লবীব আহমদ, সিলেট
লতাপাতা-গুল্মে ভরা বিলের পানিতে ফুটে আছে হাজার হাজার লাল শাপলা। তার মধ্যে নৌকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আপনি। আপনার পাশ দিয়ে হুঁশ উড়ে গেল একটা বালিহাঁস। কিংবা ভুস করে ভেসে উঠল একটা পানকৌড়ি। কোথাও জলময়ূরী, তো কোথাও পাতিসরালি খেলা করছে আপনার পাশে। এমন দৃশ্য শেষবার কবে দেখেছেন? কিংবা আদৌ দেখেছেন তো বিলভরা লাল শাপলা?
মনে অপার্থিব দৃশ্যের জন্ম হতে পারে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার বিলে। ডিবি বিল, ইয়াম বিল, হরফকাট বিল ও কেন্দ্রী বিল—এই চার বিলকে একত্রে লাল শাপলার বিল বলা হয়। ৯০০ একর বা ৩ দশমিক ৬৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট এই বিলগুলোর অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে। বিলে ফুটে থাকা অজস্র লাল শাপলা তো আছেই, এখানকার বাড়তি আকর্ষণ হাওরের ওপারের পাহাড়ের সারি।
শরতের শেষ থেকে শীতের শুরু পর্যন্ত লাল শাপলায় ভরে থাকে পুরো বিল। সিলেটের জাফলং, সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্তুমাই, উৎমা, তুরুংয়ের পাশাপাশি এই শাপলা বিল এখন বিদেশিদেরও আকর্ষণ করছে। শীতকালের এক দারুণ আকর্ষণ সিলেটের জৈন্তাপুরের শাপলা বিল। বিলে নৌকায় উঠে শাপলার সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি চারদিকের মেঘালয় পাহাড় আপনাকে বিমোহিত করবে।
জনশ্রুতি আছে, এই বিলে আগে কোনো শাপলা ছিল না। সীমান্তের ওপারে খাসিয়া সম্প্রদায় লাল শাপলা দিয়ে পূজা-অর্চনা করত। তারাই কোনো এক সময় ডিবি বিলে লাল শাপলার কন্দ ফেলে। পরে একে একে ডিবি বিল, কেন্দ্রী বিল, হরফকাটা বিল, ইয়াম বিলসহ আশপাশের জলাধারগুলো শাপলায় পূর্ণ হয়ে যায়। এখন চারটি বিলের অন্তত ৭০০ একর জায়গা লাল শাপলা দখল করে আছে। জৈন্তা রাজ্যের রাজা রাম সিংহকে এই হাওরে ডুবিয়ে মারা হয়েছিল বলেও জনশ্রুতি আছে। আছে সেই স্মৃতিতে নির্মিত প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো একটি মন্দির।
শাপলা বিলে প্রতিবছর বালিহাঁস, পাতিসরালি, পানকৌড়ি, সাদা বক, জলময়ূরীসহ অসংখ্য পরিযায়ী পাখি আসে। প্রতিদিন ভোরে এখানে ফুটে ওঠে অপূর্ব অসংখ্য ফুল। তাদের সঙ্গে দেখা করতে প্রতিদিন ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দল বেঁধে নৌকায় ভেসে বেড়ান ভ্রমণপিপাসুরা। শীতকাল হওয়ায় চারদিকে নানা ধরনের পাখিরও দেখা মেলে। ভোরের লাল শাপলা, পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্যের সঙ্গে পাখির ঐকতান আপনাকে নিয়ে যাবে স্বর্গরাজ্যে।
শাপলা বিলে শাপলা থাকে তিন থেকে চার মাস। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে গেলে দেখা মিলবে শাপলার সৌন্দর্যের। তবে এর জন্য যেতে হবে একদম সকাল সকাল। সূর্যের আলো শাপলার গায়ে পড়লে ধীরে ধীরে শাপলা তার সৌন্দর্য হাতাতে থাকে।
যেভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেতে হবে সিলেট শহরে। সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করে যাওয়া যাবে শাপলা বিলে। বাসে গেলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় নামতে হবে। সেখান থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে শাপলা বিলে। সে ক্ষেত্রে বাসের ভাড়া পড়বে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং রিজার্ভ সিএনজি অটো ভাড়া ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া সিলেটের বন্দর থেকে জাফলংগামী লেগুনা দিয়েও যাওয়া যায় শাপলা বিল। সেখান থেকে ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা। তবে লেগুনা থেকে নামতে হবে জৈন্তাপুর বাজারে। শাপলার বিল ঘুরে দেখার জন্য নৌকা ভাড়া রিজার্ভ পড়বে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কিন্তু সিজন অনুযায়ী ভাড়া কম-বেশি হয়ে থাকে।
লতাপাতা-গুল্মে ভরা বিলের পানিতে ফুটে আছে হাজার হাজার লাল শাপলা। তার মধ্যে নৌকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আপনি। আপনার পাশ দিয়ে হুঁশ উড়ে গেল একটা বালিহাঁস। কিংবা ভুস করে ভেসে উঠল একটা পানকৌড়ি। কোথাও জলময়ূরী, তো কোথাও পাতিসরালি খেলা করছে আপনার পাশে। এমন দৃশ্য শেষবার কবে দেখেছেন? কিংবা আদৌ দেখেছেন তো বিলভরা লাল শাপলা?
মনে অপার্থিব দৃশ্যের জন্ম হতে পারে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার বিলে। ডিবি বিল, ইয়াম বিল, হরফকাট বিল ও কেন্দ্রী বিল—এই চার বিলকে একত্রে লাল শাপলার বিল বলা হয়। ৯০০ একর বা ৩ দশমিক ৬৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট এই বিলগুলোর অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে। বিলে ফুটে থাকা অজস্র লাল শাপলা তো আছেই, এখানকার বাড়তি আকর্ষণ হাওরের ওপারের পাহাড়ের সারি।
শরতের শেষ থেকে শীতের শুরু পর্যন্ত লাল শাপলায় ভরে থাকে পুরো বিল। সিলেটের জাফলং, সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্তুমাই, উৎমা, তুরুংয়ের পাশাপাশি এই শাপলা বিল এখন বিদেশিদেরও আকর্ষণ করছে। শীতকালের এক দারুণ আকর্ষণ সিলেটের জৈন্তাপুরের শাপলা বিল। বিলে নৌকায় উঠে শাপলার সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি চারদিকের মেঘালয় পাহাড় আপনাকে বিমোহিত করবে।
জনশ্রুতি আছে, এই বিলে আগে কোনো শাপলা ছিল না। সীমান্তের ওপারে খাসিয়া সম্প্রদায় লাল শাপলা দিয়ে পূজা-অর্চনা করত। তারাই কোনো এক সময় ডিবি বিলে লাল শাপলার কন্দ ফেলে। পরে একে একে ডিবি বিল, কেন্দ্রী বিল, হরফকাটা বিল, ইয়াম বিলসহ আশপাশের জলাধারগুলো শাপলায় পূর্ণ হয়ে যায়। এখন চারটি বিলের অন্তত ৭০০ একর জায়গা লাল শাপলা দখল করে আছে। জৈন্তা রাজ্যের রাজা রাম সিংহকে এই হাওরে ডুবিয়ে মারা হয়েছিল বলেও জনশ্রুতি আছে। আছে সেই স্মৃতিতে নির্মিত প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো একটি মন্দির।
শাপলা বিলে প্রতিবছর বালিহাঁস, পাতিসরালি, পানকৌড়ি, সাদা বক, জলময়ূরীসহ অসংখ্য পরিযায়ী পাখি আসে। প্রতিদিন ভোরে এখানে ফুটে ওঠে অপূর্ব অসংখ্য ফুল। তাদের সঙ্গে দেখা করতে প্রতিদিন ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দল বেঁধে নৌকায় ভেসে বেড়ান ভ্রমণপিপাসুরা। শীতকাল হওয়ায় চারদিকে নানা ধরনের পাখিরও দেখা মেলে। ভোরের লাল শাপলা, পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্যের সঙ্গে পাখির ঐকতান আপনাকে নিয়ে যাবে স্বর্গরাজ্যে।
শাপলা বিলে শাপলা থাকে তিন থেকে চার মাস। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে গেলে দেখা মিলবে শাপলার সৌন্দর্যের। তবে এর জন্য যেতে হবে একদম সকাল সকাল। সূর্যের আলো শাপলার গায়ে পড়লে ধীরে ধীরে শাপলা তার সৌন্দর্য হাতাতে থাকে।
যেভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেতে হবে সিলেট শহরে। সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করে যাওয়া যাবে শাপলা বিলে। বাসে গেলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় নামতে হবে। সেখান থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে শাপলা বিলে। সে ক্ষেত্রে বাসের ভাড়া পড়বে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং রিজার্ভ সিএনজি অটো ভাড়া ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া সিলেটের বন্দর থেকে জাফলংগামী লেগুনা দিয়েও যাওয়া যায় শাপলা বিল। সেখান থেকে ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা। তবে লেগুনা থেকে নামতে হবে জৈন্তাপুর বাজারে। শাপলার বিল ঘুরে দেখার জন্য নৌকা ভাড়া রিজার্ভ পড়বে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কিন্তু সিজন অনুযায়ী ভাড়া কম-বেশি হয়ে থাকে।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে