ইয়াসির আরাফাত
মধ্যপ্রাচ্য বলতে একসময় আমরা শুধু তেলের খনি আর প্রবাসী বাঙালির কথা জানতাম। কিন্তু দৃশ্য বদলে গেছে। এখন ভ্রমণের জন্য বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। ২০২৩ সালে বিশ্বের সর্বাধিক ভ্রমণ করা ১৫টি দেশের তালিকার ১২ নম্বরে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত আর ১৩ নম্বরে ছিল সৌদি আরব।
আজ বলছি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সুন্দর দেশ ওমানের গল্প। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন–সবকিছুর সমন্বয়ে অনন্য দেশ ওমান। ওমানের ভ্রমণ গন্তব্যগুলো সব দেখতে এক মাসই যথেষ্ট সময় নয়। আজ বরং ওমানের ছয়টি দর্শনীয় জায়গার কথা বলি আপনাদের।
জাবাল শামস ও জাবাল আখদার
পুরো ওমানে আছে পাহাড়। দেশটির উঁচু পাহাড় জাবাল আখদার ও জাবাল শামস। জাবাল আখদার পরিচিত পাহাড়ের ওপর সবুজ পরিবেশের জন্য। সেখানে শীত মৌসুমে কখনো কখনো তুষারপাত হয়। আর জাবাল শামস পরিচিত পাথরের ক্যানিয়নের জন্য। দুটো পাহাড়ের সৌন্দর্য দুই রকম। তাই পরামর্শ থাকবে, সম্ভব হলে দুটি পাহাড়েই ভ্রমণ ও রাত কাটানোর জন্য।
সালালাহ
ওমানের একদম পশ্চিমে ইয়েমেন সীমান্তে অবস্থিত বড় শহর সালালাহ। এই শহর জনপ্রিয় তার সবুজ প্রকৃতি ও শীতল আবহাওয়ার জন্য। সালালাহ ভ্রমণের সেরা সময় বর্ষাকাল; যাকে আরবেরা খারিফ বলে থাকে। জুলাই ও আগস্ট মাস নিয়ে খারিফ মৌসুম। এই দুই মাস সালালাহতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ফলে প্রকৃতি হয়ে ওঠে সবুজ। উঁচু অনেক ঝরনার দেখা মেলে এই মৌসুমে।
এখানে শুধু ছয়টি জায়গার নাম বলা হলো। এর বাইরে ওমানে আরও অনেক কিছুই আছে দেখার মতো। সেগুলো দেখতে হলে বেশ সময় নিয়ে যেতে হবে মধ্যপ্রাচ্যের সবুজ শান্ত দেশ ওমানে।
নিজওয়া
রাজধানী মাসকাট থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টা দূরত্বে অবস্থিত ওমানের পুরোনো রাজধানী নিজওয়া। এখানে দেখা যাবে দেশটির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও প্রাচুর্য। নিজওয়া শহরের পাশে অবস্থিত ওমানের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় জাবাল আখদার। এ পাহাড় দেখতে যেতে হবে অবশ্যই।
ওয়াদি শাব এবং ওয়াদি বিন খালিদ
পুরো ওমানে কয়েক শ ওয়াদি ও ওয়েসিস আছে যেগুলোর জন্য ওমান পুরো বিশ্বে পরিচিত। অন্তত একটি ওয়াদি ভ্রমণ ছাড়া ওমান ভ্রমণ কল্পনাই করা যায় না। যেসব ওয়াদিতে সারা বছর পানি থাকে, সেগুলোতে সাঁতার কাটা হবে জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। যদি ওমানে মাত্র একটি ওয়াদি ভ্রমণের সুযোগ পান, তাহলে দেখতে যেতে হবে ওয়াদি শাব। এটি দেশটির সবচেয়ে বড় ওয়াদি। আর একাধিক ওয়াদি ভ্রমণে ইচ্ছুক হলে ওয়াদি বাণী খালিদ হতে পারে পরবর্তী গন্তব্য।
রুব আল খালি মরুভূমি
ওমান, সৌদি, ইয়েমেন, আরব আমিরাতসহ ৬ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে বিস্তৃত এই মরুভূমির উঁচু ডিউনসগুলো আছে ওমানে। তাই ওমান ভ্রমণের একটি অপরিহার্য অংশ এই মরুভূমির আশপাশে অবস্থিত অসংখ্য ক্যাম্পের একটিতে অন্তত একটি রাত কাটানো।
মাসকাট
ওমান ভ্রমণ অবশ্যই শুরু করতে হবে রাজধানী মাসকাট থেকে। আমার ব্যক্তিগত মত, এটি মধ্যপ্রাচ্যের সব থেকে সুন্দর রাজধানী শহর। শহরটি খুব বড় নয়, আবার একদম ছোটও নয়। রাজধানী হিসেবে অনেকটাই নিরিবিলি। একদিকে নীল সাগর, আরেক দিকে উঁচু পাথুরে পাহাড় দিয়ে ঘেরা মাসকাট শহরের আকর্ষণীয় জায়গা হলো ঐতিহাসিক মাতরাহ এলাকা। এখান থেকে গাড়িতে ৩০-৪০ মিনিটের পথ গেলে দিমানিয়াত দ্বীপ। সেখানে দেখা মিলবে মালদ্বীপের মতো সুন্দর সমুদ্রসৈকতের এবং যেখানে গিয়ে সাঁতার কাটা যাবে সামুদ্রিক কচ্ছপ ও হাঙরদের সঙ্গে।
মধ্যপ্রাচ্য বলতে একসময় আমরা শুধু তেলের খনি আর প্রবাসী বাঙালির কথা জানতাম। কিন্তু দৃশ্য বদলে গেছে। এখন ভ্রমণের জন্য বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। ২০২৩ সালে বিশ্বের সর্বাধিক ভ্রমণ করা ১৫টি দেশের তালিকার ১২ নম্বরে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত আর ১৩ নম্বরে ছিল সৌদি আরব।
আজ বলছি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সুন্দর দেশ ওমানের গল্প। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন–সবকিছুর সমন্বয়ে অনন্য দেশ ওমান। ওমানের ভ্রমণ গন্তব্যগুলো সব দেখতে এক মাসই যথেষ্ট সময় নয়। আজ বরং ওমানের ছয়টি দর্শনীয় জায়গার কথা বলি আপনাদের।
জাবাল শামস ও জাবাল আখদার
পুরো ওমানে আছে পাহাড়। দেশটির উঁচু পাহাড় জাবাল আখদার ও জাবাল শামস। জাবাল আখদার পরিচিত পাহাড়ের ওপর সবুজ পরিবেশের জন্য। সেখানে শীত মৌসুমে কখনো কখনো তুষারপাত হয়। আর জাবাল শামস পরিচিত পাথরের ক্যানিয়নের জন্য। দুটো পাহাড়ের সৌন্দর্য দুই রকম। তাই পরামর্শ থাকবে, সম্ভব হলে দুটি পাহাড়েই ভ্রমণ ও রাত কাটানোর জন্য।
সালালাহ
ওমানের একদম পশ্চিমে ইয়েমেন সীমান্তে অবস্থিত বড় শহর সালালাহ। এই শহর জনপ্রিয় তার সবুজ প্রকৃতি ও শীতল আবহাওয়ার জন্য। সালালাহ ভ্রমণের সেরা সময় বর্ষাকাল; যাকে আরবেরা খারিফ বলে থাকে। জুলাই ও আগস্ট মাস নিয়ে খারিফ মৌসুম। এই দুই মাস সালালাহতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ফলে প্রকৃতি হয়ে ওঠে সবুজ। উঁচু অনেক ঝরনার দেখা মেলে এই মৌসুমে।
এখানে শুধু ছয়টি জায়গার নাম বলা হলো। এর বাইরে ওমানে আরও অনেক কিছুই আছে দেখার মতো। সেগুলো দেখতে হলে বেশ সময় নিয়ে যেতে হবে মধ্যপ্রাচ্যের সবুজ শান্ত দেশ ওমানে।
নিজওয়া
রাজধানী মাসকাট থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টা দূরত্বে অবস্থিত ওমানের পুরোনো রাজধানী নিজওয়া। এখানে দেখা যাবে দেশটির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও প্রাচুর্য। নিজওয়া শহরের পাশে অবস্থিত ওমানের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় জাবাল আখদার। এ পাহাড় দেখতে যেতে হবে অবশ্যই।
ওয়াদি শাব এবং ওয়াদি বিন খালিদ
পুরো ওমানে কয়েক শ ওয়াদি ও ওয়েসিস আছে যেগুলোর জন্য ওমান পুরো বিশ্বে পরিচিত। অন্তত একটি ওয়াদি ভ্রমণ ছাড়া ওমান ভ্রমণ কল্পনাই করা যায় না। যেসব ওয়াদিতে সারা বছর পানি থাকে, সেগুলোতে সাঁতার কাটা হবে জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। যদি ওমানে মাত্র একটি ওয়াদি ভ্রমণের সুযোগ পান, তাহলে দেখতে যেতে হবে ওয়াদি শাব। এটি দেশটির সবচেয়ে বড় ওয়াদি। আর একাধিক ওয়াদি ভ্রমণে ইচ্ছুক হলে ওয়াদি বাণী খালিদ হতে পারে পরবর্তী গন্তব্য।
রুব আল খালি মরুভূমি
ওমান, সৌদি, ইয়েমেন, আরব আমিরাতসহ ৬ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে বিস্তৃত এই মরুভূমির উঁচু ডিউনসগুলো আছে ওমানে। তাই ওমান ভ্রমণের একটি অপরিহার্য অংশ এই মরুভূমির আশপাশে অবস্থিত অসংখ্য ক্যাম্পের একটিতে অন্তত একটি রাত কাটানো।
মাসকাট
ওমান ভ্রমণ অবশ্যই শুরু করতে হবে রাজধানী মাসকাট থেকে। আমার ব্যক্তিগত মত, এটি মধ্যপ্রাচ্যের সব থেকে সুন্দর রাজধানী শহর। শহরটি খুব বড় নয়, আবার একদম ছোটও নয়। রাজধানী হিসেবে অনেকটাই নিরিবিলি। একদিকে নীল সাগর, আরেক দিকে উঁচু পাথুরে পাহাড় দিয়ে ঘেরা মাসকাট শহরের আকর্ষণীয় জায়গা হলো ঐতিহাসিক মাতরাহ এলাকা। এখান থেকে গাড়িতে ৩০-৪০ মিনিটের পথ গেলে দিমানিয়াত দ্বীপ। সেখানে দেখা মিলবে মালদ্বীপের মতো সুন্দর সমুদ্রসৈকতের এবং যেখানে গিয়ে সাঁতার কাটা যাবে সামুদ্রিক কচ্ছপ ও হাঙরদের সঙ্গে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে