মীর মো. মহিব্বুল্লাহ
দ্বীপ নয়, চর হিসেবে চেনে সবাই। প্রতিটি চরে আছে অপূর্ব সৈকত। অধিকাংশ সৈকত থেকে দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। দেখা যাবে দেশি-বিদেশি পাখি, পূর্ণিমায় অপূর্ব জোছনা, লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে দেখা যাবে ১০টি দ্বীপ বা চর ও সৈকত। যেন ১০ বোন! লিখেছেন মীর মো. মহিব্বুল্লাহ।
কাউয়ার চর সৈকত
কুয়াকাটা থেকে কাউয়ার চর সৈকতের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নে এই সৈকতের অবস্থান। স্থানীয়ভাবে এটি গঙ্গামতি সৈকত নামেও পরিচিত। এর মূল বৈশিষ্ট্য সূর্যোদয় দেখা। এখানে আছে বন বিভাগের নয়নাভিরাম ঝাউবন। সকালে সৈকতের বালুকাবেলায় সাজানো থাকে জেলেনৌকার বহর। শেষ বিকেলে সেগুলো সাগরে ভাসে মাছ শিকারের জন্য। এখান থেকে দেখা যায় সাগরসংগ্রামী জেলেদের জীবনযাত্রা।
যেভাবে যাবেন
ভোরে কুয়াকাটা থেকে মোটরসাইকেল কিংবা অটোরিকশা অথবা বিচ কার নিয়ে যাওয়া যাবে গঙ্গামতি বা কাউয়ার চর।
চর বিজয় সৈকত
কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর এটি। বিজয়ের মাসে এর সন্ধান পাওয়ায় নাম রাখা হয় ‘চর বিজয়’। চরটি বর্ষা থেকে শীতের আগপর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকে। শীত মৌসুমে চরের সৈকত পুরো দখল করে নেয় লাল কাঁকড়া। সৈকতজুড়ে দেখা যায় অসংখ্য পরিযায়ী পাখি। বিচিত্র মাছ দেখা যায় এই অংশের সাগরে।
যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা থেকে ট্যুরিস্ট বোট, রিজার্ভ স্পিডবোট অথবা ট্রলারে যেতে হবে চর বিজয়। বর্ষাকালে যাওয়া যায় না। সেখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। সকালে গিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসতে হবে কুয়াকাটায়।
চর তুফানিয়া সৈকত
কুয়াকাটা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে চর তুফানিয়া দ্বীপ। এটি লাল কাঁকড়ার নিরাপদ আবাসভূমি। ষাটের দশকে দ্বীপটি জেগে ওঠে। তুফানের সময়ের মতো বিশাল বিশাল ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ে বলে জেলেরাই নাম দিয়েছেন তুফানিয়া। এখানে রয়েছে ৫০০ একরের বনাঞ্চল।
যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা থেকে ট্যুরিস্ট বোট কিংবা স্পিডবোট অথবা ট্রলার নিয়ে যেতে হবে। এখানেও থাকার ব্যবস্থা নেই। তবে দুই কিলোমিটার দূরের রাঙ্গাবালীতে থাকার জায়গা আছে।
জাহাজমারা সৈকত
এই সৈকতের কথা অনেকেই জানেন। এখানে সাগরের ঢেউয়ের তালে বিচিত্র প্রজাতির মাছের ছোটাছুটি চোখে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, অনেক অনেক দিন আগে এই সৈকতে একটি জাহাজ আটকা পড়ে এবং ধীরে ধীরে সেই জাহাজ বালুতে ডুবে যায়। সেই কিংবদন্তি থেকে স্থানীয়রা এর নাম রাখেন জাহাজমারা। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের এই সৈকতের প্রধান আকর্ষণ সূর্যাস্ত।
এ ছাড়া সৈকতজুড়ে দেখা যাবে তরমুজের বিস্তীর্ণ মাঠ।
যেভাবে যাবেন
চর তুফানিয়া থেকে স্পিডবোট অথবা ট্রলার নিয়ে যেতে হয়। রাঙ্গাবালীতে থাকতে হবে। সেখানে ডাকবাংলোসহ রয়েছে কিছু হোটেল। অথবা ক্যাম্প করেও থাকা যায়।
সোনার চর সৈকত
কুয়াকাটা থেকে দক্ষিণে ১০ কিলোমিটার দূরে সাগরের মাঝে নয়নাভিরাম দ্বীপ সোনার চর। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের লাল আভা সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বলে এর নাম সোনার চর। এখানে আছে ম্যানগ্রোভ বন। এর ভেতরে আছে ছোট ছোট খাল। রয়েছে কেওড়া, সুন্দরী, গড়ান, হেতাল, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
নিভৃত সোনার চরে আছে হরিণ, শিয়াল, মহিষ, বন্য শুয়োর ও বানর। আছে চার কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত।
যেভাবে যাবেন
জাহাজমারা দ্বীপ থেকে সোনার চরের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। সেখান থেকে সরাসরি নদীপথে যেতে হবে সোনার চর। চাইলে সেখানে তাঁবুতে রাত যাপন করার সুযোগ রয়েছে।
চর হেয়ার সৈকত
সোনার চর থেকে এক কিলোমিটার দূরে চর হেয়ার দ্বীপ। স্থানীয়দের কাছে এটি কলাগাছিয়ার চর নামে পরিচিত। চর হেয়ারে প্রচুর পাখি আছে। আর আছে এক বিশাল সৈকত।
যেভাবে যাবেন
ট্রলার কিংবা স্পিডবোটে যেতে হবে চর হেয়ার দ্বীপে। চর হেয়ারেও তাঁবু টানিয়ে থাকা যায়। হোটেলে থাকতে চাইলে যেতে হবে পাঁচ কিলোমিটার দূরের চর মন্তাজ ইউনিয়নে। সেখানে রয়েছে থাকা ও খাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা।
লেম্বুর চর সৈকতকুয়াকাটা থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে লেবুর বনে ঘেরা দ্বীপ লেম্বুর চর বা নেম্বুর চর। তিন নদীর মোহনায় এর সৈকত থেকে দারুণ সূর্যাস্ত দেখা যায়। এক হাজার একর আয়তনের লেম্বুর চরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ আছে।
যেভাবে যাবেন কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান কিংবা যেকোনো যানবাহনে যাওয়া যায় এই দ্বীপে। চাইলে হেঁটেও যাওয়া যায়। এ ছাড়া কুয়াকাটা সৈকত থেকে স্পিডবোট কিংবা ট্রলারেও যাওয়া যায়।
ফাতরার চর সৈকত
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গেলে চোখে পড়বে নীল জলরাশির ওপর সবুজে ঘেরা ফাতরার বন বা ফাতরার চর নামের সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। এ যেন সাগরের বুকে ভাসমান অরণ্য। ট্রলার জেটি পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে একটি সাইনবোর্ডে। তাতে লেখা আছে ‘টেংরাগিরি অরণ্য’। এর ভেতরে আছে শানবাঁধানো একটি পুকুর ও বন বিভাগের রেস্টহাউস। আছে অসংখ্য পাখি। চরের পূর্ব অংশে রয়েছে একটি ছোট সমুদ্রসৈকত। ভাটার সময় নামা যাবে সৈকতটিতে।
যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা থেকে প্রতিদিন সকালে ট্যুরিস্ট বোট পর্যটকদের নিয়ে যায় বনে। চাইলে বোট রিজার্ভ করেও যাওয়া যায়। তাঁবুতে রাত যাপন করা যায়। নইলে ফিরে যেতে হবে কুয়াকাটায়।
নিদ্রা সৈকত ফাতরার চর সৈকত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। একদিকে সাগর, অন্যদিকে নদী আর মাঝখানে বেড়ে ওঠা কেওড়া ও ঝাউবনে ঘেরা সবুজ এক দৃষ্টিনন্দন দ্বীপ নিদ্রার চর। এখানে দিবানিশি চলে জোয়ার-ভাটার খেলা। এটি কুয়াকাটার কাছে হলেও বরগুনা জেলার তালতলীতে অবস্থিত।
যেভাবে যাবেন
ফাতরার চর সৈকত থেকে বোটে নিদ্রা সৈকতে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। তাঁবু টানিয়ে থাকা যায় রাতে। অথবা তালতলীর জেলা পরিষদ ডাকবাংলো কিংবা স্থানীয় হোটেলে থাকতে হবে।
শুভ সন্ধ্যা সৈকত
নিদ্রা সৈকত থেকে চার কিলোমিটার দূরে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিরির অংশ। ফলে এখানে অনেক ধরনের প্রাণীর দেখা পাওয়া যাবে। এ সৈকত বেশ নির্জন। এখানে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জ্যোৎস্না উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
যেভাবে যাবেন
নিদ্রা সৈকত থেকে সড়ক ও জলপথে যাওয়া যায় শুভ সন্ধ্যা সৈকতে। এখানেও থাকার ব্যবস্থা নেই তাঁবু ছাড়া।
প্রয়োজনীয় তথ্য
» এক সপ্তাহের ছুটি পেলে সব কটি দ্বীপ ও সৈকত দেখা যায় একসঙ্গে।
» এক দিনে কয়েকটি দ্বীপ ও সৈকত দেখা যাবে।
» বর্ষায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস না জেনে কোনো দ্বীপে যাওয়া যাবে না।
» এই দ্বীপ ও সৈকতগুলো ভ্রমণের আদর্শ সময় শীতকাল।
» সবখানে প্লাস্টিক পণ্য বর্জন করুন।
» প্রয়োজনে স্থানীয় অভিজ্ঞ মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিন।
দ্বীপ নয়, চর হিসেবে চেনে সবাই। প্রতিটি চরে আছে অপূর্ব সৈকত। অধিকাংশ সৈকত থেকে দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। দেখা যাবে দেশি-বিদেশি পাখি, পূর্ণিমায় অপূর্ব জোছনা, লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে দেখা যাবে ১০টি দ্বীপ বা চর ও সৈকত। যেন ১০ বোন! লিখেছেন মীর মো. মহিব্বুল্লাহ।
কাউয়ার চর সৈকত
কুয়াকাটা থেকে কাউয়ার চর সৈকতের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নে এই সৈকতের অবস্থান। স্থানীয়ভাবে এটি গঙ্গামতি সৈকত নামেও পরিচিত। এর মূল বৈশিষ্ট্য সূর্যোদয় দেখা। এখানে আছে বন বিভাগের নয়নাভিরাম ঝাউবন। সকালে সৈকতের বালুকাবেলায় সাজানো থাকে জেলেনৌকার বহর। শেষ বিকেলে সেগুলো সাগরে ভাসে মাছ শিকারের জন্য। এখান থেকে দেখা যায় সাগরসংগ্রামী জেলেদের জীবনযাত্রা।
যেভাবে যাবেন
ভোরে কুয়াকাটা থেকে মোটরসাইকেল কিংবা অটোরিকশা অথবা বিচ কার নিয়ে যাওয়া যাবে গঙ্গামতি বা কাউয়ার চর।
চর বিজয় সৈকত
কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর এটি। বিজয়ের মাসে এর সন্ধান পাওয়ায় নাম রাখা হয় ‘চর বিজয়’। চরটি বর্ষা থেকে শীতের আগপর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকে। শীত মৌসুমে চরের সৈকত পুরো দখল করে নেয় লাল কাঁকড়া। সৈকতজুড়ে দেখা যায় অসংখ্য পরিযায়ী পাখি। বিচিত্র মাছ দেখা যায় এই অংশের সাগরে।
যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা থেকে ট্যুরিস্ট বোট, রিজার্ভ স্পিডবোট অথবা ট্রলারে যেতে হবে চর বিজয়। বর্ষাকালে যাওয়া যায় না। সেখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। সকালে গিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসতে হবে কুয়াকাটায়।
চর তুফানিয়া সৈকত
কুয়াকাটা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে চর তুফানিয়া দ্বীপ। এটি লাল কাঁকড়ার নিরাপদ আবাসভূমি। ষাটের দশকে দ্বীপটি জেগে ওঠে। তুফানের সময়ের মতো বিশাল বিশাল ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ে বলে জেলেরাই নাম দিয়েছেন তুফানিয়া। এখানে রয়েছে ৫০০ একরের বনাঞ্চল।
যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা থেকে ট্যুরিস্ট বোট কিংবা স্পিডবোট অথবা ট্রলার নিয়ে যেতে হবে। এখানেও থাকার ব্যবস্থা নেই। তবে দুই কিলোমিটার দূরের রাঙ্গাবালীতে থাকার জায়গা আছে।
জাহাজমারা সৈকত
এই সৈকতের কথা অনেকেই জানেন। এখানে সাগরের ঢেউয়ের তালে বিচিত্র প্রজাতির মাছের ছোটাছুটি চোখে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, অনেক অনেক দিন আগে এই সৈকতে একটি জাহাজ আটকা পড়ে এবং ধীরে ধীরে সেই জাহাজ বালুতে ডুবে যায়। সেই কিংবদন্তি থেকে স্থানীয়রা এর নাম রাখেন জাহাজমারা। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের এই সৈকতের প্রধান আকর্ষণ সূর্যাস্ত।
এ ছাড়া সৈকতজুড়ে দেখা যাবে তরমুজের বিস্তীর্ণ মাঠ।
যেভাবে যাবেন
চর তুফানিয়া থেকে স্পিডবোট অথবা ট্রলার নিয়ে যেতে হয়। রাঙ্গাবালীতে থাকতে হবে। সেখানে ডাকবাংলোসহ রয়েছে কিছু হোটেল। অথবা ক্যাম্প করেও থাকা যায়।
সোনার চর সৈকত
কুয়াকাটা থেকে দক্ষিণে ১০ কিলোমিটার দূরে সাগরের মাঝে নয়নাভিরাম দ্বীপ সোনার চর। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের লাল আভা সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বলে এর নাম সোনার চর। এখানে আছে ম্যানগ্রোভ বন। এর ভেতরে আছে ছোট ছোট খাল। রয়েছে কেওড়া, সুন্দরী, গড়ান, হেতাল, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
নিভৃত সোনার চরে আছে হরিণ, শিয়াল, মহিষ, বন্য শুয়োর ও বানর। আছে চার কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত।
যেভাবে যাবেন
জাহাজমারা দ্বীপ থেকে সোনার চরের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। সেখান থেকে সরাসরি নদীপথে যেতে হবে সোনার চর। চাইলে সেখানে তাঁবুতে রাত যাপন করার সুযোগ রয়েছে।
চর হেয়ার সৈকত
সোনার চর থেকে এক কিলোমিটার দূরে চর হেয়ার দ্বীপ। স্থানীয়দের কাছে এটি কলাগাছিয়ার চর নামে পরিচিত। চর হেয়ারে প্রচুর পাখি আছে। আর আছে এক বিশাল সৈকত।
যেভাবে যাবেন
ট্রলার কিংবা স্পিডবোটে যেতে হবে চর হেয়ার দ্বীপে। চর হেয়ারেও তাঁবু টানিয়ে থাকা যায়। হোটেলে থাকতে চাইলে যেতে হবে পাঁচ কিলোমিটার দূরের চর মন্তাজ ইউনিয়নে। সেখানে রয়েছে থাকা ও খাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা।
লেম্বুর চর সৈকতকুয়াকাটা থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে লেবুর বনে ঘেরা দ্বীপ লেম্বুর চর বা নেম্বুর চর। তিন নদীর মোহনায় এর সৈকত থেকে দারুণ সূর্যাস্ত দেখা যায়। এক হাজার একর আয়তনের লেম্বুর চরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ আছে।
যেভাবে যাবেন কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান কিংবা যেকোনো যানবাহনে যাওয়া যায় এই দ্বীপে। চাইলে হেঁটেও যাওয়া যায়। এ ছাড়া কুয়াকাটা সৈকত থেকে স্পিডবোট কিংবা ট্রলারেও যাওয়া যায়।
ফাতরার চর সৈকত
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গেলে চোখে পড়বে নীল জলরাশির ওপর সবুজে ঘেরা ফাতরার বন বা ফাতরার চর নামের সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। এ যেন সাগরের বুকে ভাসমান অরণ্য। ট্রলার জেটি পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে একটি সাইনবোর্ডে। তাতে লেখা আছে ‘টেংরাগিরি অরণ্য’। এর ভেতরে আছে শানবাঁধানো একটি পুকুর ও বন বিভাগের রেস্টহাউস। আছে অসংখ্য পাখি। চরের পূর্ব অংশে রয়েছে একটি ছোট সমুদ্রসৈকত। ভাটার সময় নামা যাবে সৈকতটিতে।
যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা থেকে প্রতিদিন সকালে ট্যুরিস্ট বোট পর্যটকদের নিয়ে যায় বনে। চাইলে বোট রিজার্ভ করেও যাওয়া যায়। তাঁবুতে রাত যাপন করা যায়। নইলে ফিরে যেতে হবে কুয়াকাটায়।
নিদ্রা সৈকত ফাতরার চর সৈকত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। একদিকে সাগর, অন্যদিকে নদী আর মাঝখানে বেড়ে ওঠা কেওড়া ও ঝাউবনে ঘেরা সবুজ এক দৃষ্টিনন্দন দ্বীপ নিদ্রার চর। এখানে দিবানিশি চলে জোয়ার-ভাটার খেলা। এটি কুয়াকাটার কাছে হলেও বরগুনা জেলার তালতলীতে অবস্থিত।
যেভাবে যাবেন
ফাতরার চর সৈকত থেকে বোটে নিদ্রা সৈকতে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। তাঁবু টানিয়ে থাকা যায় রাতে। অথবা তালতলীর জেলা পরিষদ ডাকবাংলো কিংবা স্থানীয় হোটেলে থাকতে হবে।
শুভ সন্ধ্যা সৈকত
নিদ্রা সৈকত থেকে চার কিলোমিটার দূরে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিরির অংশ। ফলে এখানে অনেক ধরনের প্রাণীর দেখা পাওয়া যাবে। এ সৈকত বেশ নির্জন। এখানে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জ্যোৎস্না উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
যেভাবে যাবেন
নিদ্রা সৈকত থেকে সড়ক ও জলপথে যাওয়া যায় শুভ সন্ধ্যা সৈকতে। এখানেও থাকার ব্যবস্থা নেই তাঁবু ছাড়া।
প্রয়োজনীয় তথ্য
» এক সপ্তাহের ছুটি পেলে সব কটি দ্বীপ ও সৈকত দেখা যায় একসঙ্গে।
» এক দিনে কয়েকটি দ্বীপ ও সৈকত দেখা যাবে।
» বর্ষায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস না জেনে কোনো দ্বীপে যাওয়া যাবে না।
» এই দ্বীপ ও সৈকতগুলো ভ্রমণের আদর্শ সময় শীতকাল।
» সবখানে প্লাস্টিক পণ্য বর্জন করুন।
» প্রয়োজনে স্থানীয় অভিজ্ঞ মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিন।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে