গ্যাসের ব্যাপারেও সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দেশে চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ গ্যাস আমদানি করা হয়। অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ দেশেই হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি খসড়া পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভোলায় যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, নতুন এলাকা ও পরবর্তী সময়ে যদি গভীর সমুদ্রে গ্যাস পাওয়া যায় তাহলে জ্বালানি বিভাগ ভালো থাকবে। দেশে আরও দুটি এফএসআরইউ আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০২৬-২০২৭ সালের দিকে দুটি এফএসআরইউ যুক্ত হবে। ২০২৭ সালে দেশে গ্যাসের চাহিদা হবে প্রায় ছয় হাজার এমএমসিএফ।’
নিজস্ব গ্যাস আবিষ্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো সংবাদ এই যে, কয়টি কূপ খনন করা হয়েছে। অধিকাংশতে গ্যাস আবিষ্কার হয়েছে। ছোট হলেও ভালো অবস্থা। ভোলা থেকে বরিশালের পাইপলাইনটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। এটার কার্যক্রম এ বছরই শুরু করা হবে। ভোলা থেকে সিএনজি গ্যাস আনা শুরু হয়েছে। এটা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। মার্চের মধ্যে এটা পুরোদমে চালু হবে।’
গরমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের ওপরে হতে পারে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সময়মতো কয়লা, গ্যাস ও তেল জোগান দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। সেটি আগামী দিনগুলোতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আগামী মাসে প্রায় ৪০ মেগাওয়াট হাইড্রো বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপালের সঙ্গে চুক্তি হবে। ৫০০ মেগাওয়াট নিয়ে কাজ চলছে। অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্লিন এনার্জি নিশ্চিত করা হবে।
মার্চে গ্যাসের সমস্যা কেটে যাওয়ার আশা প্রকাশ করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসের অভাবে রান্নাবান্না ছাড়াও কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। গ্যাস একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এই অসুবিধাটা খুবই সাময়িক। প্রচণ্ড শীতের কারণেও গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে যায়। এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাস্টিফিকেশন ইউনিট) আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে চালু হবে। তখন সিস্টেমে আরও ৪০০ এমএমসিএফ গ্যাস ঢুকবে। আগামী মার্চ থেকে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রমজান সামনে রেখে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
বিবিয়ানা গ্যাসের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে প্রচুর গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিবিয়ানার ফ্ল্যাঙ্ক এলাকায় ১ দশমিক ৬ টিসিএফ গ্যাসের নতুন করে সম্ভাবনা দেখা গেছে। সেখানে শেভরন কাজ করছে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে দেশে তেলের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বছরের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছে নিজেদের গ্যাস আহরণ করা। প্রায় ৪৬টি কূপ এবং পরবর্তী ধাপে আরও ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন হবে। পরে আরও ১০০ কূপ খনন করা হবে। ২০২৪-২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৫০০ এমএমসিএফ গ্যাস নিজস্ব দেশ থেকে জোগান দেওয়া যাবে।’
আগামী ৫০ বছর সামনে রেখে গ্যাস ব্যবস্থাপনা ও বিতরণ মাস্টারপ্ল্যানের পরিকল্পনার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। এ মাস্টারপ্ল্যান পাঁচ বছর অন্তর রিভিউ করা হবে। এ বিষয়ে পরামর্শক নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিপিসির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হলো চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে থার্ড টার্মিনালে নিয়ে আসা। এটা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ থাকবে। একই সময়ের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহও করা হবে। গ্যাসের ব্যাপারেও সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দেশে চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ গ্যাস আমদানি করা হয়। অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ দেশেই হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি খসড়া পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভোলায় যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, নতুন এলাকা ও পরবর্তী সময়ে যদি গভীর সমুদ্রে গ্যাস পাওয়া যায় তাহলে জ্বালানি বিভাগ ভালো থাকবে। দেশে আরও দুটি এফএসআরইউ আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০২৬-২০২৭ সালের দিকে দুটি এফএসআরইউ যুক্ত হবে। ২০২৭ সালে দেশে গ্যাসের চাহিদা হবে প্রায় ছয় হাজার এমএমসিএফ।’
নিজস্ব গ্যাস আবিষ্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো সংবাদ এই যে, কয়টি কূপ খনন করা হয়েছে। অধিকাংশতে গ্যাস আবিষ্কার হয়েছে। ছোট হলেও ভালো অবস্থা। ভোলা থেকে বরিশালের পাইপলাইনটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। এটার কার্যক্রম এ বছরই শুরু করা হবে। ভোলা থেকে সিএনজি গ্যাস আনা শুরু হয়েছে। এটা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। মার্চের মধ্যে এটা পুরোদমে চালু হবে।’
গরমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের ওপরে হতে পারে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সময়মতো কয়লা, গ্যাস ও তেল জোগান দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। সেটি আগামী দিনগুলোতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আগামী মাসে প্রায় ৪০ মেগাওয়াট হাইড্রো বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপালের সঙ্গে চুক্তি হবে। ৫০০ মেগাওয়াট নিয়ে কাজ চলছে। অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্লিন এনার্জি নিশ্চিত করা হবে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
২ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৪ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৫ ঘণ্টা আগে