সৌগত বসু
বাংলাদেশ ভৌগোলিক কারণে খুবই ভালো একটি জায়গায় আছে। এটি পর্যটনের কেন্দ্রস্থল। দেশের পর্যটনকে যদি ভালোভাবে তুলে ধরা যায়, তাহলে অনেক কিছু দেখার আছে। পর্যটকেরা আমাদের এখানে আসবেন। তবে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরালো করতে হবে। এতে পর্যটকেরা নিরাপদ অনুভব করবেন। দেশে এখন ৪০টির ওপরে তিন তারকা থেকে শুরু করে পাঁচ তারকা হোটেল আছে। আরও পাঁচ-থেকে সাতটি হোটেল নির্মাণাধীন। এগুলো কয়েক বছরের মধ্যে অপারেশনে আসবে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা। সেই লগ্নে বিশেষ করে ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি বা পর্যটনশিল্প এবং আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে, আমাদের হোটেল ব্যবসা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। সে সময় বিদেশ থেকে অতিথিরা আসতে পারেননি। বিভিন্ন দেশ আমাদের দেশে ভ্রমণ-সতর্কতা দিয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক কিছু ফ্লাইটও এ দেশে আসেনি। এ কারণে আমাদের কাঙ্ক্ষিত যে পরিমাণ অতিথি আসার কথা, তা আসতে পারেনি। তবে আশার কথা হচ্ছে, এই সরকারের প্রায় দেড় মাসে বড় দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা নমনীয় হতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চতুর্থ পর্যায়ে ছিল। এখন সেটি তিন হয়েছে। এতে বিদেশি অতিথি আসার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর ফলে কিছু অতিথি আবার নতুনভাবে আমাদের এখানে আসছেন। এখন যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে, আশা করছি এটাও দ্রুতই উঠে যাবে। সচরাচর আমাদের যে রকম অতিথি আসার কথা, তা আবার পরিপূর্ণভাবে শুরু হবে। বছরের শেষের মাসগুলো হোটেল ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসার জন্য ইতিবাচক মাস হিসেবে ধরা হয়। আমরা আশা করছি, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের ব্যবসা ভালো হবে।
কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি নিরাপত্তা দল এখানে (সোনারগাঁও) এসেছিল। তারা নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসবে। আশা করছি তারা প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করবে। তার সঙ্গে আরও কিছু দল আসবে। তাই অক্টোবর থেকে বিদেশিদের আসাটা আবার শুরু হবে।
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। আমরা আশা করছি, ২০২৫ সালের মধ্যে যাত্রীরা এই বিমানবন্দরের সব সুবিধা পাবেন। এতে নতুন নতুন এয়ারলাইনস আসবে এবং যাত্রীরা বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবেন। এতে অন্যান্য দেশের চেইন হোটেলগুলো থেকে আমরা এবং আমাদের দেশ উপকৃত হবে। এয়ারপোর্ট একটা দেশের আয়না। অতিথিরা কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকেই সেই দেশ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যান। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে বিমানবন্দর থেকে ঢাকার এদিকটায় যাতায়াতের সুবিধা বেড়েছে। আগে ঢাকার এদিকে যাতায়াত একটু সময়সাপেক্ষ ছিল। এ ছাড়া মেট্রোরেলের কারণে পর্যটকেরা কম সময়ে ঢাকার দুই পাশেই ঘুরতে পারবেন।
পাঁচ-সাত বছর ধরে দেশের জিডিপিতে ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ অবদান রাখছে। তবে উন্নত দেশগুলোতে এই হার প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে এটা আবার বাড়ছে। আমরা মনে করি, দেশের স্থিতিশীলতার সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের এই খাত আরও উন্নত হবে।
আমি মনে করি, পর্যটন খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে। পর্যটন এখন শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা, তা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের একার পক্ষে এগুলো সব সময় দেখাশোনা করা সহজ নয়। এর জন্য যেসব মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আছে, তাদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করলে পর্যটনের জায়গাগুলো আরও সমৃদ্ধ হবে। টয়লেটব্যবস্থা, পর্যটন গন্তব্যগুলোতে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা করলে পর্যটকেরা আকৃষ্ট হবেন। আমি আশা করি, নতুন সরকার এই বিষয়গুলো দেখবে। সবাই সমন্বিতভাবে চেষ্টা করলে ভালো ফলাফল আসবে।
লেখক: আসিফ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল
অনুলিখন: সৌগত বসু
বাংলাদেশ ভৌগোলিক কারণে খুবই ভালো একটি জায়গায় আছে। এটি পর্যটনের কেন্দ্রস্থল। দেশের পর্যটনকে যদি ভালোভাবে তুলে ধরা যায়, তাহলে অনেক কিছু দেখার আছে। পর্যটকেরা আমাদের এখানে আসবেন। তবে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরালো করতে হবে। এতে পর্যটকেরা নিরাপদ অনুভব করবেন। দেশে এখন ৪০টির ওপরে তিন তারকা থেকে শুরু করে পাঁচ তারকা হোটেল আছে। আরও পাঁচ-থেকে সাতটি হোটেল নির্মাণাধীন। এগুলো কয়েক বছরের মধ্যে অপারেশনে আসবে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা। সেই লগ্নে বিশেষ করে ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি বা পর্যটনশিল্প এবং আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে, আমাদের হোটেল ব্যবসা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। সে সময় বিদেশ থেকে অতিথিরা আসতে পারেননি। বিভিন্ন দেশ আমাদের দেশে ভ্রমণ-সতর্কতা দিয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক কিছু ফ্লাইটও এ দেশে আসেনি। এ কারণে আমাদের কাঙ্ক্ষিত যে পরিমাণ অতিথি আসার কথা, তা আসতে পারেনি। তবে আশার কথা হচ্ছে, এই সরকারের প্রায় দেড় মাসে বড় দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা নমনীয় হতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চতুর্থ পর্যায়ে ছিল। এখন সেটি তিন হয়েছে। এতে বিদেশি অতিথি আসার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর ফলে কিছু অতিথি আবার নতুনভাবে আমাদের এখানে আসছেন। এখন যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে, আশা করছি এটাও দ্রুতই উঠে যাবে। সচরাচর আমাদের যে রকম অতিথি আসার কথা, তা আবার পরিপূর্ণভাবে শুরু হবে। বছরের শেষের মাসগুলো হোটেল ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসার জন্য ইতিবাচক মাস হিসেবে ধরা হয়। আমরা আশা করছি, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের ব্যবসা ভালো হবে।
কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি নিরাপত্তা দল এখানে (সোনারগাঁও) এসেছিল। তারা নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসবে। আশা করছি তারা প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করবে। তার সঙ্গে আরও কিছু দল আসবে। তাই অক্টোবর থেকে বিদেশিদের আসাটা আবার শুরু হবে।
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। আমরা আশা করছি, ২০২৫ সালের মধ্যে যাত্রীরা এই বিমানবন্দরের সব সুবিধা পাবেন। এতে নতুন নতুন এয়ারলাইনস আসবে এবং যাত্রীরা বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবেন। এতে অন্যান্য দেশের চেইন হোটেলগুলো থেকে আমরা এবং আমাদের দেশ উপকৃত হবে। এয়ারপোর্ট একটা দেশের আয়না। অতিথিরা কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকেই সেই দেশ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যান। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে বিমানবন্দর থেকে ঢাকার এদিকটায় যাতায়াতের সুবিধা বেড়েছে। আগে ঢাকার এদিকে যাতায়াত একটু সময়সাপেক্ষ ছিল। এ ছাড়া মেট্রোরেলের কারণে পর্যটকেরা কম সময়ে ঢাকার দুই পাশেই ঘুরতে পারবেন।
পাঁচ-সাত বছর ধরে দেশের জিডিপিতে ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ অবদান রাখছে। তবে উন্নত দেশগুলোতে এই হার প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে এটা আবার বাড়ছে। আমরা মনে করি, দেশের স্থিতিশীলতার সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের এই খাত আরও উন্নত হবে।
আমি মনে করি, পর্যটন খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে। পর্যটন এখন শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা, তা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের একার পক্ষে এগুলো সব সময় দেখাশোনা করা সহজ নয়। এর জন্য যেসব মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আছে, তাদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করলে পর্যটনের জায়গাগুলো আরও সমৃদ্ধ হবে। টয়লেটব্যবস্থা, পর্যটন গন্তব্যগুলোতে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা করলে পর্যটকেরা আকৃষ্ট হবেন। আমি আশা করি, নতুন সরকার এই বিষয়গুলো দেখবে। সবাই সমন্বিতভাবে চেষ্টা করলে ভালো ফলাফল আসবে।
লেখক: আসিফ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল
অনুলিখন: সৌগত বসু
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে